AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mohun Bagan: কী করেছেন, করতে চান…, নির্বাচনী ‘ইসতেহার’ প্রকাশ মোহনবাগান শাসক শিবিরের

Mohun Bagan Election Campaign: সেটাই তুলে ধরেন মোহনবাগানের বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্ত। প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্তকে নিয়ে বলেন, 'দেখবেন, আমার পাশের লোকটি যেন ধাক্কা না খায়...।' শাসক গোষ্ঠীর তরফে নির্বাচনের আগে যা বলা হয়েছে, তুলে ধরা হল।

Mohun Bagan: কী করেছেন, করতে চান..., নির্বাচনী 'ইসতেহার' প্রকাশ মোহনবাগান শাসক শিবিরের
Image Credit source: OWN PHOTOGRAPH
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 22, 2025 | 9:11 PM

মোহনবাগানে নির্বাচনী হাওয়া। এ দিন কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে দেবাশিস দত্তর দেবাশিস দত্তর ইসতেহার প্রকাশ। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মানস ভট্টাচার্য, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যদিও এটিকে ঠিক ইসতেহার বলছে না বর্তমান শাসক গোষ্ঠী। বরং এতদিন কী করেছেন এবং নির্বাচনে জিতে ফিরলে আরও কী করবেন, সেটাই তুলে ধরেন মোহনবাগানের বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্ত। প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্তকে নিয়ে বলেন, ‘দেখবেন, আমার পাশের লোকটি যেন ধাক্কা না খায়…।’ শাসক গোষ্ঠীর তরফে নির্বাচনের আগে যা বলা হয়েছে, তুলে ধরা হল।

কী করেছেন, কী করতে চান…

আর্মি থেকে অনুমতি নিয়ে সংগ্রহশালা তৈরি। কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করেছি, অরিজিনাল একটা রেপ্লিকা বানিয়ে দেওয়া। আইএসএলকে বলা হয়েছে। তা হলে ওই ট্রফি ক্যাবিনেটে থাকবে। সদস্যদের ক্ষোভ মিটে যাবে।

পরপর ২ বছর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলছি। এবার ওখানে সাফল্যের পথ খুঁজতে হবে।

১০-১২ বছরের দিয়ে ইয়ুথ ফুটবল শুরু হবে। প্রোজেক্ট এর নাম গোল থ্রি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই প্রোজেক্টের নামকরণ।

নিজেদের মাঠ, স্টেডিয়াম করা স্বপ্নের। এই মাঠ আর্মির। সেই অভিপ্রায়ে এগবো। রাজ্য সরকারের সাহায্য নিয়ে গড়ে তুলতে পারব।

মহিলা ফুটবল দল, অঞ্জন মিত্রর ভাবনা। ফুটবল এখন কোম্পানির হাতে। মহিলা ফুটবল দল গড়ে তুলব। কোম্পানির সঙ্গে কথা বলছি। ভারতের এক নম্বর দল হবে। কাজ শুরু করেছি।

প্রাক্তন ফুটবলারদের জন্য ২৯ জুলাই দিনটি পালন হয়। ২০০১ থেকে শুরু হয়। টুটুদা আর অঞ্জনদার আমলে শুরু। প্রাক্তনদের যাতে যাওয়া আসে বাড়ে। সেই জন্য প্রাক্তনদের প্লেয়ার্স কর্নার গড়ে তোলা হবে। যেখানে প্রাক্তনরা আসতে পারবেন। আড্ডা মারতে পারবেন। বন্ধুদের আনতে হবে। প্রাক্তনরা যাওয়া আসা করলে তাঁদের সাহায্য পাব।

৫০ বছরের সদস্যপদ যাঁদের আছে, তাঁদের মাঠে এসে খেলার টিকিট নিতে সমস্যা হয়। মোহনবাগান জিনি নামে অ্যাপ চালু করব। ওই অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট পাঠিয়ে দেওয়া হবে বাড়িতে।

দক্ষিণ কলকাতা, উত্তর কলকাতা, হাওড়া এবং কলকাতার কিছু জায়গায় মোহনবাগান সেন্টার তৈরি করব। কম্পিউটার বসিয়ে সিস্টেম বসাব। সদস্যরা টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। মার্চেন্ডাইজ থেকেও বিক্রি করা হবে। ‘দুয়ারে মোহনবাগান’ নিয়ে যেতে পারব। মানুষের স্বপ্ন।

কংক্রিট গ্যালারির (মেম্বার্স গ্যালারি) উপর আচ্ছাদন করব।

অ্যাওয়ে স্ট্যান্ড সংস্কার হবে। মিলিটারির সঙ্গে কথা হয়েছে। ওই জায়গায় বয়স্ক আর বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য ওই জায়গাটা ব্যবস্থা করব। বিদেশে গিয়ে দেখেছিলাম ওদের সামনে নেট দিয়ে রাখে। শরীরে যাতে বল না আঘাত করে। সেরকম করব।

ফুটসল এবং পিকলবল কোর্ট গড়ে তোলার ভাবনা আছে।

সাড়া পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মোহনবাগানের নামে রাস্তা থাকবে। সেই লক্ষ্যে এগনো শুরু করেছি।

মেম্বার্স ডাইরেক্টরি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করব। যাতে ওয়েবসাইটে গেলে তাদের সব কিছু পাওয়া যাবে। মোহনবাগানের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে শুরু হবে।

নিউজ লেটার বের করব। অনলাইন আর হার্ড কপি হবে। মাসিক ভাবে শুরু করার ইচ্ছা আছে।

কলকাতা লিগের খেলা যাতে আমাদের মাঠে হয়, সেটা আইএফএ-কে জানিয়েছি ইতিমধ্যেই। বিকেল ৩ টে ৩০ কিংবা বা ৩টের সময় খেলা দিলে মানুষের অসুবিধা। ফ্লাডলাইটের ব্যবস্থা আছে। ৫ টা ৩০ এও খেলা দিন। সন্ধেবেলা খেলা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

বিশেষ ভাবে সক্ষমরা আইএসএলে মোহনবাগানের খেলা দেখতে চাইলে বিনামূল্যে তাঁদের খেলা দেখার ব্যবস্থা করা হবে। মোহনবাগান জিনির মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হবে। লিফ্টে করে গ্যালারিতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

সেরা সমর্থক যে বা যারা হবে তাকে বা তাদের মোহনবাগানের সদস্যপদ দেওয়া হবে। ওই সদস্যপদ সাম্মানিক নয়। আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হবে। সাম্মানিক সদস্যপদ এক বছরের হয়।