Jasprit Bumrah: রোহিতের ক্যাপ্টেন্সি যাওয়ায় MI-তে হার্দিককে একঘরে করা হয়েছিল? জসপ্রীত বুমরার জবাব…

MI, IPL 2024: ক্রীড়াবিদরা ভালোবাসা যেমন পান, সমালোচিতও হন। জসপ্রীত বুমরার মতে, এই পরিস্থিতি গুলোও একজন স্পোর্টসম্যানের জীবনের অঙ্গ। এ বছরের আইপিএলের সময় রোহিত শর্মাকে নেতৃত্বের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় মুম্বই। এরপর হার্দিক পান্ডিয়াকে ক্যাপ্টেন বানায় এমআই। তারপর তাঁকে চরম বিদ্রুপের শিকার হতে হয়েছিল।

Jasprit Bumrah: রোহিতের ক্যাপ্টেন্সি যাওয়ায় MI-তে হার্দিককে একঘরে করা হয়েছিল? জসপ্রীত বুমরার জবাব...
Jasprit Bumrah: রোহিতের ক্যাপ্টেন্সি যাওয়ায় MI-তে হার্দিককে একঘরে করা হয়েছিল? জসপ্রীত বুমরার জবাব...Image Credit source: Hardik Pandya X
Follow Us:
| Updated on: Jul 26, 2024 | 12:45 PM

কলকাতা: এ বছরের আইপিএলের সময় সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি ছিলেন কে? একবাক্যে ক্রিকেট প্রেমীরা বলে দেবেন, তিনি হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya)। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৭তম আইপিএলে তাঁকে ক্যাপ্টেন বানিয়েছিল। রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) জায়গায় হার্দিককে মুম্বইয়ের ক্যাপ্টেন করার জন্য কম ঝামেলা করেননি এমআই সমর্থকরা। একাধিক ম্যাচ চলাকালীন হার্দিককে দর্শকদের বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়েছিল। আইপিএল চলাকালীন শোনা গিয়েছিল, রোহিতের থেকে নেতৃত্ব হার্দিকের হাতে চলে যাওয়ায় এমআই ড্রেসিংরুম দু’ভাগে বিভক্ত হয়েছিল। নানা মুনির নানা মতের মতো, হার্দিক-রোহিতের ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে বহু নাটক হয়েছিল। হার্দিককে কি মুম্বই শিবির সেই সময় একঘরে করে দিয়েছিল? প্রত্যক্ষদর্শী এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টিমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জসপ্রীত বুমরা এ বার জানালেন আসল ঘটনা।

আইপিএল চলাকালীন একাধিক দর্শক হার্দিককে আক্রমণ করেছিলেন। কটু কথা শুনিয়েছিলেন। কিন্তু টিম বরাবর তাঁর পাশে থেকে। এই প্রসঙ্গে জসপ্রীত বুমরা বলেন, ‘আমরা বরাবর ওর পাশে থেকেছি। ওকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছি। ওকে বোঝাতে চেয়েছি যে, দল হিসেবে আমরা ওর পাশে রয়েছি। আমরা প্রায়ই ওর সঙ্গে কথা বলেছি। ওর পরিবার পাশে ছিল। কিছু কিছু জিনিসে কারও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তাই অন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়।’

সমর্থকদের আবেগে আঘাত হওয়ায় এমন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে মনে করেন বুমরা। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটা দেশে বাস করি যেখানে আবেগের একটা বিরাট জায়গা রয়েছে। আমরা বুঝতে পারি, সমর্থকদের কোনও সিদ্ধান্ত খারাপ লাগলে তাঁরা রেগে যান। আর সেটা আবেগের বশেই হয়। মানুষকে তো আর থামানো যায় না। নিজের ফোকাস ঠিক রাখতে হয়। সমর্থকদের চিৎকার কানে যাবে ঠিকই, কিন্তু ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের সেই আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। আর হার্দিকও সেটাই করেছিল।’

ক্রীড়াবিদরা ভালোবাসা যেমন পান, সমালোচিতও হন। জসপ্রীত বুমরার মতে, এই পরিস্থিতি গুলোও একজন স্পোর্টসম্যানের জীবনের অঙ্গ। জসপ্রীতের কথায়, ফুটবলেও দেখা যায় প্রচুর বড় তারকাকে বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়েছে। প্লেয়ারদের জীবনটা বেশ বড়। খেলায় অনেক ভালো জিনিসও রয়েছে। সেগুলো ভেবে, ফোকাস করে এগিয়ে যেতে হয়। তাই কঠিন পরিস্থিতিতে মুম্বই টিম সব সময় হার্দিকের পাশে থেকেছিল। ওকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিল। বুমরার কথা থেকে পরিষ্কার হার্দিককে মোটেও একঘরে করা হয়নি।