
এশিয়া সেরার লড়াই। আর মাত্র একটা ম্যাচ। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারতের কাছে কঠিন পরীক্ষা। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল ভারত। এখনও অবধি আটবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এ বারের দৌড়ও দুর্দান্ত। গ্রুপ পর্বে তিনে তিন। সুপার ফোরেও সব ম্যাচ জিতেছে। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ভারতের সামনে। দীর্ঘ ৪১ বছর আগে শুরু হয়েছিল এশিয়া কাপ। কিন্তু ফাইনালে কখনও মুখোমুখি হয়নি ভারত ও পাকিস্তান। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম বার মুখোমুখি হতে চলেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল। গ্রুপ এবং সুপার ফোরে পাকিস্তানকে ইতিমধ্যেই হারিয়েছে ভারতীয় দল। টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের হ্যাটট্রিক এবং নয় নম্বর ট্রফিই লক্ষ্য ভারতের।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ভারতীয় দলকে ফেভারিট তকমা দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রাক টুর্নামেন্ট প্রেস মিটে ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব মন্তব্য করেছিলেন, কেউই ফেভারিট নয়। এ সবই মুখের কথা। পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ভারত ফেভারিট কেন, তা দেখিয়ে দিয়েছে। তবে নিঁখুত ক্রিকেট খেলেছে ভারত তা বলা যায় না। জসপ্রীত বুমরাকে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ওমানের বিরুদ্ধে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। তেমনই সুপার ফোরেও শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। এই দুই ম্যাচে বোলিং কিন্তু চিন্তায় রেখেছিল ভারতকে।
এটাই একমাত্র ভাবনা নয়। ব্যাটিংয়েও অভিষেক শর্মাকে বাদ দিয়ে কেউ ধারাবাহিক পারফর্ম করতে পারেননি। বিশেষ করে বলতে হয় ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদবের কথা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ বছর তাঁর পারফরম্যান্স চিন্তায় রেখেছে। এশিয়া কাপেও খারাপ ফর্মের ধারা অব্যহত। ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়গা নেই। কিন্তু ব্যাটিং ভাবনার বিষয়। স্কাইয়ের ব্যাট চললে চিন্তা কমবে।
পাকিস্তান এবারের টুর্নামেন্টে ভারতের বিরুদ্ধে ছাড়া বাকি সব ম্যাচই জিতেছে। বহু আগে পাকিস্তানের কিপার ব্যাটার মহম্মদ রিজওয়ান একটা মন্তব্য় করেছিলেন, পাকিস্তান হয় জেতে নয়তো শেখে! রিজওয়ান এশিয়া কাপের স্কোয়াডে সুযোগ পাননি। কিন্তু তাঁর মন্তব্য যেন ঘুরে ফিরে আসে। পাকিস্তান গত দুই ম্যাচে শিখেছে। ভারতকে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হতেই পারে।