AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Abishek Porel: ৪, ৬, ৪, ৪, ৬, ১! বাংলার ছেলে অভিষেকের ধুন্ধুমার কাণ্ড আইপিএলে

IPL, DC: আইপিএলে বাঙালি ক্রিকেটার খুঁজতে হবে আতসকাচ দিয়ে। ঋদ্ধিমান সাহাকে বাদ দিলে কেউই ধারাবাহিক নন। কেউই নিজের জায়গা এত বছর ধরে অটুট রাখতে পারেননি। অনেক দিন পর আর এক কিপারের হাত ধরে আইপিএলে স্বপ্ন দেখতেই পারে বাঙালি। তাঁর নাম কী জানেন? অভিষেক পোড়েল।

Abishek Porel: ৪, ৬, ৪, ৪, ৬, ১! বাংলার ছেলে অভিষেকের ধুন্ধুমার কাণ্ড আইপিএলে
Abishek Porel: ৪, ৬, ৪, ৪, ৬, ১! বাংলার ছেলে অভিষেকের ধুন্ধুমার কাণ্ড আইপিএলেImage Credit: BCCI
| Edited By: | Updated on: Mar 23, 2024 | 5:40 PM
Share

কলকাতা: আইপিএলের (IPL) অদ্ভুত গতি-প্রকৃতি। এই আলোয় তো এই অন্ধকারে। এই আকাশে তো এই মাটিতে। এই আইপিএলও যে তার ব্যতিক্রম হবে না, জানাই ছিল। দ্বিতীয় দিনই রং বদলের ম্যাচের খোঁজ পাওয়া গেল। আর তা এল বাংলার ছেলের কাছ থেকে। আইপিএলে বাঙালি ক্রিকেটার খুঁজতে হবে আতসকাচ দিয়ে। ঋদ্ধিমান সাহাকে বাদ দিলে কেউই ধারাবাহিক নন। কেউই নিজের জায়গা এত বছর ধরে অটুট রাখতে পারেননি। অনেক দিন পর আর এক কিপারের হাত ধরে আইপিএলে স্বপ্ন দেখতেই পারে বাঙালি। তাঁর নাম কী জানেন? অভিষেক পোড়েল।

ঋষভ পন্থের ফেরা ছাড়া দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরাট কিছু বদল হয়নি। গত বারও যে ভাবে ভেঙে পড়েছিল টিম, এ বারও আইপিএলের প্রথম ম্যাচে তারই ঝলক দেখা গেল। একটা সময় মনে হচ্ছিল, ১৫০ পার করতে পারবে না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিম। কিন্তু পর পর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল পন্থের দল। সেখান থেকে শেষ ওভারে হঠাৎই বিস্ফোরক ইনিংস খেলে দিলেন অভিষেক। শেষ ওভারে নেন ২৫ রান। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমেছিলেন। ছাপও রেখে গেলেন। মাত্র ১০ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে গেলেন অভিষেক। দুটো ছয় ও তিনটে চার মেরেছেন হর্ষল প্যাটেলকে।

দিল্লির ইনিংস শেষ হওয়ার পর মুরলী কার্তিক বাংলার উইকেটকিপার ব্যাটার অভিষেক পোড়েলকে জিজ্ঞাসা করেন তাঁর ১০ বলে ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংসের ব্যাপারে। অভিষেক বলেন, ‘৩ ওভার আগে জানতে পেরেছিলাম ব্যাটিংয়ে নামব। সাপোর্ট স্টাফ আগেই বলে রেখেছিলেন, যে কোনও সময় ব্যাট করার সুযোগ পাব। অনুশীলনে এতদিন যা করেছি, সেটাই ম্যাচে করে দেখাতে চেয়েছিলাম।’

হর্ষল প্যাটেল দিল্লির ইনিংসের শেষ ওভারে বল করেন। তাতে কী ভেবেছিলেন অভিষেক? উত্তরে বাংলার ছেলে বলেন, ‘যেমন বল আসবে সেই অনুযায়ী শট খেলব ঠিক করেছিলাম। আমরা দলগত ভালোই স্কোর তুলেছি। আমাদের বোলিং ইউনিট ভালো। এ বার দেখা যাক ম্যাচ কেমন হয়।’

পন্থের দুর্ঘটনার পর কিপার-ব্যাটারের খোঁজে ছিল দিল্লি। সৌরভই গত বছর অভিষেককে নিয়ে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। সে ভাবে নজর কাড়তে পারেননি। কিন্তু এ বার অনেক পরিণত। ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন। রয়েছে হাফ সেঞ্চুরিও। ২২ বছরের বাঁ হাতি ব্য়াটারের ভবিষ্যৎ যে অত্যন্ত উজ্জ্বল, সন্দেহ নেই। আকাশ চোপড়ার মতো প্রাক্তন বলে গেলেন, ‘দিল্লিকে প্রায় হারিয়ে যাচ্ছিল। সেখান থেকে টিমকে ম্যাচে ফিরল অভিষেক। লড়াই করার মতো রান এনে দিল।’ মোহালির পিচ একটু স্লথ। বল ঘুরছে। পন্থের টিম যদি পঞ্জাবকে হারাতে পারে, অভিষেকই পাবেন কৃতিত্ব।