আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কামব্যাক হল মহম্মদ সামির। দীর্ঘদিন পর। ২০২৩ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পর প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তাঁর উপর অতিরিক্ত চাপ দিতে নারাজ টিম ম্যানেজমেন্ট। সে কারণেই তিন ওভার বোলিং করানো হল সামিকে দিয়ে। এই ম্যাচে উইকেট না পেলেও বেশ কিছু ডেলিভারিতে সেই পুরনো সামির ঝলক দেখা গেল। তবে গত তিন ম্যাচের মতো ইংল্য়ান্ড ব্যাটারদের মূলত চাপে ফেলল ভারতের স্পিন আক্রমণই। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে ইংল্য়ান্ডের স্কোর ৯ উইকেটে ১৭১।
ভারতের হয়ে এ দিন বোলিং ওপেন করেন মহম্মদ সামিই। প্রথম ডেলিভারিতে ফিল সল্টকে বিট করেছিলেন। দ্বিতীয় ডেলিভারিতে বাউন্ডারি। দ্রুতই সুইংয়ে বাজিমাত করেন। প্রথম ওভারে মাত্র ৬ রান দেন সামি। স্পেলের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম ডেলিভারিই অনবদ্য। আউট সুইংয়ে বাটলারকে বাজিমাত করেন। এমনকি কিপার সঞ্জু স্যামসন বল আটকালেও গ্লাভসে জমাতে পারেননি। ধীরে ধীরে গতিও বাড়ান মহম্মদ সামি। দ্বিতীয় ওভারে ৯ রান দেন। শুরুটা ভালো হলেও ওভারের শেষ ডেলিভারিতে অনবদ্য একটি শট খেলেন বাঁ হাতি ওপেনার বেন ডাকেট। সামি তিন ওভারের স্পেল শেষ করেন ১৯তম ওভারে। সব মিলিয়ে ৩ ওভারে ২৫ রান দেন।
রাজকোটের মাঠে ১৮০ প্লাস স্কোর প্রয়োজন, এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ইংল্যান্ড তার কাছাকাছি পৌঁছল। এর জন্য় কৃতিত্ব প্রাপ্য বেন ডাকেটের। ২০২২ সালের পর অবশেষে কেরিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি হাফসেঞ্চুরি বেন ডাকেটের। তাঁকে ফেরান ভাইস ক্যাপ্টেন অক্ষর প্য়াটেল। স্টেপ আউট করে স্লগ সুইপ খেলেছিলেন। লং অন বাউন্ডারিতে অভিষেক শর্মার হাতে ক্যাচ। ২৮ বলে ৫১ রান করেন বেন ডাকেট। ইনিংসের শেষ দিকে ২৪ বলে ৪৩ রানের ঝড় তোলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। এ ছাড়াও ক্যাপ্টেন জস বাটলার করেন ২২ বলে ২৪ রান।