Virat Kohli Press Conference: ‘নতুন করে কিছু প্রমাণ করার নেই আমার’, বলছেন বিরাট
সেই বিস্ফোরক প্রেস মিটের পর আর মিডিয়ার সামনে আসেননি তিনি। চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে পারেননি। ফিট হয়ে তৃতীয় টেস্টে টিমের ফিরছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)।
অভিষেক সেনগুপ্ত
সেই বিস্ফোরক প্রেস মিটের পর আর মিডিয়ার সামনে আসেননি তিনি। চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে পারেননি। ফিট হয়ে তৃতীয় টেস্টে টিমের ফিরছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। জোহানেসবার্গ টেস্টে জিতে সিরিজে দুরন্ত ভাবে ফিরে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। এই সিরিজকে যদি ইতিহাসে মুড়ে রাখতে হয়, তা হলে কেপ টাউনে জিততেই হবে ভারতকে (India)। টিম যেমন প্রবল চাপের মুখে, বিরাট নিজেও কি কম? ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইডেনে শেষ টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। তার পর আর বড় রান নেই ভিকে-র ব্যাটে। কেপ টাউন টেস্টের আগে ফোকাসড বিরাট অ্যান্ড কোম্পানি।
বিরাট ফিরছেন। কিন্তু মহম্মদ সিরাজ চোটের কারণে তৃতীয় টেস্টে নেই। তাঁর পরিবর্ত হিসেবে কেপ টাউনের বাউন্সি উইকেটে ইশান্ত শর্মা না উমেশ যাদব, কাকে খেলাতে চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ডিন এলগারের টিমের বিরুদ্ধে নেমে পড়ার আগে যা বললেন বিরাট, তাই তুলে ধরা হল…
নিজের ফর্ম নিয়ে…
এই প্রথম নয়, এর আগেও আমার ফর্ম নিয়ে কথা হয়েছে। ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফর যেমন। বাইরের লোকজন আমাকে যেভাবে আতসকাচ নিয়ে দেখার চেষ্টা করছে, সে ভাবে নিজেকে দেখছি না। আমি নিজের একটা মান তৈরি করেছি। একটা কথা খুব পরিষ্কার, টিমের হয়ে প্রতি ম্যাচেই আমি পারফর্ম করতে চাই। বাইরে আমাকে নিয়ে কে কী বলছে, তা নিয়ে ভাবছি না। নতুন করে নিজেকে প্রমাণ করার কিছু নেই আমার।
পন্থের ভুল নিয়ে…
প্র্যাক্টিসে পন্থের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে। ব্যাটসম্যানই সবচেয়ে আগে বুঝতে পারে, কী ধরনের শট খেলে সে আউট হয়েছে। কেরিয়ারে সবাই ভুল করে। আমি করেছি, সবাই করেছে। কোন পরিস্থিতিতে কে কী ভুল করেছি, সেটা যদি সে বুঝতে পারি, তা হলে একই ভুল আর হয় না। এমএস ধোনি কেরিয়ারের শুরুর দিকে আমাকে বলেছিল, দুটো ভুলের মধ্যে যেন সাত-আট মাসের ফারাক থাকে। এটা আমি মাথায় বসিয়ে নিয়েছিলাম। আমার বিশ্বাস, ঋষভও নিজের ভুল এভাবেই শুধরে নেবে।
পেস অ্যাটাক…
যখন ক্যাপ্টেন হয়েছিলাম, ৭ নম্বর টিম ছিলাম আমরা। গত চার-পাঁচ বছরে আমরা এক নম্বরে উঠে এসেছি। একটা নির্দিষ্ট রাস্তা অনুসরণ করেছি। প্রতিটা দিন সেরাটা দেওয়া চেষ্টা করি। আমাদের টিমের পেস বোলিং অ্যাটাক এতটাই ভালো যে, প্রতিটা ম্যাচের আগে দ্বিধায় থাকি, কাকে খেলানো উচিত। আর তার জন্য আমার কম গর্ব নেই। পেসারদের উপর অনেকটাই নির্ভর করেছে আমাদের টেস্ট পারফরম্যান্স।
রাহুলের ক্যাপ্টেন্সি
সেকেন্ড টেস্টে ওর ক্যাপ্টেন্সিতে যথেষ্ট ভারসাম্য ছিল। চেষ্টা করেছিল ও টিমের বোলারদের ব্যবহার করার। সেই মতো ফিল্ড সেট করেছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমি যা করে থাকি, রাহুলও তাই করেছে।
জাডেজার না থাকা…
জাডেজা নিঃসন্দেহে দারুণ প্লেয়ার। তবে আমার মনে হয় না, ওকে আমরা মিস করেছি। অশ্বিন নিজের ভূমিকাটা যথাযথ পালন করেছে। চমত্কার খেলেছে। আমার বিশ্বাস, অশ্বিন যে কোনও কন্ডিশনে নিজের খেলাটা খেলতে পারবে।
মিডল অর্ডারের বদল…
মিডল অর্ডারের বদল নিয়ে কথা বলতে পারব না। এটা জোর করে হয় না। যদি জো’বার্গের টেস্টের কথা বলি, পূজারা আর রাহানে দারুণ খেলেছে। ওরা দু’জন এর আগেও টিমের জন্য এ ভাবে পারফর্ম করেছে। বদল সব সময়ই হয়। কিন্তু সেটা স্বাভাবিক নিয়মে। জোর করে নয়।