East Bengal: কলকাতা ডার্বিতে নামতে মুখিয়ে ইস্টবেঙ্গলের নতুন বিদেশি
Jake Jervis: ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন, আর ডার্বি প্রসঙ্গে জানবেন না, তা কি হয়? জার্ভিসও কলকাতা ডার্বি সম্পর্কে যথেষ্ঠ খোঁজ নিয়েছেন। এ বারের আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয় লেগে ফের মুখোমুখি হবে দু-দল। ২৫ ফেব্রুয়ারি আইএসএলে ফিরতি কলকাতা ডার্বি।
কলকাতা : জয়ের স্বাদ কেমন হয়! ইস্টবেঙ্গল যেন ভুলতে বসেছিল। গত ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে একটা জয়, লাল-হলুদ শিবিরের মেজাজটাই বদলে দিয়েছে। রাত পোহালে আরও একটা ম্যাচ। এ বার প্রতিপক্ষ নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। এ মরসুমে ইস্টবেঙ্গল হাতে গোনা যে’কটা ম্য়াচ জিতেছে তার মধ্যে অন্য়তম, নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়। এ বার ঘরের মাঠে তাদের বিরুদ্ধে নামছে ইস্টবেঙ্গল। এখন প্রতিটি ম্যাচই যেন মর্যাদা রক্ষার। গত ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলে অভিষেক হয়েছে জেক জার্ভিসের। দীর্ঘদিন আগেই কলকাতায় পৌঁছেছিলেন। যদিও ইস্টবেঙ্গলে ট্রান্সফার ব্য়ান থাকায়, জার্ভিসকে সই করানো যাচ্ছিল না। তাঁর অভিষেক ম্যাচে দল জয়ে ফিরেছে। এ বারের আইএসএলে দ্বিতীয়বার ক্লিনশিট রাখতে পেরেছে। সব মিলিয়ে ফুরফুরে মেজাজে লাল হলুদ শিবির। তবে ইস্টবেঙ্গলের নতুন বিদেশির মাথায় শুধু কালকের ম্যাচই নয়, তাঁর নজরে কলকাতা ডার্বিও। সাক্ষাৎকারে নানা নিষয়েই জানালেন জার্ভিস। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ঘরের মাঠে এ মরসুমে দ্বিতীয় জয়, নতুন বছরে প্রথম জয়, টানা চার ম্যাচ হারের পর জয়ের স্বাদ। নর্থ ইস্ট ম্য়াচের আগে ইস্টবেঙ্গলের নতুন বিদেশি জ্যাক জার্ভিস নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন। ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে বলছেন, ‘এই ক্লাবে আসার আগে ভারতে খেলেছে এমন অনেকের সঙ্গেই কথা বলেছি। ওরাই আমাকে বলেছে, ভারতে খেলার রোমাঞ্চ আছে। নতুন ফুটবল সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম, সে কারণেই এশিয়ার কোনও ক্লাবে খেলার ইচ্ছে ছিল। ইংল্য়ান্ডে অনেক ফুটবলারই ইন্ডিয়ান সুপার লিগ নিয়ে কৌতুহলী। এই লিগের মান অনেক উন্নত হয়েছে। ইংল্যান্ডে দীর্ঘ সময় খেলার অভিজ্ঞতা থাকা পিটার হার্টলিও ভারতে খেলেছেন। সেটা আমার নজর কেড়েছিল। সেই থেকেই ভারতে খেলার সিদ্ধান্ত নিই।’
টানা হারের জেরে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তবে কলকাতার দুই প্রধানের যে বিশাল ফ্য়ানবেস রয়েছে তা কারও অজানা নয়। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের প্রসঙ্গে জার্ভিস বলছেন, ‘সরকারিভাবে সই করার আগে থেকেই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা আমাকে প্রচুর মেসেজ পাঠিয়েছে। এখান থেকেই বোঝা যায়, ক্লাবের ফ্যান বেস কতটা গভীর। ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাস সম্পর্কে জানা আছে। আমি নিশ্চিত, ধারাবাহিক ম্য়াচ জিতলে সকলেই আবার মাঠে ফিরবে। লিগের বাকি ম্যচগুলিতে গ্য়ালারির আবহ উপভোগ করতে চাই।’
ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন, আর ডার্বি প্রসঙ্গে জানবেন না, তা কি হয়? জার্ভিসও কলকাতা ডার্বি সম্পর্কে যথেষ্ঠ খোঁজ নিয়েছেন। এ বারের আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয় লেগে ফের মুখোমুখি হবে দু-দল। ২৫ ফেব্রুয়ারি আইএসএলে ফিরতি কলকাতা ডার্বি। সে প্রসঙ্গে জার্ভিস বলছেন, ‘সমর্থক এবং সতীর্থরা আমাকে এ বিষয়ে বলেছে। ওদের থেকে কলকাতা ডার্বি সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনেছি। এশিয়ার সেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা কলকাতা ডার্বি। শুধু তাই নয়, কার্ল ম্যাকহিউয়ের (এটিকে মোহনবাগান) সঙ্গেও কথা হয়েছে। ও আমার প্রাক্তন সতীর্থ। ওর বিরুদ্ধেও খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। এই ম্যাচের অংশ হওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। এই ম্যাচের জন্য় প্রস্তুত।’