কলম্বোর আর প্রেমদাসা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বিরাট কোহলির অন্যতম পয়া মাঠ। কিন্তু এ বার যেন দুঃস্বপ্নের সিরিজ। শ্রীলঙ্কার মাটিতে এমন পরিস্থিতিতে শেষ কবে পড়েছিলেন বিরাট কোহলি? তিনি নিজেও হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন। মনে করাল এই সিরিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেই দেশের হয়ে এই ফরম্যাটকে বিদায় জানিয়েছিলেন। নজর বাকি দুই ফরম্যাটে। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পর আর এই ফরম্যাটে খেলেননি বিরাট কোহলি। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও ছুটিতে ছিলেন। শ্রীলঙ্কা সফরেও বিশ্রামের কথা ছিল। কিন্তু গৌতম গম্ভীর কোচ হতেই পরিস্থিতির বদল হয়। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ওয়ান ডে ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি শুরু করতে শ্রীলঙ্কায় বিরাটদের চেয়েছিলেন গম্ভীর। প্রস্তুতির শুরুটা অবশ্য ভালো হল না।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরু থেকে প্রবল অস্বস্তিতে ছিলেন বিরাট কোহলি। তার আগে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন। স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বকাপে কোহলিকে নিয়ে বিরাট প্রত্যাশা ছিল। তা পূরণ হচ্ছিল না। টিম ম্যানেজমেন্ট ভরসা রাখেন। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাও বলেন, ফাইনালের জন্য সেরা ইনিংস তুলে রেখেছেন বিরাট। তৎকালীন কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও ভরসা হারাননি। মর্যাদা রেখেছিলেন বিরাটও। ফাইনালে অনবদ্য একটা ইনিংস খেলেন। ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতে নেন। শ্রীলঙ্কায় সিরিজের শেষ ম্যাচে বিরাট কোহলির কাছে যেন এমনই প্রত্যাশা ছিল।
শ্রীলঙ্কায় প্রথম ওয়ান ডে-তে শুরুটা ভালো হয়েছিল বিরাটের। যদিও বড় ইনিংস আসেনি। ২৪ রানে লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গার বোলিংয়ে লেগ বিফোর হয়ে ফেরেন বিরাট। দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তেও লেগ স্পিনের শিকার। জেফরি ভ্যানডারসের বোলিংয়ে লেগ বিফোর। দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ১৪। শেষ ওয়ান ডে-তে বিধ্বংসী শুরু করেন। যদিও দীর্ঘস্থায়ী হল না ইনিংস। বাঁ হাতি স্পিনার দুনিথ ওয়েলালাগের শিকার বিরাট। আজকের ম্যাচে ১৮ বলে ২০ রানে ফেরেন। তিন ম্যাচেই লেগ বিফোর।
এই সিরিজে তাঁর ব্যাটিং গড় ১৯.৩৩। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে-তে সাতটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এটিই সবচেয়ে কম। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ৬০-এর নীচে ব্যাটিং গড় এর আগে একবারই ছিল। ২০০৮ সালে সেটি ছিল বিরাটের অভিষেক সিরিজ। ৩১.৮০ গড় ছিল সে বার। গৌতম গম্ভীর অধ্যায়ে প্রথম সিরিজে হতাশা নিয়েই ফিরতে হচ্ছে বিরাট কোহলিকে।