IPL থেকে পকেট ফুলে হিরো, তারকা ক্রিকেটাররা পারফরম্যান্সে জ়িরো!

IPL 2025: ১৮তম আইপিএলে খেলা ৫ মার্কি প্লেয়ারকে নিয়ে তথ্য তুলে ধরা হল। যাঁদের দাম আর পারফরম্যান্সের ফারাক আকাশ ও পাতালের মতো।

Apr 23, 2025 | 11:53 AM

টাকা ঢাললেই পারফরম্যান্স ঢালাও… তেমনটা কোথাও লেখা নেই। ক্রীড়াক্ষেত্রে বেশি টাকার বিনিয়োগ মানেই বেশি রিটার্ন, এই তত্ত্ব বিন্দুমাত্র খাটে না। আর আইপিএল তার বাইরের জগৎ নয়। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয় ভারতের এই জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে। নিলাম টেবলে এক এক প্লেয়ারকে নেওয়ার জন্য ঝড় ওঠে। ২০ লক্ষ টাকার বেস প্রাইসের কোনও ক্রিকেটারের বিড বাড়তে বাড়তে কয়েক কোটিতে গিয়ে দাঁড়ায়। কোনও দল তাঁকে কেনেও। এরপর স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেট প্রেমীদের সেই দামি প্লেয়ারদের দিকে বাড়তি নজর থাকে। তারপর টুর্নামেন্ট মাঝপথে পৌঁছলে সেই প্লেয়ারদের একটা রিপোর্ট কার্ড উঠে আসে। সেটি যদি হয় হতাশার, তা হলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কোটি কোটি টাকার ক্রিকেটারদের। ১৮তম আইপিএলে খেলা ৫ মার্কি প্লেয়ার নিয়ে আপনাদের আজ শোনাব। যাঁদের দাম আর পারফরম্যান্সের ফারাক আকাশ ও পাতালের মতো।

প্রথমেই বলতে হয় আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ঋষভ পন্থকে নিয়ে। জেড্ডায় হওয়া মেগা নিলামে ঋষভ পন্থকে ২৭ কোটি টাকায় কেনে লখনউ সুপার জায়ান্টস। প্রাইস ট্যাগ অনুযায়ী পন্থের পারফরম্যান্স চলতি আইপিএলে এখনও দেখা যায়নি। এখনও অবধি লখনউ এ মরসুমে ৯ ম্যাচ খেলেছে। তাতে জয় ৫টি, হার ৪টি। পন্থ এ বারের আইপিএলে ৮ ইনিংসে ১টি হাফসেঞ্চুরি-সহ ১০৬ রান করেছেন। তাঁর গড় ১৫.১৪। স্ট্রাইক রেট নিয়ে যেন না বললেই নয়। কারণ, সেটা ১০০-র কম।

দামের নিরিখে পন্থের পর পারফরম্যান্স দিয়ে যে ক্রিকেটার সুবিচার করছেন না তিনি কেকেআরের সহ-অধিনায়ক ভেঙ্কটেশ আইয়ার। দাম তাঁর ২৩.৭৫ কোটি। ৮ ম্যাচে ৬ ইনিংসে ভেঙ্কি করেছেন ১৩৫ রান। গড় ২২.৫০। এই পারফরম্যান্স তাঁর নাম ও দামের সঙ্গে খাপ খাচ্ছে না।

টি-২০ ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার রশিদ খান। গুজরাট তাঁকে ১৮ কোটি টাকায় রিটেন করেছিল। টাইটান্সদের একাধিক ম্যাচ রশিদ অতীতে জিতিয়েছেন। কিন্তু এ বারের আইপিএলে রশিদ এখনও সেই অর্থে জ্বলে ওঠেননি। ৮ ম্যাচে আফগান তারকা নিয়েছেন ৬ উইকেট। অন্য মরসুমে রশিদের মধ্যে যে বারুদ দেখা গিয়েছিল, তা এ বার নজরে পড়ছে না।

পন্থ, ভেঙ্কি, রশিদদের পরই যাঁর নাম বলতে হয়, তিনি অরেঞ্জ আর্মির অধিনায়ক। প্যাট কামিন্সকে হায়দরাবাদ ১৮ কোটি টাকায় আইপিএল নিলামের আগে রিটেন করে। এ মরসুমে এখনও ৭ ম্যাচ খেলে কামিন্সের নেতৃত্বে মাত্র ২টোতে জিতেছে হায়দরাবাদ। হার ৫টিতে। অজি বিশ্বজয়ী অধিনায়ক ৭ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছেন। ইকোনমি ১০.২১। স্ট্রাইকরেট ২১.১৪।

মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রাক্তন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ছন্দে ফিরেছেন। দেখতে দেখতে মুম্বই ৮টি ম্যাচ এ বারের আইপিএলে খেলেছে। তাতে রোহিত ৭ ইনিংসে ১৫৮ রান করেছেন। গড় ২৬.৩৩। স্ট্রাইকরেট ১৫৪.৯০। রোহিতকে আইপিএলের মেগা নিলামের ১৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকায় রিটেন করেছিল মুম্বই। এ মরসুমে সিএসকের বিরুদ্ধে তাঁর সর্বাধিক রান ৭৬। এ ছাড়া বাকি ৬ ইনিংস মিলিয়ে তিনি করেছেন ৮২ রান। রোহিতের মতো ক্রিকেটার, যিনি মুম্বইকে ৫টা আইপিএল ট্রফি জিতিয়েছেন, তাঁর থেকে এই পারফরম্যান্স কাম্য নয় অনুরাগীদের।

