School Football Tournament: ৮ মেন্টর, ৭০ মিনিটের ম্যাচ, ২২ জুলাই শুরু ৩২ টিমের স্কুল ফুটবল
আগের বারের থেকে টিমের সংখ্যা বাড়ছে এ বার। গত বারের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স চৌবাঘা চ্যাম্পিয়ন, লা মার্টিনা রানার্স সহ ৩২টা পরিচিত, নামী স্কুল টিম খেলবে এই টুর্নামেন্টে।
কলকাতা: যে স্কুল ফুটবল এক সময় প্লেয়ার যোগান দিত ময়দানে, ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের হয়ে উত্থান হত নতুন মুখের, কালের নিয়মে সেই স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট (School Football Tournament) কমতে কমতে প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছে। প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, মিহির বসু, কৃষ্ণেন্দু রায়দের মতো সাতের দশকের নামী ফুটবলাররা এই স্কুল ফুটবলকেই প্রাণ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। দু’বছর হইহই করে হয়েওছিল ওই স্কুল ফুটবল। করোনার থাবার তা বন্ধ হয়েছিল দু’বছর। স্পোর্টস কানেক্ট আয়োজিত সেই স্কুল ফুটবল আবার ফিরছে রমরম করে। শুরু ২২ জুলাই। ফাইনাল ১৪ অগাস্ট। নিউটাউনের এমকেডিএ স্টেডিয়ামে হবে সব ম্যাচ।
আগের বারের থেকে টিমের সংখ্যা বাড়ছে এ বার। গত বারের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স চৌবাঘা চ্যাম্পিয়ন, লা মার্টিনা রানার্স সহ ৩২টা পরিচিত, নামী স্কুল টিম খেলবে এই টুর্নামেন্টে। প্রতি টিমের জন্য এক জন করে প্রাক্তন প্লেয়ার মেন্টর হিসেবে থাকবেন। মিহির বসু, কৃষ্ণেন্দু রায়, অলোক, তরুণ দে, অচিন্ত বেলেল, অমিত ভদ্র, বিকাশ পাঁজি, রহিম নবিরা চারটে করে স্কুল টিমের মেন্টরের ভূমিকা পালন করবেন। সব ম্যাচই হবে ৭০ মিনিটে। বরাবরের মতো ২জন প্রাক্তন ফুটবলারকে আর্থিক সাহায্য করা হবে। সেরা ফুটবলারদের বাছা হবে টুর্নামেন্ট থেকে। যাদের নানা ক্লাবে ট্রায়ালে পাঠানো হবে।
আয়োজকদের তরফে অন্যতম মুখ প্রশান্ত বলে দিলেন, ‘একটা সময় স্কুল ফুটবল ছিল বাংলার ফুটবলের হৃদপিণ্ড। প্রচুর ফুটবলার উঠে আসত। যারা ভবিষ্যতে বড় টিমেও জায়গা করে নিত। কিন্তু এখন আর বলার মতো স্কুল টুর্নামেন্ট নেই। সেই ভাবনা থেকেই এই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলাম আমরা। ধীরে ধীরে এটা বাড়ছে। আগামী দিনে আরও বড় হবে, সন্দেহ নেই। আমাদের একটাই লক্ষ্য, স্কুল পর্যায় থেকে নতুন মুখ তুলে আনা। যাতে বাংলার ফুটবলকে আরও সমৃদ্ধ করা যায়।’