
এশিয়া কাপের সেই দুটি সংস্করণ মনে পড়ে? প্রথম ১৯৮৬ সালের এশিয়া কাপ। শ্রীলঙ্কায় যায়নি ভারতীয় দল। এশিয়া কাপ হয়েছিল ভারতকে ছাড়া। সেই একবারই এশিয়া কাপে খেলেনি ভারত। তেমনই ১৯৯০-৯১ সংস্করণে পাকিস্তান খেলেনি। এ বারও পরিস্থিতি তেমনই তৈরি হয়েছিল। মাঠের পারফরম্যান্সে হতাশ করেছে পাকিস্তান। মাঠের বাইরেও নানা বিতর্ক তৈরির চেষ্টা। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিবাদে ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা পাকিস্তানি প্লেয়ারদের সঙ্গে হাত মেলাননি। অপমানিত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড হুঁশিয়ারি দিয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর। যদিও শেষ অবধি কিছুটা নাটক করে টুর্নামেন্টে রয়েছে পাকিস্তান। আরব আমির শাহির বিরুদ্ধে ম্যাচে একঘণ্টা দেরিতে মাঠে আসে পাকিস্তান টিম। ম্যাচও শুরু হয়েছিল দেরিতে। আজ সুপার ফোরে ফের মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান।
পাকিস্তান ক্রিকেট টিম মাঠের বাইরের বিষয়ে বেশি নজর দিচ্ছে। যেমন ভারত অধিনায়ক হাত না মেলানোয় ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে সরানোর দাবি তুলেছিল। আইসিসি সেই দাবি মেনে নেয়নি। আজকের ম্যাচেও থাকবেন পাইক্রফ্ট। ভারতীয় দল নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে বেশি সচেতন। গ্রুপে তিনটির মধ্যে তিনটি ম্যাচেই জিতেছে ভারত। তবে শেষ ম্যাচে ওমানের বিরুদ্ধে বোলিং কিছুটা চিন্তায় রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। এই ম্যাচে ফিরছেন জসপ্রীত বুমরা ও মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। বোলিং সমস্যা কাটবে এমন প্রত্যাশা করাই যায়।
ব্য়াটিং নিয়ে অবশ্য় খুব বেশি ভাবনার জায়গা নেই। প্রথম দু-ম্যাচে একাদশে থাকলেও ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি সঞ্জু স্য়ামসন। ওমান ম্যাচে তাঁকে তিনে পাঠানো হয়। দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরি করেন সঞ্জু। অভিষেক শর্মা প্রতি ম্যাচেই বিধ্বংসী স্টার্ট করছেন। ওমান ম্যাচেও তার অন্য়থা হয়নি। অপেক্ষা শুধু তাঁর একটা বড় ইনিংসের। তবে যে ধরণের স্টার্ট প্রয়োজন সেটাই দিচ্ছেন অভিষেক।
আর এক ওপেনার তথা ভাইস ক্য়াপ্টেন শুভমন গিল গত ম্যাচে রান না পেলেও চিন্তার কিছু নেই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফর্মে ছিলেন না ক্য়াপ্টেন সূর্যকুমার যাদব। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অনবদ্য় ইনিংস খেলেছিলেন। ওমান ম্য়াচে অবশ্য় ব্য়াটই করেননি স্কাই। তবে অক্ষরের ক্য়ামিও ইনিংস প্রশংসনীয়। সব মিলিয়ে আত্মবিশ্বাসে অনেক এগিয়ে থেকেই নামবে ভারত।