IPL 2025, Varun Chakravarthy: বুকে আগুন, সেলিব্রেশনে শান্ত; বরুণ চক্রবর্তীর চিয়ারলিডার একজনই!
Varun Chakravarthy Life, Kolkata Knight Riders: ব্যর্থতা ছাড়া জীবনে সাফল্য আসে না। তবে সেগুলো আঁকড়ে না থেকে সাফল্যের সিঁড়ি তৈরি প্রয়োজন। সাফল্যের মুহূর্তে অনেকেই থাকেন। ব্যর্থতায়? সে সময় সঙ্গ দেওয়ার জন্য চাই নাড়ির টান এবং নারীশক্তি!

কেকেআর, জাতীয় দল, কেকেআর, তামিলনাডু প্রিমিয়ার লিগ, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। বরুণ চক্রবর্তীর কেরিয়ারে সাফল্যগুলো সহজেই চোখে পড়ে। ব্যর্থতা যেন পিছনে ফেলে এসেছেন। ব্যর্থতা ছাড়া জীবনে সাফল্য আসে না। তবে সেগুলো আঁকড়ে না থেকে সাফল্যের সিঁড়ি তৈরি প্রয়োজন। সাফল্যের মুহূর্তে অনেকেই থাকেন। ব্যর্থতায়? সে সময় সঙ্গ দেওয়ার জন্য চাই নাড়ির টান এবং নারীশক্তি!
এই নিয়ে তর্ক হতে পারে। বিতর্কও। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই যে বিশ্বাস করেন, প্রতিটি পুরুষের সাফল্যের নেপথ্যে থাকেন এক নারী। তিনি মা হতে পারেন, বোন, বান্ধবী, প্রেমিকা কিংবা স্ত্রী…। প্রেমিকাই যদি স্ত্রী হন তা হলে যেন সোনায় সোহাগা। ঘরোয়া ক্রিকেট, তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগ এই পর্বগুলো একটু স্কিপ করে যান। বরং আইপিএল থেকে শুরু করুন।
ফ্ল্যাশব্য়াক যাওয়া যাক। ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে আইপিএল। কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স। তাঁর মিস্ট্রি স্পিনে মুগ্ধ ভারতীয় বোর্ডের নির্বাচকরাও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সীমিত অভিজ্ঞতা নিয়েই সরাসরি বিশ্বকাপের দলে বরুণ। দুবাইয়ে সেই বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডেই বিদায় ভারতের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেটিই ভারতের সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স। টিমের সঙ্গে সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছিলেন বরুণও। বরং তুলনামূলক বেশিই। তার কারণ, অভিজ্ঞ যুজবেন্দ্র চাহালকে ইগনোর করে বরুণকে নেওয়া হয়েছিল।
কাট টু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। কয়েক সপ্তাহ আগেরই ঘটনা। টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত হয়েছিলেন। হঠাৎই ভারতের ওয়ান ডে স্কোয়াডে সুযোগ। সেখানেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি। চ্যাম্পিয়ন হয়েই ফিরেছে টিম ইন্ডিয়া। গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বরুণ চক্রবর্তী। এবারের আইপিএলেও ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করছেন কেকেআরের মিস্ট্রি স্পিনার। কিন্তু বিশ্বকাপ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মাঝের সময়টা ভুলবেন কী করে!
বিশ্বকাপের পর থেকে নিজের উপরই সন্দেহ জেগেছিল যেন। তা হলে কি আর্কিটেক্ট হিসেবে কাজ করলেই ভালো হত? যেটা নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন, সেই পথই কি সঠিক হত? আদৌ কি তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যোগ্য? এমন নানা ডাউট হয়তো ঘুরে ফিরে আসছিল! হাল ছাড়েননি বরুণ। পাশে ছিল পরিবার। তবে একজনের কথা আলাদা করে বলতে হয়। তাঁর দীর্ঘ দিনের প্রেমিকা, স্ত্রী নেহা খেদেকার। তাই তো ভালো পারফরম্যান্সের পর ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতলে তাঁর প্রসঙ্গ তুলতে ভোলেন না বরুণ।
মিস্ট্রি স্পিনার। তাঁর ব্যাকবোন অর্থাৎ নেহাও যেন মিস্ট্রি। ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল প্রাইভেট। পরিবারই তাঁর কাছে সব কিছু। হাতে গোনা কিছু সময় কেকেআর এবং ভারতের ম্যাচে উপস্থিত থাকেন। সবচেয়ে বেশি গর্ব তো তাঁরই হওয়া উচিত। তাঁর পছন্দ? সেখানেও রহস্য। শোনা যায়, ট্রাভেলিং, ফোটোগ্রাফি খুব পছন্দের। ক্রিকেটও উপভোগ করেন। কিন্তু ওই যে সেলিব্রিটি লাইফ নয়, বরুণের স্ত্রী হিসেবেই যেন বেশি তৃপ্তি।





