ISL 2024-25: দশজনের ইস্টবেঙ্গলের মরিয়া লড়াই, ‘চোট’ বাড়ল গোলকিপিংয়ে!

East Bengal vs Odisha FC Report: ম্যাচের ৪৩ মিনিটেই দশজনে পরিণত হয় ইস্টবেঙ্গল। তার উপর মাদিহ তালারের চোট। ইস্টবেঙ্গল হাল ছাড়েনি। দ্বিতীয়ার্ধে আরও মরিয়া। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে চুননুঙ্গার প্রথম আইএসএল গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু লিড স্থায়ী হল মাত্র মিনিট দুয়েক।

ISL 2024-25: দশজনের ইস্টবেঙ্গলের মরিয়া লড়াই, 'চোট' বাড়ল গোলকিপিংয়ে!
Image Credit source: X
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 12, 2024 | 9:56 PM

আইএসএলে টানা দু-ম্যাচ জয়। ইস্টবেঙ্গলের দুর্দান্ত অনুভূতি দীর্ঘস্থায়ী হল না। মিনি হাসপাতালে পরিণত হয়েছে টিম। ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরুতেই সেই তালিকায় নাম জুড়ল মাদিহ তালালের। ম্যাচের আগে বাকিদের নিয়েই লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো। লড়াই হলও। কিন্তু ছোট্ট ভুলে বড় খেসারত। এগিয়ে থেকেও ‘দুর্লভ’ জয়ের হ্যাটট্রিক হল না ইস্টবেঙ্গলের। এর জন্য কিছুটা দায়ী করা যায় প্রভসুখন গিলের গোলকিপিংকেও। ডিফেন্ডাররা যখন প্রবল চাপে, তাঁদের আরও চাপে ফেললেন। যে বল ধরা যায়, সবই কার্যত পাঞ্চ করে গেলেন। আর তাতেই ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ তৈরি করল ওড়িশা এফসি। ২-১ ব্যবধানে জিতেই মাঠ ছাড়ল ওড়িশা।

ম্যাচের শুরুর দিকেই হলুদ কার্ড দেখেছিলেন জিকসন। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরও একটি হলুদ কার্ড। এ মরসুমে আলোচনার কেন্দ্রে রেফারিংও। জিকসনের রেড কার্ড নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ম্যাচের ৪৩ মিনিটেই দশজনে পরিণত হয় ইস্টবেঙ্গল। তার উপর মাদিহ তালারের চোট। ইস্টবেঙ্গল হাল ছাড়েনি। দ্বিতীয়ার্ধে আরও মরিয়া। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে চুননুঙ্গার প্রথম আইএসএল গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু লিড স্থায়ী হল মাত্র মিনিট দুয়েক। চাপে থাকা ডিফেন্সে সাহায্য করতে গিয়েছিলেন নাওরেম মহেশ। কিন্তু তাঁর ভুলেই বল পায় ওড়িশা। জেরির গোলে দ্রুতই সমতা ফেরায় ওড়িশা এফসি।

এই খবরটিও পড়ুন

সমতা ফেরানোর পর ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল ওড়িশা এফসিও। সেই লক্ষ্যে সফল। ধারাবাহিক ভাবে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে চাপ তৈরি করে গেলেন ওড়িশার আক্রমণ ভাগের প্লেয়াররা। প্রভসুখনের গোলকিপিং তাঁদের কাজটা আরও সহজ করে দেয়। দীর্ঘ সময় চাপ তৈরির পুরস্কারও পায় ওড়িশা। ইস্টবেঙ্গলের প্রতিরোধ ভাঙে ৮১ মিনিটে। আর তাতেই ২-১ এগিয়ে যায় ওড়িশা। ১০ জনের ইস্টবেঙ্গেল যে প্রতিরোধ গড়েছিল, তা ভাঙেন হুগো বোমাস। দিয়েগো মরিসিওর পাস থেকে গোল। হিজাজি মাহের, আনোয়ার আলি, সৌভিক চক্রবর্তীরা মরিয়া লড়াই করেছেন, বলাই যায়।