FIFA World Cup 2022: ক্রোয়েশিয়া নাকি আর্জেন্টিনা, পেনাল্টি শুট-আউটে কোন টিমের রেকর্ড জবরদস্ত?
Argentina vs Croatia: আজ লুসেইল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়া (Argentina vs Croatia) প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচ। এই ম্যাচের ভাগ্যও কি নির্ধারিত হবে টাইব্রেকারে?
দোহা: সেই ১৯৮২ সাল থেকে বিশ্বকাপে পেনাল্টি শুট-আউটের ভূমিকা চলে আসছে। কাতার বিশ্বকাপে (Qatar World Cup 2022) শেষ ষোলোর পর্ব থেকে জয় পরাজয় নির্ধারিত হচ্ছে এই নিয়মে। কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া ও আর্জেন্টিনা দুটো টিমই পেনাল্টি শুট-আউটে স্নায়ুর চাপ সামলে সেমিফাইনালে পা রেখেছে। আজ লুসেইল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়া (Argentina vs Croatia) প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচ। এই ম্যাচের ভাগ্যও কি নির্ধারিত হবে টাইব্রেকারে? মাঠে বল গড়ানোর পরই এর সম্ভাবনা কতটা তা বোঝা যাবে। তার আগে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বকাপের মঞ্চে টাইব্রেকারে দুটি দলের রেকর্ড কেমন? তুলে ধরল টিভি৯ বাংলা।
নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়েও হার-জিত নির্ধারিত না হওয়ায় ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপ থেকে নকআউটের ম্যাচগুলিতে পেনাল্টি শুটের নিয়ম শুরু হয়। সে বার এই নিয়মের প্রয়োজন পড়েনি। প্রথমবার ১৯৮২ সালের সেমিফাইনালে ফ্রান্স বনাম জার্মানি ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ১৯৮২ থেকে ২০২২ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ৩৪বার ম্যাচ গড়িয়েছে টাইব্রেকারে। আর্জেন্টিনা তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ৬ বার এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। এক্ষেত্রে আর্জেন্টাইনদের রেকর্ড বেশ ভালো। ছয়বারের মধ্যে পাঁচ বারই জিতেছে আর্জেন্টিনা। এক বার পরাজিত। অন্যদিকে বিশ্বকাপের মঞ্চে ক্রোয়েশিয়াকে এখনও পর্যন্ত টাইব্রেকারে হারের মুখ দেখতে হয়নি।
পেনাল্টি শুট-আউটে আর্জেন্টিনার জয়
- ১৯৯০ সালের কোয়ার্টার ফাইনাল: আর্জেন্টিনা ৩-২ যুগোস্লাভিয়া
- ১৯৯০ সালের সেমিফাইনাল: আর্জেন্টিনা ৪-৩ ইতালি
- ১৯৯৮ সালের শেষ ষোলোর ম্যাচ: আর্জেন্টিনা ৪-৩ ইংল্যান্ড
- ২০১৪ সালের সেমিফাইনাল ম্যাচ: আর্জেন্টিনা ৪-২ নেদারল্যান্ডস
- ২০২২ সালের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ: আর্জেন্টিনা ৪-৩ নেদারল্যান্ডস
আর্জেন্টিনার হার
- ২০০৬ সালের কোয়ার্টার ফাইনাল: আর্জেন্টিনা ২-৪ জার্মানি
পেনাল্টি শুট-আউটে ক্রোয়েশিয়া
- ২০১৮ সালের শেষ ষোলোর ম্যাচ: ক্রোয়েশিয়া ৩-২ ডেনমার্ক
- ২০১৮ সালের কোয়ার্টার ফাইনাল: ক্রোয়েশিয়া ৪-৩ রাশিয়া
- ২০২২ সালের শেষ ষোলোর ম্যাচ: ক্রোয়েশিয়া ৩-১ জাপান
- ২০২২ সালের কোয়ার্টার ফাইনাল: ক্রোয়েশিয়া ৪-২ ব্রাজিল