AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sunil Chhetri: অবসরের পর কী পরিকল্পনা? খোলসা করলেন ক্যাপ্টেন সুনীল ছেত্রী

কোচিংয়ে এখনই আসতে না চাইলেও সুনীল অবশ্য কোচিং লাইসেন্স করে রাখতে চান। ভবিষ্যতে ফুটবল প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছেও আছে। তার জন্য ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রিও নিতে চান সুনীল ছেত্রী। ভারতীয় ফুটবলকে অনেক কাছ থেকে দেখেছেন। তাই কোথায় কোথায় কিসের খামতি তা ভালোই জানেন তিনি।

Sunil Chhetri: অবসরের পর কী পরিকল্পনা? খোলসা করলেন ক্যাপ্টেন সুনীল ছেত্রী
Sunil Chhetri: অবসরের পর কী পরিকল্পনা? খোলসা করলেন ক্যাপ্টেন সুনীল ছেত্রীImage Credit: X
| Edited By: | Updated on: May 17, 2024 | 7:05 PM
Share

কলকাতা: বৃহস্পতিবার সকালেই ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীদের মন খারাপ করে দিয়েছেন সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। সকালে ভিডিও পোস্টে আবেগঘন বার্তার মাধ্যমে ভারতীয় ফুটবলের আইকন জানান, ৬ জুন দেশের জার্সিতে শেষ বার মাঠে নামতে চলেছেন তিনি। ৯৪ গোলের মালিক সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়েও ‘স্বার্থপর’ হতে পারলেন না। অবসর নেওয়ার পরদিনই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুনীল ছেত্রী। সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়েও কেন আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে সরে দাঁড়ালেন? সুনীলের সাফ উত্তর, ‘প্রথম দিন থেকে যখন ফুটবল খেলছি, সেদিন থেকে কখনই সংখ্যার জন্য টার্গেট সেট করিনি। পঞ্চাশ গোল বা ষাট গোল নিয়ে কোনও দিন ভাবিনি। তাই ১০০ গোলের সামনে দাঁড়িয়েও অবসর নিতে পিছুপা হইনি। দেশের জার্সিতে আমি দেড়শো ম্যাচ খেলেছি। আমি অনেক সৌভাগ্যবান যে, এই কৃতিত্ব ছুঁয়েছি।’

ফুটবল থেকে অবসরের পর কি তাহলে কোচিংয়ে ফিরবেন? সুনীলের সাফ উত্তর, ‘আপাতত পরিবারকে সময় দিতে চাই। এতগুলো বছর আমি পরিবারকে একদমই সময় দিতে পারিনি। আমার স্ত্রী এখন অসুস্থ। ৬ তারিখের পর পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ ছুটিতে যেতে চাই। কোচিং নিয়ে তাই এখনই কোনও ভাবনা চিন্তা নেই। ফুটবল খেলে, অধিনায়ক হওয়ার পর যা চিন্তা মাথায় নিয়েছি, কোচ হওয়ার পর আমার মাথার সব চুল পরে যাবে। ১ বছরের মধ্যেই আমার ১০ বছর বয়স বেড়ে যাবে। তাই আপাতত বিশ্রামে থাকতে চাই।’

কোচিংয়ে এখনই আসতে না চাইলেও সুনীল অবশ্য কোচিং লাইসেন্স করে রাখতে চান। ভবিষ্যতে ফুটবল প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছেও আছে। তার জন্য ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রিও নিতে চান সুনীল ছেত্রী। ভারতীয় ফুটবলকে অনেক কাছ থেকে দেখেছেন। তাই কোথায় কোথায় কিসের খামতি তা ভালোই জানেন তিনি। ফুটবলের প্রশাসনিক কাজে যুক্ত থেকে দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। তবে তার আগে পুরো বিষয়টা জেনে রাখতে তত্‍পর সুনীল।

জাতীয় দল থেকে অবসর নিলেও ক্লাবের হয়ে খেলা চালিয়ে যাবেন। জুলাইয়ের শুরুতেই বেঙ্গালুরু এফসির জার্সিতে প্রস্তুতিতে নেমে পড়বেন গোলমেশিন। এ বছর ১০ নম্বরে শেষ করেছে বেঙ্গালুরু। সেটা সমর্থকদের অনেক আঘাত দিয়েছে। তা ভালোই বুঝতে পেরেছেন সুনীল ছেত্রী। সামনের বছর ঘুরে দাঁড়ানোর সংকল্পের কথা শোনালেন তিনি।

দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত। কোথায় পরিবর্তন দরকার? সুনীলের উত্তর, ‘ফুটবলার সকলেই বেশ ভালো। ফুটবলাররা মাঠে খেলে কোচের কথা শুনে। এক একজন ফুটবলারকে কি ভাবে পরিচালনা করা হবে, তা কোচেরা ঠিক করে দেয়। তাই কোচেদের উচিত ফুটবলারদের ঠিকঠাক পজিশনে ঠিক মতো খেলানো। তাহলেই সাফল্য মিলবে।’ সুনীলের উত্তরসূরী কে? ভারতীয় ফুটবলে বিরাট শূন্যতা তৈরি হবে, তা মনে করতে নারাজ সুনীল ছেত্রী নিজে। বরং শিবশক্তি, পার্থিব গগৈ, বিক্রমপ্রতাপ সিংদের মধ্যে নিজের ছায়া দেখতে পান সুনীল ছেত্রী। আপুইয়ারও ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় সুনীলের মুখে। আইএসএল রমরমিয়ে চললেও দেশিয় স্ট্রাইকার সেভাবে সুযোগ পাননা। সুনীল ছাড়া প্রকৃত নম্বর নাইনের যে অভাব রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জুনিয়রদের জন্য সুনীলের বার্তা, ‘শিবশক্তি, পার্থিবদের বলব তোমরা কোচকে গিয়ে বলো যে স্ট্রাইকার পজিশনে খেলাতে। নিজেদের বলতে হবে। আত্মবিশ্বাস দেখাতে হবে। তাহলেই সুযোগ মিলবে আর নিজেকে মেলে ধরতে পারবে।’

অবসর নেওয়ার আগে বন্ধু বিরাট কোহলির সঙ্গে কথা বলেন সুনীল ছেত্রী। বিরাট আর সুনীল দু’জনেই খুব ভালো বন্ধু। গত বছর আরসিবির ট্রেনিং ক্যাম্পেও যান সুনীল। ভারতীয় দলের অধিনায়ক বললেন, ‘বিরাট আমার খুব ভালো বন্ধু। আমাকে খুব ভালো বোঝে। একজন ক্রীড়াবিদই পারে একজন ক্রীড়াবিদের মনের অবস্থা বুঝতে। আমার সঙ্গে ওর বন্ডিং ভালো হওয়ায় ওর সঙ্গে আলোচনা করি।’