আজ শুরু এজবাস্টন (Edgbaston) টেস্ট। গত সিরিজেরই অংশ এই টেস্ট। ভারত (Team India) এগিয়ে ২-১ ব্যবধানে। সিরিজের মাঝে লম্বা বিরতি অনেক কিছু বদলে দিয়েছে। ভারতীয় শিবিরে নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মার কোভিডে কম্বিনেশনেও ধোঁয়াশা তৈরি করেছে। উলটো দিকে ইংল্যান্ডের সাম্প্রতিক ছন্দও ভয় ধরানোর মতোই। সদ্য নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩-০ সিরিজ জিতেছে তারা। এই ম্যাচে ইংল্যান্ডের হারানোর কিছু নেই। তবে ভারতের সিরিজ জয় আটকানোই লক্ষ্য থাকবে তাদের। এজবাস্টন টেস্টে হার এড়িয়ে সিরিজ জিততে ভারতীয় শিবিরে যারা মূল পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। তেমনই পাঁচ ক্রিকেটারকে দেখে নেওয়া যাক।
এজবাস্টনে নজরে ভারতের পাঁচ
বিরাট কোহলি: নতুন করে পরিচয় করানোর প্রয়োজন পড়ে না। প্রতিপক্ষ শিবিরের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান উইকেট। ২০১৯-র পর তাঁর ব্যাটে শতরানের ইনিংস নেই। তবে বেশকিছু ভালো ইনিংস রয়েছে। এমনকি লেস্টারের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচেও দারুণ ছন্দে দেখিয়েছে। বিশেষত দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ৬৭ রানে আত্মবিশ্বাসের ছাপ। সেরা ফর্মে থাকা বিরাট কোহলির ধাঁচের ব্যাটিং। নেতৃত্বের বাড়তি চাপ না থাকায়, খোলা মনে খেলতে পারবেন।
শুভমন গিল: টেস্ট মানেই শুধু ক্রিজে পড়ে থাকা নয়। ভারতীয় ক্রিকেটে অনেক আগেই সেটা করে দেখিয়েছেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ। শুভমন গিলকে তাঁর সঙ্গে তুলনায় না টেনেও বলা যায়, পালটা আক্রমণে প্রতিপক্ষের পরিকল্পনা এলোমেলো করে দিতে পারেন ভারতের এই তরুণ ওপেনার। প্রস্তুতি ম্যাচে সেভাবেই খেলেছেন। এজবাস্টনে উলটোদিকে কেউ ধরে খেলতে পারলে, শুভমনের কাউন্টার অ্যাটাক বাড়তি কাজে লাগবে।
চেতেশ্বর পূজারা: ভারতীয় শিবিরে পূজারা শুধু ব্যাটসম্যান নন, একজন সৈনিকও। যিনি ক্রিজ আগলে পড়ে থাকতে পারেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্রিজে পড়ে থাকা প্রতিপক্ষ বোলারদের ভুল করতে বাধ্য করে। যার ফায়দা তোলা যেতে পারে। এ মরসুমে কাউন্টি ক্রিকেটে অনবদ্য ছন্দে ছিলেন। টেস্ট স্কোয়াডের অনেক আগেই ইংল্যান্ডে পৌঁছে যাওয়ায় সেখানকার পরিবেশ, পরিস্থিতির সঙ্গে অনেক বেশি খাপ খাইয়ে নিয়েছেন পূজারা।
জসপ্রীত বুমরা: ডিউক বল এবং জসপ্রীত বুমরা। যেন একে অপরের পরিপূরক। টেস্ট জিততে প্রতিপক্ষের ২০টা উইকেট নেওয়া বেশি জরুরি। এই লক্ষ্যে ভারতের পেস আক্রমণে মূল ভরসা বুমরাই। একটাই আশঙ্কা, প্রথমবার নেতৃত্বের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। বাড়তি দায়িত্বের প্রভাব বোলিংয়ে নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে।
মহম্মদ সামি: সুইং এবং সিম বোলিংয়ের পরিবেশে মহম্মদ সামি সবসময়ই ভয়ঙ্কর। তাঁর সিম পজিশন বিশ্বের হাতে গোনা পেসারদের মধ্যে সেরা। বুমরার সঙ্গে জুটিতে সামিও বল হাতে জ্বলে উঠতে পারলে অর্ধেক কাজ সেখানেই শেষ।