PAK vs CAN: বাবরের টেস্ট টি-টোয়েন্টিতেও জয়, টুর্নামেন্টে টিকে রইল পাকিস্তান
ICC MEN’S T20 WC 2024: টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। কানাডার ওপেনার অ্যারন জনসন যেমন খেলছিলেন তাতে বোর্ডে ১৪০ প্লাস স্কোরও উঠতে পারত। শুরুর কয়েক ওভার কাটতেই দুর্দান্ত বোলিং করে পাকিস্তান। অ্যারন জনসন হাফসেঞ্চুরি করলেও কানাডার মিডল অর্ডার ভরসা দিতে পারেনি।
টানা দু-ম্যাচ হেরে খাদের কিনারায় ছিল পাকিস্তান। তৃতীয় ম্যাচে কানাডাকে হারিয়ে অঙ্কে টিকে রইলেন বাবর আজমরা। কানাডার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে পাকিস্তানের নেট রান রেট ছিল মাইনাস ০.১৫০। কানাডার বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জিতে নেট রান রেট বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল পাকিস্তানের। ফলে জিতলেও বিশাল একটা লাভ হল না। নিউ ইয়র্কের পিচ অন্যতম আকর্ষণ। এই মাঠেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাত্র ১১৯ রানের পুঁজি নিয়ে জিতেছে ভারত। তেমনই আগের দিন এই মাঠে মাত্র ১১৩ রানের পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানও খুব একটা সুবিধাজনক জায়গায় ছিল না।
টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। কানাডার ওপেনার অ্যারন জনসন যেমন খেলছিলেন তাতে বোর্ডে ১৪০ প্লাস স্কোরও উঠতে পারত। শুরুর কয়েক ওভার কাটতেই দুর্দান্ত বোলিং করে পাকিস্তান। অ্যারন জনসন হাফসেঞ্চুরি করলেও কানাডার মিডল অর্ডার ভরসা দিতে পারেনি। লোয়ার অর্ডারের কিছুটা অবদানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৬ রান করে কানাডা। পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট মহম্মদ আমির ও হ্যারিস রউফের।
টার্গেট মাত্র ১০৭ রান। নেট রান রেটে আমেরিকা অনেকটাই এগিয়ে। এই টার্গেট ১৪ ওভারের মধ্যে পূরণ করতে পারলে কিছুটা স্বস্তির জায়গায় থাকত পাকিস্তান। যদিও ১০৭ রানের টার্গেট তাড়া করতেই হিমসিম অবস্থা। মহম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ওপেন করেন তরুণ ব্যাটার সায়াম আয়ুব। ১২ বলে ৬ রানেই ইতি তাঁর ইনিংসের। ক্রিজে রিজওয়ান-বাবর জুটি থাকায় ১৪ ওভারে টার্গেট পূরণের একটা সম্ভাবনা ছিল।
নিউ ইয়র্কের পিচে একটা বিষয় দেখা গিয়েছে, সেকেন্ড ইনিংসে তুলনামূলক ভাবে ব্যাটারদের জন্য ভালো পরিস্থিতি থাকে। যদিও রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ পাকিস্তান। বাবর আজম এদিনও টি-টোয়েন্টিতে টেস্ট ইনিংস খেললেন। ৩৩ বলে ৩৩ রানেই খোঁচা মেরে আউট পাকিস্তান ক্যাপ্টেন। ১৪ ওভারের সীমা পেরিয়ে বাবর ফিরতেই সাময়িক চাপে পড়ে পাকিস্তান। তবে মহম্মদ রিজওয়ান ক্রিজে থাকায় কোনও বিপদ আসতে দেননি।
পাকিস্তান কত উইকেটে জিততে পারত! সেটাও বড় প্রশ্ন। ৯ উইকেটে জেতার মতোই পরিস্থিতি ছিল। যদিও বাবরের পর ফখর জমানও ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। মহম্মদ রিজওয়ান হাফসেঞ্চুরি করেন। জয় থেকে মাত্র ৩ রান দূরে আউট হন ফখর। শেষ অবধি ৭ উইকেটে জেতে পাকিস্তান। নেট রান রেটে খুব একটা লাভও হয়নি। আমেরিকার চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে।