AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Rohit Sharma: রোহিতের গায়ে গরম কফি ঢেলেছিলেন যিনি, তাঁরই চাকরি বাঁচিয়েছিলেন হিটম্যান; কী ঘটেছিল সেদিন?

IPL: মাঠ হোক বা মাঠের বাইরে হিটম্যানের সকলের ভালোই চান। সম্প্রতি উঠে এসেছে রোহিতের এক উদারতার গল্প। ২০১৭ সালে এক তরুণের চাকরি বাঁচিয়েছিলেন রোহিত। সেই তরুণ এখন সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটার ও সঞ্চালক।

Rohit Sharma: রোহিতের গায়ে গরম কফি ঢেলেছিলেন যিনি, তাঁরই চাকরি বাঁচিয়েছিলেন হিটম্যান; কী ঘটেছিল সেদিন?
রোহিতের গায়ে গরম কফি ঢেলেছিলেন যিনি, তাঁরই চাকরি বাঁচিয়েছিলেন হিটম্যানImage Credit: PTI
| Updated on: May 30, 2025 | 8:26 PM
Share

কলকাতা: ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) বরাবরই সকলের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। মাঠ হোক বা মাঠের বাইরে হিটম্যানের সকলের ভালোই চান। সম্প্রতি উঠে এসেছে রোহিতের এক উদারতার গল্প। ২০১৭ সালে এক তরুণের চাকরি বাঁচিয়েছিলেন রোহিত। সেই তরুণ এখন সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটার ও সঞ্চালক। নাম তাঁর তনয় তিওয়ারি। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি রণবীর এলাহাবাদিয়ার পডকাস্টে জানিয়েছেন। 

তনয় তিওয়ারি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ইন্টার্ন হিসেবে ২১ বছর বয়সে কাজ শুরু করেছিলেন। আর কেরিয়ারের শুরুতেই কার্যত চাকরি খোয়ানোর পথে পা বাড়িয়ে ফেলেছিলেন তনয়। এরপর রোহিত বাঁচিয়ে দেন তাঁর চাকরি। কিন্তু কীভাবে? তনয় জানান, তাঁর ভুলে রোহিতের গায়ে এক সময় কফি পড়ে গিয়েছিল। সেই সময় রীতিমতো ঘাবড়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রায় কেঁদে ফেলার জোগাড় হয়েছিল তাঁর। পুরো বিষয়টি সামাল দিয়েছিলেন রোহিত। 

স্মৃতির পাতা উল্টে তনয় বলেন, ‘মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের সঙ্গে ২০১৭ সালে আমি কাজ করার সুযোগ পাই। সেই সময় আমি ইন্টার্ন ছিলাম। একদিন রোহিত ভাইয়ের সাক্ষাৎকার নেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছিলাম। দলের হোটেলে সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় আমাদের মধ্যিখানে একখানা খুব ছোট টেবিল ছিল। আমি দ্রুত সেখানে পৌঁছোতে গিয়ে হাত থেকে কফি পড়ে গিয়েছিল। সেই সময় অল্প গরম কফি রোহিতের গায়ে পড়েছিল।’

রোহিতের মতো তারকার গায়ে ইচ্ছে করে কফি ফেলেননি তনয়। দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলার পর তনয় টের পান যে, কী করে বসেছেন। তিনি বলেন, ‘সেই সাক্ষাৎকারের সময় রোহিতের সঙ্গে এক মহিলা এসেছিলেন। তিনি আবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বেশ উচ্চ পদস্থ এক কর্মী ছিলেন। আমার কাণ্ডকারখানা দেখে তিনি ভীষণ রেগে গিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে আমাকে খুব বকাবকি করতেও শুরু করেছিলেন। সেই সময় আমার বয়স ২১। একপ্রকার ভয়ে আমি প্রায় কেঁদেই ফেলেছিলাম। আমাকে দেখে এরপর রোহিত ভাই নিজেই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন।’

ঠিক কী বলেছিলেন রোহিত?  তনয় বলেছেন, ‘রোহিত ভাই ঠান্ডা মাথায় নিজেই সবটা সামলে নিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আরে এসব ছাড়ুন তো। একটা বাচ্চা ছেলে, ছোট একখানা ভুল করে ফেলেছে। সামান্য কফিই তো পড়েছে, এতে অত্ত ভাবার কিছু নেই। কিচ্ছুটি হবে না। তুমি আমাকে প্রশ্ন কর তনয়। জিজ্ঞেস করো কী জানতে চাও।’ 

ওই ঘটনার পর নিজেকে সামলে নিয়ে সাক্ষাৎকার নেওয়া শেষ করেন তনয়। তিনি এও জানাতে ভোলেনিনি যে, রোহিত বিষয়টায় ঢুকে পড়ার পর ওই মহিলাও আর কিছু বলেননি। এখানেই শেষ নয়। তনয় আরও বলেছেন, ‘আসলে ভয়ে সেই সময় তো কয়েকটা মিনিট কথাই বলতে পারিনি। পরে যখন রোহিতের সঙ্গে ফের দেখা হয়েছিল, তখনও তাঁকে বিশেষ কিছু বলতে পারিনি। তবে শুধু ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম। তাঁকে বলেছিলাম, রোহিত ভাই আপনি নিজেও জানেন না যে, আমার কত বড় উপকার করেছেন। এই কথা শুনে রোহিত ভাই তনয়কে বলেছিলেন, ‘আরে এসব ছাড় তো। তুমি কাছে এসে কথা বল।’ রোহিতের মতো বড় মাপের এক ক্রিকেটার, অথচ অত্যন্ত সহজে মানুষের সঙ্গে মিশে যান। যে কারণে অচেনা একটা ছেলেকেও রোহিত কাছে টেনে নিতে পারেন অল্প আলাপেই!’’