ফের বিতর্ক লাল-হলুদে, ওমিদ সিং ইস্যুতে ফিফার চিঠি ইস্টবেঙ্গলকে

এ দিন ফিফার তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ৪৫ দিনের মধ্যে জরিমানা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। নাহলে ফের ট্রান্সফার ব্যানের মুখে পড়বে ইস্টবেঙ্গল।

ফের বিতর্ক লাল-হলুদে, ওমিদ সিং ইস্যুতে ফিফার চিঠি ইস্টবেঙ্গলকে
ফের ইস্টবেঙ্গলকে চিঠি ফিফার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 14, 2021 | 7:27 PM

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়

কলকাতাঃ ক্লাব-ইনভেস্টর(INVESTOR) চুক্তি জট অব্যাহত। এর মধ্যে আবারও বিতর্ক বাড়ল লাল-হলুদে(EAST BENGAL)। ইরানের(IRAN) ফুটবলার(FOOTBALLER) ওমিদ সিংয়ের(OMID SINGH) সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করায় ইস্টবেঙ্গলকে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানা করল ফিফা। গত বছর ইরানের ফুটবলার ওমিদ সিংকে সই করায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্ট আসার পর ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ফুটবলারকে আর দলে নেয়নি। এই পরিপ্রেক্ষিতে ফিফার দ্বারস্থ হন ওমিদ সিং। এ দিন ফিফার তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ৪৫ দিনের মধ্যে জরিমানা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। নাহলে ফের ট্রান্সফার ব্যানের মুখে পড়বে ইস্টবেঙ্গল।

ফিফার চিঠি আসার পর লগ্নিকারী সংস্থা আর ক্লাব একে অপরের ঘাড়ে দোষ ঠেলতে ব্যস্ত। শ্রী সিমেন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমাদের কাছে ওমিদ সিংয়ের অস্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র পাঠিয়েছিল ক্লাব। চুক্তিপত্রে ওমিদ সিংয়ের সই থাকলেও ক্লাবের কোনও সই ছিল না। ওর সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব চুক্তি করেছিল, অসম্পূর্ণ সেই চুক্তিপত্রে আমরা কি ভাবে সই করতে পারি! অথচ ফিফার কাছে স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্রের কাগজ জমা দেয় ইরানের ফুটবলার। যেখানে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের সই ছিল। এটা কী করে সম্ভব জানা নেই। আর আমাদের সঙ্গে ক্লাবের টার্মশিটে সইয়ের দিনই উল্লেখ করা হয়েছিল, ১ সেপ্টেম্বরের আগে যা বোঝা থাকবে তা ক্লাবের। সেখানে শ্রী সিমেন্টের কোনও দায়িত্ব নেই।’

ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘ওমিদ সিং শ্রী সিমেন্টের এক্তিয়ারে পড়ে। আমাদের কোনও দায় নেই। শ্রী সিমেন্ট আসার পর আমরা যে ফুটবলারদের তালিকা দিয়েছিলাম সেখানে ওমিদ সিংয়ের নাম ছিল। ওর সঙ্গে যে চুক্তিপত্র করা হয়েছিল সেটা দেখলেই বোঝা যাবে এটা কার দায়।’ গত বছর সেপ্টেম্বরের শুরুতে বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে গাঁটছড়া বাধার পর ইনভেস্টরকে কয়েকজন ফুটবলারের তালিকা দেয় ক্লাব। তার মধ্যে কয়েকজনকে আইএসএলের জন্য সই করায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। কেভিন লোবো, কীগান পেরেরাসহ বেশ কিছু ফুটবলারকেই রাখেনি বিনিয়োগকারী সংস্থা। যাদের সঙ্গে কথা এগিয়ে রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। চুক্তিভঙ্গের অভিযোগে লোবোরা আগেই ফেডারেশনের দ্বারস্থ হয়েছেন।