AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

FIFA World Cup: বল নিয়ে গোলোযোগ, যেবার দুটি বল দিয়ে খেলা হয়েছিল ফুটবল বিশ্বকাপ

ফুটবলের আকার, আকৃতি এবং ওজনের পরিবর্তন ম্যাচে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনাল থেকে শিক্ষণীয়।

FIFA World Cup: বল নিয়ে গোলোযোগ, যেবার দুটি বল দিয়ে খেলা হয়েছিল ফুটবল বিশ্বকাপ
ফুটবল বিশ্বকাপের বল-কথাImage Credit: গ্রাফিক্স: অভীক দেবনাথ
| Edited By: | Updated on: Sep 01, 2022 | 9:15 PM
Share

তিথিমালা মাজী

ফুটবল (Football) খেলার সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস কী? আপনি হয়তো বলবেন, কেন ফুটবলাররা! কেউ বলবেন, অবশ্যই একটা মাঠ আর দুটো টিমের প্রয়োজন। তবে সবচেয়ে জরুরি জিনিস হল, চামড়ার ওই গোলাকার বস্তুটা। আর কিছু থাকুক বা নাই থাকুক, একটা বল অবশ্যই লাগে ফুটবল খেলতে। আর তা যদি মেলে বাড়ির উঠোনেও খেলা যায় ফুটবল।

দ্বিতীয় প্রশ্ন, ফুটবলের আকৃতি কী সবসময় একই রকম ছিল? অর্থাৎ পুরোপুরি গোল! নাহ্, সব জিনিসের যেমন পরিবর্তন আছে, বিবর্তন আছে, ফুটবলের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। একটা সময় বিভিন্ন প্রাণীর মাথা, পেটের নাড়িভুঁড়ি, পাকস্থলী বা কাপড় ভেতরে রেখে উপরে চামড়া বেঁধে বল তৈরি করা হত। পরে রবারের ব্লাডারের তৈরি ফুটবলের ব্যবহার শুরু হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আকার, আকৃতি, ওজন সবেতেই পরিবর্তন হয়েছে। ১৯৩০ সালে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ যে বল দিয়ে খেলা হয়েছিল এবং ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে যে ফুটবল দিয়ে খেলা হবে, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক।

বিশ্বকাপে ফুটবলের আকার, আকৃতি, ওজন নিয়ে ১৯৯৬ সালে প্রথম বার নিয়ম বেঁধে দেয় ফিফা। তার আগে পর্যন্ত যে কোনও মাপ বা ওজনের ফুটবলে খেলা হত। ১৯৯৮ সালের ফ্রান্স বিশ্বকাপে প্রথম বার মাপজোপ বেঁধে দেওয়া অফিশিয়াল বল দিয়ে খেলা হয়। চামড়ার গোলাকার বস্তুটিতে রঙের ছোঁয়াও লাগে সে বার। অ্যাডিডাস ট্রাইকালার নামের বলটিতে লাল, নীল এবং সাদার ছোঁয়া। অনেকের মতে, এটি নাকি টেলস্টার বলের আধুনিক ভার্সান। যাই হোক, ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনালের বল নিয়ে একটি মজাদার গল্প রয়েছে। সেটিই শোনাবো আপনাদের।

১৯৩০ সালের ৩০ জুলাই। উরুগুয়ের এস্তাদিও সেন্তেনারিও স্টেডিয়ামে ৯৩ হাজার দর্শকের সমাবেশে শুরু হয় প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল। কিন্তু খেলার শুরুতেই বাঁধে গোলযোগ। তখন তো বিশ্বকাপের অফিশিয়াল ম্যাচ বল বলে কিছুই ছিল না। ফাইনালে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে দুটি দলই নিজেদের পছন্দের বল নিয়ে মাঠে আসে। খেলা তো হবে একটি বলে। অথচ দুটি দলই নিজের নিজের আনা বল নিয়ে খেলতে চায়। কেউ পিছু হঠতে রাজি নয়। শেষে ফিফা কমিটির হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান হয়। ঠিক হল. দুই অর্ধে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে দুটো টিমের বলেই খেলা হবে। খেলোয়াড়রাও এই মীমাংসায় খুশি।

ফুটবলের আকার, আকৃতি এবং ওজনের পরিবর্তন ম্যাচে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনাল থেকে শিক্ষণীয়। আর্জেন্টিনার আনা টিয়েন্টো নামক বলটি দিয়ে শুরু হয় ফাইনাল ম্যাচ। প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল নীল-সাদারা যতক্ষণ না দ্বিতীয়ার্ধে উরুগুয়ের তরফে যে বল আনা হল। সেই বল বেশ ভারী এবং আয়তনেও বড়। জুতোর লেসের মতো বাঁধা, নাম টি-মডেল। বিরতিতে বল পরিবর্তন ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ১৯০ ডিগ্রি। সামান্য ভারী বলে ঘরের মাঠে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীদের জালে আরও তিনবার বল জড়ায় উরুগুইয়ানরা। যার জবাব ছিল না আর্জেন্টিনার কাছে। ৪-২ গোলে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ের মুকুট ওঠে উরুগুয়ের মাথায়।