
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এ বারের মরসুমে দুটি দল এখনও অবধি অপরাজিত। রাজস্থান রয়্যালস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স। জয়ের ধারা বজায় রাখত মরিয়া কলকাতা নাইট রাইডার্স। দু-বার আইপিএল জয়ের স্বাদ পেয়েছে কেকেআর। যদিও সেই ২০১২ এবং ২০১৪ সালে। এরপর থেকে শুধুই অপেক্ষা। গৌতম গম্ভীর মেন্ট হয়ে ফেরায় কেকেআর সমর্থকদের বিশ্বাস, এ বার ট্রফিও ফিরবে। কেকেআরের দুটি আইপিএল ট্রফি জয় গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বেই।
ঘরের মাঠে এ বারের আইপিএল অভিযান শুরু করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে রুদ্ধশ্বাস জয়। গত ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচেও জিতেছে কেকেআর। সবচেয়ে বড় ভরসা ব্যাটিং গভীরতা। আরসিবির বিরুদ্ধে বিশাল রান তাড়া করেও সহজ জয়। আজও অ্যাওয়ে ম্যাচ। বিশাখাপত্তনমে কেকেআরের প্রতিপক্ষ দিল্লি ক্যাপিটাল।
টানা দুটি হারের পর ঘরের বাইরে ‘হোম ম্যাচে’ প্রথম জয় পেয়েছে ঋষভ পন্থের নেতৃত্বাধীন দিল্লি ক্যাপিটালস। বিশাখাপত্তনমেই তারা হারিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসকে। আবহাওয়া প্রচণ্ড গরম। তার একটা অস্বস্তি রয়েইছে। কলকাতা শিবিরে আরও বড় অস্বস্তি ২৫ কোটির পেসার।
অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আইপিএলের মিনি অকশনে ২৪.৭৫ কোটিতে নেওয়া হয়েছিল মিচেল স্টার্ককে। ইডেনে প্রস্তুতি ম্যাচে প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়ে স্টার্ক যেন বোঝাতে চেয়েছিলেন, আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি প্লেয়ার হওয়ার যোগ্যই তিনি। প্রস্তুতি ম্যাচ এবং টুর্নামেন্টের পরিবেশ পরিস্থিতি যে পুরো আলাদা, টের পাচ্ছে কেকেআর। প্রথম দু-ম্যাচ মিলিয়ে ৮ ওভারে রান দেওয়ার সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন বিশ্বজয়ী পেসার মিচেল স্টার্ক।
বিশাখাপত্তনমে গত ম্যাচে দেখা গিয়েছে পেসাররা দুর্দান্ত সুবিধা পাচ্ছেন। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে। দিল্লির দুই তরুণ পেসার খলিল আহমেদ এবং মুকেশ কুমার অনবদ্য বোলিংয়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন। সেই থেকে কিছুটা আশার আলো দেখতেই পারে কলকাতা শিবির। হয়তো এই ম্যাচেই ফর্মে ফিরবেন স্টার্ক!
দিল্লি শিবিরে তেমনই নজর থাকবে পৃথ্বী শ এবং ঋষভ পন্থের দিকে। গত আইপিএলের পর অবশেষে দিল্লির তৃতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন পৃথ্বী। প্রত্যাবর্তনে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। অন্য দিকে, দেড় বছর পর ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করা দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ২০২১ সালের পর অবশেষে আইপিএলে হাফসেঞ্চুরি করেছেন। বিশাখাপত্তনমে যেন লড়াইটা দু-দলের পাশাপাশি বোলিং বনাম ব্যাটিং দক্ষতা।