Real Madrid: যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়াল রিয়াল মাদ্রিদের নাম, গ্রেপ্তার অ্যাকাডেমির ৩ ফুটবলার!
যত দূর জানা যাচ্ছে, পুলিশ অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। ফোন খতিয়ে দেখছেন এক্সপার্টরা। তিন অভিযুক্তের পাশাপাশি রিয়ালের আর কোনও ফুটবলার এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা, ভিডিয়ো তাদেরও পাঠানো হয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্পেনের কাগজ এল কলফিডেন্সিয়াল মনে করছে, এই ঘটনায় জড়িয়ে থাকতে পারে প্রথম টিমের কেউ কেউ। যে কারণে পুলিশ ব্যাপারটিকে হালকা নিতে নারাজ।
মাদ্রিদ: যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর প্রাক্তন ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের (Real Madrid) নাম। স্পেনের অন্যতম বড় ক্লাবের অ্যাকাডেমির তিন ফুটবলার অভিযুক্ত। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারও করেছে। লা পালমাসের সিভিল গার্ড পুরো ব্যাপারটা খতিয়ে দেখছে। এর ফলে যে রিয়ালের মুখ পুড়ছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে, সন্দেহ নেই। অনুমান করা হচ্ছে, শুধু অ্যাকাডেমির ওই তিন ফুটবলারই নয়, এতে জড়িত থাকতে পারেন প্রথম দলের ফুটবলাররা। তা যদি হয়, ইউরোপিয়ান ফুটবলের অন্যতম ক্লাব আরও কলঙ্কিত হতে পারে। পুরো ব্যাপারটা যে হেতু পুলিশি তদন্তের অন্তর্গত, তাই এ নিয়ে সরকারি কোনও মন্তব্য করেননি ক্লাব কর্তারা। তবে স্পেনে এ নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। এই খবর এল কনফিডেন্সিয়াল নামের একটি কাগজ ব্রেক করেছে। তার পরই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে সব মহলে। TV9Bangla Sports এ বিস্তারিত।
৬ সেপ্টেম্বর এক নাবালিকা মেয়ের মা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর মেয়ের নগ্ন ভিডিয়ো তুলেছে রিয়ার মাদ্রিদের অ্যাকাডেমির এক ফুটবলার। ওই নোংড়া ভিডিয়ো তোলার জন্য মর্গ্যানের ক্যানারি আইল্যান্ড ওই ফুটবলার নিয়ে গিয়েছিল মেয়েটিকে। তাতেই ব্যাপারটা শেষ হয়নি, ওই ভিডিয়ো অ্যাকাডেমির কয়েকজনকে ফরোয়ার্ডও করেছে। পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনার সত্যতা জানতে পারে। ওই তিনজন রিয়ালের তৃতীয় টিম ও রিজার্ভ টিমের ফুটবলার। তদন্তে নেমে রিয়ালের ভালদেবেবাসের যুব অ্যাকাডেমি থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তখন ওই তিন অভিযুক্ত টিমের সঙ্গে ট্রেনিং করছিল। এর আগে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি রিয়ালে। যে কারণে চাঞ্চল্য ফেলে দেওয়ার পাশাপাশি ফুটবলারদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নড়িয়ে দিয়েছে ক্লাব প্রশাসনকে।
যত দূর জানা যাচ্ছে, পুলিশ অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। ফোন খতিয়ে দেখছেন এক্সপার্টরা। তিন অভিযুক্তের পাশাপাশি রিয়ালের আর কোনও ফুটবলার এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা, ভিডিয়ো তাদেরও পাঠানো হয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্পেনের কাগজ এল কলফিডেন্সিয়াল মনে করছে, এই ঘটনায় জড়িয়ে থাকতে পারে প্রথম টিমের কেউ কেউ। যে কারণে পুলিশ ব্যাপারটিকে হালকা নিতে নারাজ। নাবালক-নাবালিক আইন ভীষণ কড়া স্পেনে। অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হলে বড় শাস্তি পেতে হতে পারে ওই ফুটবলারদের।