আইপিএল বিস্ময়ের মঞ্চ। কিন্তু তাতে ব্যাট-বল হাতে নিজের মান দেখাতে না পারলে, দাম যতই হোক না কেন, সমালোচনা যে সহ্য করতেই হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

টাকা ঢাললেই পারফরম্যান্স ঢালাও… তেমনটা কোথাও লেখা নেই। ক্রীড়াক্ষেত্রে বেশি টাকার বিনিয়োগ মানেই বেশি রিটার্ন, এই তত্ত্ব বিন্দুমাত্র খাটে না। আর আইপিএল তার বাইরের জগৎ নয়। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয় ভারতের এই জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে। নিলাম টেবলে এক এক প্লেয়ারকে নেওয়ার জন্য ঝড় ওঠে। ২০ লক্ষ টাকার বেস প্রাইসের কোনও ক্রিকেটারের বিড বাড়তে বাড়তে কয়েক কোটিতে গিয়ে দাঁড়ায়। কোনও দল তাঁকে কেনেও। এরপর স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেট প্রেমীদের সেই দামি প্লেয়ারদের দিকে বাড়তি নজর থাকে। তারপর টুর্নামেন্ট মাঝপথে পৌঁছলে সেই প্লেয়ারদের একটা রিপোর্ট কার্ড উঠে আসে। সেটি যদি হয় হতাশার, তা হলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কোটি কোটি টাকার ক্রিকেটারদের। ১৮তম আইপিএলে খেলা ৫ মার্কি প্লেয়ার নিয়ে আপনাদের আজ শোনাব। যাঁদের দাম আর পারফরম্যান্সের ফারাক আকাশ ও পাতালের মতো।

প্রথমেই বলতে হয় আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ঋষভ পন্থকে নিয়ে। জেড্ডায় হওয়া মেগা নিলামে ঋষভ পন্থকে ২৭ কোটি টাকায় কেনে লখনউ সুপার জায়ান্টস। প্রাইস ট্যাগ অনুযায়ী পন্থের পারফরম্যান্স চলতি আইপিএলে এখনও দেখা যায়নি। এখনও অবধি লখনউ এ মরসুমে ৯ ম্যাচ খেলেছে। তাতে জয় ৫টি, হার ৪টি। পন্থ এ বারের আইপিএলে ৮ ইনিংসে ১টি হাফসেঞ্চুরি-সহ ১০৬ রান করেছেন। তাঁর গড় ১৫.১৪। স্ট্রাইক রেট নিয়ে যেন না বললেই নয়। কারণ, সেটা ১০০-র কম।

দামের নিরিখে পন্থের পর পারফরম্যান্স দিয়ে যে ক্রিকেটার সুবিচার করছেন না তিনি কেকেআরের সহ-অধিনায়ক ভেঙ্কটেশ আইয়ার। দাম তাঁর ২৩.৭৫ কোটি। ৮ ম্যাচে ৬ ইনিংসে ভেঙ্কি করেছেন ১৩৫ রান। গড় ২২.৫০। এই পারফরম্যান্স তাঁর নাম ও দামের সঙ্গে খাপ খাচ্ছে না।

টি-২০ ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার রশিদ খান। গুজরাট তাঁকে ১৮ কোটি টাকায় রিটেন করেছিল। টাইটান্সদের একাধিক ম্যাচ রশিদ অতীতে জিতিয়েছেন। কিন্তু এ বারের আইপিএলে রশিদ এখনও সেই অর্থে জ্বলে ওঠেননি। ৮ ম্যাচে আফগান তারকা নিয়েছেন ৬ উইকেট। অন্য মরসুমে রশিদের মধ্যে যে বারুদ দেখা গিয়েছিল, তা এ বার নজরে পড়ছে না।

পন্থ, ভেঙ্কি, রশিদদের পরই যাঁর নাম বলতে হয়, তিনি অরেঞ্জ আর্মির অধিনায়ক। প্যাট কামিন্সকে হায়দরাবাদ ১৮ কোটি টাকায় আইপিএল নিলামের আগে রিটেন করে। এ মরসুমে এখনও ৭ ম্যাচ খেলে কামিন্সের নেতৃত্বে মাত্র ২টোতে জিতেছে হায়দরাবাদ। হার ৫টিতে। অজি বিশ্বজয়ী অধিনায়ক ৭ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছেন। ইকোনমি ১০.২১। স্ট্রাইকরেট ২১.১৪।

মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রাক্তন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ছন্দে ফিরেছেন। দেখতে দেখতে মুম্বই ৮টি ম্যাচ এ বারের আইপিএলে খেলেছে। তাতে রোহিত ৭ ইনিংসে ১৫৮ রান করেছেন। গড় ২৬.৩৩। স্ট্রাইকরেট ১৫৪.৯০। রোহিতকে আইপিএলের মেগা নিলামের ১৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকায় রিটেন করেছিল মুম্বই। এ মরসুমে সিএসকের বিরুদ্ধে তাঁর সর্বাধিক রান ৭৬। এ ছাড়া বাকি ৬ ইনিংস মিলিয়ে তিনি করেছেন ৮২ রান। রোহিতের মতো ক্রিকেটার, যিনি মুম্বইকে ৫টা আইপিএল ট্রফি জিতিয়েছেন, তাঁর থেকে এই পারফরম্যান্স কাম্য নয় অনুরাগীদের।

আইপিএল বিস্ময়ের মঞ্চ। কিন্তু তাতে ব্যাট-বল হাতে নিজের মান দেখাতে না পারলে, দাম যতই হোক না কেন, সমালোচনা যে সহ্য করতেই হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।