Controversy: ‘বিরাটদের বলেছিলাম, একটা গাল দিলে তিনটে দাও’, কে বলছেন এমন কথা?

দেশের হয়ে কোচিংয়ের সময় একঝাঁক লোক তাঁর ব্যর্থতা দেখতে চেয়েছিলেন। সেই সব হিংসুটে লোকের জন্যই গায়ের চামড়া মোটা করে ফেলেছিলেন তিনি। কে আবার এমন বিস্ফোরণ ঘটালেন?

Controversy: 'বিরাটদের বলেছিলাম, একটা গাল দিলে তিনটে দাও', কে বলছেন এমন কথা?
Controversy: 'দেশের হিংসুটে লোকেরা সব সময় চাইত, আমি যেন ব্যর্থ হই', কে বলছেন এমন কথা?Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 26, 2022 | 3:46 PM

লন্ডন: জো রুটদের ব্যর্থতার পর ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে সমালোচনার ঝড় বইছে। নতুন ক্রিকেট ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলা রবার্ট কি (Robert Key) টিমকে ঘুরে দাঁড় করাতে পারবেন, এই প্রশ্ন নিয়েই যত আলোচনা। এমন পরিস্থিতিতে পড়লে কতটা চাপ সামলাতে হয়, তা খুব ভালো করে জানেন রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri)। বিরাট কোহলিদের (Virat Kohli) কোচ থাকাকালীন তাঁকেও এই পরিস্থিতি সামলাতে হয়েছে। ওই চাপের সামনে নতিস্বীকার করবেন না বলেই এক সময় ছেড়েও দিয়েছিলেন কোচের পদ। সেই শাস্ত্রীই তাঁর কোচিংয়ের সময়কার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। লন্ডনের একটি কাগজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রাক্তন কোচ রীতিমতো বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ওপেনার রবার্টও তাঁরই মতো এক সময় কমেন্ট্রি করতেন। কোচিং ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ডিরেক্টরের দায়িত্ব নিয়েছেন।

শাস্ত্রী বলছেন, ‘আমার কোচিং ডিগ্রি ছিল না। লেভেল ওয়ান, লেভেল টু, কোনওটাই ছিল না। কোচিং ডিগ্রিকে আমি গুরুত্বই দিই না। ভারতের মতো দেশে কিছু হিংসুটে লোক সব সময় চাইত, আমি যেন চরম ব্যর্থ হই। আমার গায়ের চামড়া মোটা করে নিয়েছিলাম। ডিউক বলের থেকেও চামড়া মোটা করে নিয়েছিলাম। রবার্টকেও সেটা করতে হবে। কারণ, এখানে রোজ লোকে আপনার কাটাছেঁড়া করবে। কেন্টে থাকাকালীন ওর কিন্তু নেতৃত্ব দেওয়ার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ছিল। প্লেয়ারদের সঙ্গে ওই সম্পর্কটাই আসল।’

ভারতীয় টিমের কোচ হিসেবে সাতটা বছর দায়িত্ব সামলেছেন। ক্রিকেট সংস্কৃতি বা চাপ সবই প্রায় এক রকম সব দেশের। শাস্ত্রীর কথায়, ‘রবার্ট হয়তো ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশি কাজ করেছে। কিন্তু জাতীয় টিমের প্রসঙ্গ যদি ওঠে, বলব, সংস্কৃতি প্রায় একই রকম। আসল হল, পুরো টিমকে নিয়ে একটা ধারা তৈরি করা। ওটার মধ্য়ে দিয়েই বিশ্বাস, ধারা, মানসিকতা বদলাবে। সেটাই ধীরে ধীরে লড়াই করা থেকে জয়ের দরজায় নিয়ে গিয়ে ফেলবে। আর সেটার জন্য কিন্তু আগ্রাসী হতে হবে। বিদেশে জয় পাওয়াটাকে অভ্যেস করতে হবে।’

ভারতের ক্ষেত্রে এটাই করেছিলেন কোচ শাস্ত্রী। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে পর পর দু’বার সিরিজ জয় তারই ফসল, এমনই বলছেন শাস্ত্রী। ‘টিম কী ভাবে খেলতে চাইছে, সেটা ঠিক করতে হয়। আগ্রাসী এবং ভয়ডরহীন খেলা, ফিটনেসের মাত্রা বাড়ানো, পেস বোলারদের একটা ইউনিট তৈরি করা, যারা বিদেশের মাটিতে ২০টা উইকেট নেবে। সেই সঙ্গে মনোভাব। বিশেষ করে যখন অজিদের সঙ্গে খেলতে হবে। আমি তো টিমকে বলেই দিয়েছিলাম, ওরা যদি একটা গালিগালাজ দেয়, তোমরা নিজেদের ভাষায় দুটো দাও, একটা ওদের ভাষায় দাও।’

জো রুটের সঙ্গে বসে যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন হিসেবে বেন স্টোকসকেই ভাবতে বলছেন শাস্ত্রী। ‘ক্যাপ্টেনের যে আগুন থাকার দরকার, সেটা স্টোকসের মধ্যে আছে। ও এখন দারুণ ক্রিকেটার। গত বছর ইংল্যান্ডকে যতটা দেখেছি, টিমটার প্রচুর প্রতিভা। একটা টিমের সাফল্যের জন্য কিন্তু মানসিকতাটা বদলাতে হয়। সেটা ইংল্যান্ড পারবে।’