IPL: গেইলকে গিলে খাবে পুরানগাথা! ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ছক্কার দুনিয়ায় নতুন নবাব?
আইপিএলে চার-ছয়ের বন্য়া দেখতেই অভ্যস্ত দর্শকরা। আর প্রতি মরসুমের মোট ছয় ও চারের সংখ্যা যদি দেখা যায় যে সেই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মোট এই ১৮ সিজনে যে কত অজস্র ছয় হয়েছে তার সংখ্যা যদি দেখা হয় তবে তা ১৩ হাজারের গন্ডি পেরিয়ে যাবে।

চলতি মরসুমে সাবালক হয়েছে আইপিএল। ১৮ টি সিজনে অনেক রেকর্ড হয়েছে, অনেক রেকর্ড ভেঙেছে। অনেক নতুন খেলোয়াড়ের জন্মও হয়েছে এই আইপিএলে। আবার আইপিএলকেই কেরিয়ার শেষ করার প্ল্য়াটফর্ম হিসেবে বেছে নেন অনেকেই। সেই আইপিএলে এক এক সিজনে কত ছয় হয় তা হয়তো অনেকেই জানেন। টিভির পর্দায় সেই পরিসংখ্য়ান মাঝে মাঝেই দেখানো হয়। জানেন কি ছক্কা হাঁকানোর এমন একটি রেকর্ড রয়েছে যা সেই ২০১২ সাল থেকে কখনওই ভাঙা যায়নি।
আইপিএলে চার-ছয়ের বন্য়া দেখতেই অভ্যস্ত দর্শকরা। আর প্রতি মরসুমের মোট ছয় ও চারের সংখ্যা যদি দেখা যায় যে সেই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মোট এই ১৮ সিজনে যে কত অজস্র ছয় হয়েছে তার সংখ্যা যদি দেখা হয় তবে তা ১৩ হাজারের গন্ডি পেরিয়ে যাবে। গত তিনটে মরসুমে গড়ে হাজারেরও বেশি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ব্যাটাররা। তাহলে এমন কি রেকর্ড রয়েছে যা এত সবের পরেও ভাঙা যাচ্ছে না? এই মরসুমে এমন একজন রয়েছেন, যিনি এই রেকর্ড ভাঙতে পারেন। চলুন জেনে নিই।
আইপিএলে একটা সময় ঝড় বইত, যা উড়িয়ে নিয়ে যেত বোলারদের। নামটা সবারই খুব পরিচিত— গেইল ঝড়। আজ অবধি এত ছক্কা মেরেছেন এই ক্যারিবিয়ান, সেই সংখ্য়া কেউ ছুঁতে পারেননি। ২০১১ সালে এক সিজনে ৪৪ টি ছক্কা মেরে রেকর্ড গড়েছিলেন গেইল। এর পরের বছরই আবার এক সিজনে ৫৯ টি ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের রেকর্ড নিজেই ব্রেক করেছেন। এর পরের বছরই আবার ৫১ টি ছক্কা মারেন। ৪৪ এবং ৫১ ছক্কার রেকর্ড ভাঙা গেলেও এখনও এক সিজনে ৫৯ ছক্কার রেকর্ডটি অক্ষত।
গেইলের পরেই এই তালিকায় আরও এক ক্য়ারিবিয়ান রয়েছেন। ৫২টি ছক্কা মেরে দ্বিতীয় স্থানে আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু এমন একজন রয়েছেন, যিনি এই রেকর্ড ভাঙতে পারেন। তিনিও অবশ্য এক ক্য়ারিবিয়ান ব্য়াটার। তিনি আর কেউ নয়, লখনউ সুপার জায়ান্টসের স্টার ব্য়াটার নিকোলাস পুরান। এর আগে এক সিজনে সর্বোচ্চ ৩৬টি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। এবারে ১০ ম্য়াচে ইতিমধ্যেই মেরেছেন ৩৪টি ছয়। পারবেন কি রেকর্ড ভাঙতে?
চলুন পরিসংখ্যান দিয়ে দেখি। রেকর্ড ভাঙতে অন্তত ৬০টি ছয়ের প্রয়োজন। তা করতে পুরানকে এখনও ২৬টি ছয় মারতে হবে। প্লে অফে লখনউ পৌঁছতে পারলে সুযোগ বেশি। কিন্তু যদি চারটি লিগ ম্যাচ দেখি তবে অন্তত দুটি ম্য়াচে সাতটি করে ছয় মারতে হবে। আর প্লে অফ অবধি খেললে ৫টি করে। যদি ফাইনালে উঠতে পারে তবে ৪টি করে ছয় মারতে হবে প্রতি ম্য়াচে। যা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।
