
অপারেশন সিঁদুর। কথা ছিল মক ড্রিলের। দেশজুড়ে তা হয়ও। তার আগেই অবশ্য ভারতীয় সেনা এক জোরালো ধাক্কা দিয়েছে পাকিস্তানকে। পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন তার দায়ও স্বীকার করেছিল। এরপর থেকে ভারতের প্রত্যেকটা মানুষই ক্ষোভের আগুনে জ্বলছিলেন। অপেক্ষা ছিল, কবে এর বদলা নেওয়া যাবে। মাঝরাতে ভারতীয় সেনা পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানে ঢুকে গুড়িয়ে দিয়েছে ন’টি জঙ্গি ঘাঁটি। দেশজুড়ে কিছুটা যেন মানসিক শান্তি। অনেক জায়গায় উচ্ছ্বাসে মেতেছেন গর্বিত ভারতীয়রা। ইডেন গার্ডেন্সেও বিশেষ সম্মান জানানো হল সেনাকে। তেমনই সমর্থকদের জন্য উপহার।
আইপিএলের ম্যাচে সাধারণত জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয় না। কখনও টুর্নামেন্টের শুরুর ম্যাচে কিংবা ফাইনালে এমনটা দেখা যায়। আন্তর্জাতিক ম্যাচ থাকলে অবশ্য় জাতীয় সঙ্গীত দিয়েই ম্যাচের শুরু হয়। ইডেনে আজ অন্য মেজাজ। ভারতীয় সেনাকে সম্মান জানাতে ম্যাচ শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীতে। স্ক্রিনেও ভেসে ওঠে ভারতীয় সেনাকে গর্ব এবং সম্মানের বার্তা। শুধু তাই নয়, সমর্থকদের বিশেষ উপহার দেওয়া হয় ভুভুজেলা।
২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফুটবল বিশ্বকাপে সাড়া ফেলেছিল ভুভুজেলা। এর তীব্রতা এতটাই বেশি যে কান পাতা দায়। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যকে সম্মান জানাতেই যেন ইডেনে সমর্থকদের দেওয়া হল এই বাঁশি। সারাক্ষণ গর্জনে কাঁপল ইডেন। ইনিংস বিরতিতে অনেক সময়ই লেজার শো দেখা যায়। আবার কখনও ব্ল্যাকআউট করা হয়। অর্থাৎ মাঠের সমস্ত লাইট নিভিয়ে মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বালানো হয়। এদিনও ম্যাচের মাঝেই ইডেনে অন্ধকার। কিন্তু আলোর অভাব ছিল না। হাজারো মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইটে আলোকিত ইডেন। আবহ দেখে মনে হচ্ছিল, যেন ভারতীয় সেনার এয়ার স্ট্রাইক এভাবেই হয়েছিল, তারই যেন প্রতিচ্ছবি দেখা গেল ইডেন গার্ডেন্সে।