কলকাতা: এক লাফে চাঁদে! এ ভাবেও ব্যাখ্যা করলে বোধহয় ভুল হবে না। কিংবা বলা যেতে পারে, এই ছিলেন নামচে বাজারে, এই এভারেস্টের মাথায়। রিটেন লিস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার কয়েক সেকেন্ড আগেও ভাবা যায়নি তাঁর নামের পাশে কোটি-কোটি শব্দটা বসাতেই হবে। কোটিপতি যে তিনি হচ্ছেন, জানা ছিল। তাই বলে বিপুল মাইনে পাবেন, একবারও মনে হয়নি। আইপিএল রাতারাতি কোটিপতি দেখেছে এর আগেও। কিন্তু তিনি বোধহয় অন্য গ্রহের মানুষ। ৫ মিনিট আগেও যাঁকে লাখপতি বলা হত, তাঁকেই এখন বলতে হচ্ছে ১৩ কোটির মালিক। এমন আশ্চর্য উত্থান কার? এত ভাবার দরকার নেই, তিনি রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। ২০২২ সালের আইপিএলে যাঁর বিস্ফোরক উত্থান। ২০২৩ সালেও যিনি ধারাবাহিক ভাবে সেরা দেওয়ার চেষ্টাই করে গিয়েছেন। এই রিঙ্কুকে শুধু রিটেন করা নয়। আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিনদের মতো তারকাদের স্যালারি কমিয়ে তাঁর মাইনে বাড়ানো হয়েছে।
রিঙ্কুকে ধরে রাখতে হলে কেকেআরকে ন্যূনতম ১১ কোটি দিতে হত। নাইটরা রিঙ্কুকে যে হারাতে চাইবেন না, তা জানাই ছিল। শুধু টিমে রেখে দেওয়া নয়। বাড়তি সম্মান ও মাইনে দুইই একসঙ্গে বাড়ানো হল। কারণ কী? প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকর যুক্তি তুলে ধরলেন, ‘যে ছেলে ২০২২ সালের আইপিএলে দুরন্ত পারফর্ম করে, তাঁকেই পরের আইপিএলে সেই অর্থে ব্যবহার করা হয়নি। এই অপরাধবোধ বোধ হয় কেকেআর ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্তাদের মধ্যে কাজ করেছে। তাই ওর স্যালারি ২ কোটি টাকা বাড়িয়ে টিমে রেখেছে কেকেআর।’
আরও পরিষ্কার করে বললে, রাসেল এবং নারিন দু’জনের ক্ষেত্রেই সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। এই অঙ্ক আরও পরিষ্কার বোঝাতে হলে বলতে হয়, কেকেআরের সবচেয়ে দামি প্লেয়ারের নাম এখন রিঙ্কু সিং। ন্যূনতম ১১ কোটির বদলে তাঁকে দেওয়া হল ১৩ কোটি। রিঙ্কুর বিপুল জনপ্রিয়তা, দায়বদ্ধতা, কার্যত অন্ধকার থেকে আলোয় উঠে আসা — অনেক অনুসঙ্গ কাজ করেছে এমন অবিশ্বাস্য উত্তরণের ক্ষেত্রে।
গত আইপিএল থেকেই একটা অঙ্ক প্রায়ই ভেসে উঠছে নাইট শিবিরে। কেকেআরের পরবর্তী ক্যাপ্টেন কে হবেন? শ্রেয়স আইয়ারকে রিটেন করল না টিম। এমনকি ভাইস ক্যাপ্টেন নীতীশ রানাও নন। কেকেআর কী তবে কোনও এক যুব নেতাকে তুলে ধরতে চাইছে? উত্তরপ্রদেশ টি-২০ লিগে ক্যাপ্টেন হিসেবে অভিষেক হয়েছে তাঁর। এমনকি চ্যাম্পিয়নও হয়েছে তাঁর টিম। কেকেআরের নতুন ক্যাপ্টেনের নাম কি রিঙ্কু সিং?
২২ গজ কিন্তু অনেক আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষী থেকেছে!