
দুবাই: সামনে টিম ইন্ডিয়াকে (Team India) পেলেই ট্রাভিস হেড (Travis Head) যেন জ্বলে ওঠেন। সাম্প্রতিক অতীতে তা বেশি বেশি দেখা গিয়েছে। টিম ইন্ডিয়ার কাছে তাই যে কারণে বড় ‘মাথা’ব্যথা হয়ে উঠেছিলেন হেড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) সেমিফাইনালে অবশ্য ভারতীয় বোলারদের বেশিক্ষণ হেডকে সামলাতে হয়নি। শুরুতেই অবশ্য হেডের যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তা কার্যকরী হয়নি। এরপর তিনি খেলা চালিয়ে যান ৮.২ ওভার অবধি। তারপর ভারতের মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী তুলে নেন হেডের উইকেট। দুরন্ত ক্যাচ নেন গিল। এরপরও তাঁকে সতর্কবার্তা দেন আম্পায়ার। কিন্তু কেন?
কুপার কোনোলি শূন্যে আউট হওয়ার পর স্টিভ স্মিথের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ট্রাভিস হেড। এই জুটিকে ভারতের বোলাররা ভাঙতে বেগ পাচ্ছিলেন। অবশেষে নবম ওভারে সাফল্য ধরা দেয় বরুণের ডেলিভারিতে। খানিক দৌড়ে এসে লং অফে হেডের ক্যাচ তালুবন্দি করেন শুভমন গিল। সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য গিল বল মাঠের ভেতরের দিকে ছুড়ে দেন। এরপরই অনফিল্ড আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ সতর্ক করেন শুভমনকে। তিনি জানান, ক্যাচ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন বল না ছাড়েন।
এমসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ফিল্ডার যখন ক্যাচ ধরেন, সেই সময় নিজে ভারসাম্য ফিরে না পাওয়া অবধি বল ছাড়া চলবে না। আর দুবাইতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচে শুভমন অজি ওপেনার হেডের ক্যাচ নিয়ে দ্রুত বল ছেড়ে দিয়েছিলেন। যে কারণে তরুণ তারকাকে সতর্ক করেন আম্পায়ার ইলিংওর্থ। প্রসঙ্গত, ৩৩ বলে ৩৯ রান করে মাঠ ছাড়েন ট্রাভিস হেড। রয়েছে ২টি ছয় ও ৫টি চার। স্ট্রাইকরেট ১১৮.১৮।