Jhulan Goswami on Titas Sadhu: এশিয়াডে ভারতের সোনা জয়ের কারিগর তিতাসে মুগ্ধ ঝুলন গোস্বামী
Asian Games 2023, Cricket: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে তিতাস সাধু প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন। তার মধ্যে ২০টি ডট বল। গতি এবং সুইংয়ে বাজিমাত করেছিলেন সে বার। এ বারও যেন ঠিক তাই। এশিয়াডের ফাইনালে তিতাস ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ডট বল ১৮টি। এই দুই ফাইনালে তিতাসের পারফরম্যান্স প্রমাণ করে তিনি বড় ম্যাচের প্লেয়ার। এমনটা মনে করেন ভারতীয় কিংবদন্তি ঝুলন গোস্বামী।

চলতি বছরেই জুনিয়র টিমের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন বাংলার মেয়ে তিতাস সাধু (Titas Sadhu)। এ বার সিনিয়র টিমে পা রেখেই এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) সোনাও জিতলেন তিতাস। ফাইনালের মঞ্চ যেন বরাবরই তিতাসকে বেশি তাতায়। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে তিতাস সাধু প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন। তার মধ্যে ২০টি ডট বল। গতি এবং সুইংয়ে বাজিমাত করেছিলেন সে বার। এ বারও যেন ঠিক তাই। এশিয়াডের ফাইনালে তিতাস ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ডট বল ১৮টি। এই দুই ফাইনালে তিতাসের পারফরম্যান্স প্রমাণ করে তিনি বড় ম্যাচের প্লেয়ার। এমনটা মনে করেন ভারতীয় কিংবদন্তি ঝুলন গোস্বামী। প্রথম বার এশিয়াডে মেয়েদের ক্রিকেটে ভারত সোনা জেতার পর TV9 Bangla Sports-কে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময় তেমনটাই জানালেন চাকদা এক্সপ্রেস।
ঝুলন গোস্বামী বলেন, ‘তিতাস বড় ম্যাচে এমন পারফরম্যান্স করছে, দারুণ লাগছে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ও অসাধারণ পারফর্ম করেছিল। আজ এশিয়ান গেমসের ফাইনালেও তিতাস অসাধারণ স্পেল করল। তা থেকেই বোঝা যায় ওর মাইন্ডসেট খুব ভালো। নিজের ভূমিকা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা রয়েছে। ওকে কী করতে হবে সেটা ভালো করে জানে। আজ ওকে দেখলাম সঠিক জায়গায় বল করে গিয়েছে। নিজের বেসিক ঠিক রেখে। স্লো উইকেটে আপ ফ্রন্টে ৩টে উইকেট নিয়েছে। ম্যাচের মোমেন্টাম সেট করে দিয়েছিল ও। যাতে ভারত সুবিধা পায়। আজ তিতাসের এই পারফরম্যান্স আগামী দিনে ওকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সামনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ রয়েছে। সেখানে হয়তো সুযোগ পাবে। ওকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। তবে আরও বেশি করে এমন পারফর্ম করতে হবে ওকে। দেশের জন্য খেলতে হবে।’
এশিয়াডে মেয়েদের ক্রিকেটে সোনার পদকের ম্যাচে ভারত মাত্র ১১৬ রান তুলেছিল। ফাইনালে এই অল্প রানের পুঁজি নিয়ে লড়াই করলেন ভারতীয় বোলাররা। এই প্রসঙ্গে ঝুলন বলেন, ‘উইকেট খুব স্লো ছিল। ১২০-১২৫ স্কোরও উইনিং রান বলতে হয়। অসমান বাউন্সও ছিল। মিডিয়াম পেসারের বল থমকে আসছিল। গুড লেন্থ থেকে বল গিয়ে গায়ে, মাথায় লাগছিল। সেক্ষেত্রে ওই রকম উইকেটে ব্যাট করা সহজ নয়। ভারতীয় ব্যাটাররা চেষ্টা করেছে এবং কমপক্ষে ১২০-র কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছে। শ্রীলঙ্কার আপ ফ্রন্টের তিনটে উইকেট হারানোটা ছিল বড় ধাক্কা। আমার মনে হয় চামারি আতাপাত্তুর উইকেট নেওয়ার পর শ্রীলঙ্কা ব্যকফুটে চলে যায়। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।’
সামনে ঘরের মাঠে বেশ কিছু সিরিজ। তিতাসকে নিয়ে ঝুলনের মতো স্বপ্ন দেখছে বাংলার ক্রিকেটও। মূল লক্ষ্য থাকবে আইসিসি টুর্নামেন্ট। কিংবদন্তি ঝুলনও একাধিক বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছেন। কিন্তু ট্রফি আসেনি। এশিয়াডের এই সোনা, সিনিয়র দলকে আইসিসি ট্রফিরও প্রেরণা দেবে। হয়তো ঝুলনের আক্ষেপ মিটতে পারে তিতাসে!
