Tutu Bose: মিত্রবাড়ির পর বসুপরিবার… নাম না করে দেবাশিসকে বিঁধলেন টুটু
Mohun Bagan: বাগান কি ক্রমশ অগ্নিগর্ভ হচ্ছে? বাগানে কি অগ্নুৎপাতের অপেক্ষা? এই সব প্রশ্নের উত্তর যাই হোক না কেন, এই মুহূর্তে নিশানায় মোহনবাগান সচিব। আর কেউ নন, বাগান সচিবকে নাম না করে বিঁধেছেন মোহনবাগান প্রেসিডেন্ট স্বপনসাধন বসু।

কলকাতা: বাগান কি ক্রমশ অগ্নিগর্ভ হচ্ছে? বাগানে কি অগ্নুৎপাতের অপেক্ষা? এই সব প্রশ্নের উত্তর যাই হোক না কেন, এই মুহূর্তে নিশানায় মোহনবাগান সচিব। আর কেউ নন, বাগান সচিবকে নাম না করে বিঁধেছেন মোহনবাগান প্রেসিডেন্ট স্বপনসাধন বসু। ময়দান যাঁকে ভালোবে টুটু নামে ডাকে। মোহনবাগানের খারাপ সময়ে এই টুটু বসুই ছিলেন পরিত্রাতা। যখন আর্থিক অনটনের মধ্যে চলছে ক্লাব, সেই সময় তিনি হয়ে উঠেছিলেন সিন্দুকের চাবি। ক্লাবের জরিমানা থেকে শুরু করে টিম গঠন, সব কিছুতেই টুটু ছিলেন ট্রামকার্ড। সেই টুটু বসুই একাধিক অভিযোগ করলেন এক শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে। নাম না করলেও তিনি যে দেবাশিস দত্ত, তা বুঝিয়ে দিতে কসুর রাখেননি টুটু। কী বললেন টুটু বসু?
পদত্যাগ করেছেন প্রেসিডেন্ট পদ থেকে। কিন্তু টুটুর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। সেই টুটু বসু বললেন, ‘অঞ্জন মারা যাওয়ার পর মিত্র পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বসু পরিবারকে ধ্বংস করতে গিয়েছিল। আমি সৃঞ্জয়ের সঙ্গে আছি। যাঁরা বলবেন, সৃঞ্জয়ের সঙ্গে আছি, জানবেন তাঁরা আসলে টুটুদার সঙ্গে আছেন। আমি এ কথাই হাতজোড় করে বলব সদস্যদের। ইস্তফা পত্র কেন দিয়েছি জানেন? মোহনবাগানে এখন ইলেকশন কমিটি হয়েছে। যার প্রধান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। আমি টুম্পাইয়ের সঙ্গ দেব। প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোনও পক্ষ নিতে পারি না। তাই পদত্যাগ করেছি।’
টুটু কখনও সলমন খান, কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদাহরণ তুলে আনছেন। বলছেন, এই নির্বাচন তাঁর কাছে মান সম্মানের লড়াই। একইসঙ্গে শুনিয়ে রাখছেন, ছোট ছেলে সৌমিক বসু (টুবলাই) ভুল করে ফেলেছেন। এই টুটু আবার বিস্ফোরক ভঙ্গিতে বলছেন, ‘এত লোভ বুঝতে পারিনি।’ টুটুর কথায়, ‘এটা আমার মান সম্মানের। জেতার পর সমঝোতা হতে পারে। আমি জিতে দেখিয়ে দেব। টাইগার আভি জিন্দা হ্যায়। মানুষ নিশ্চয়ই এখনও ভোলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ নির্বাচনটা করেছিলেন হুইল চেয়ারে।’
টুটুর কথায় উঠে এল ইস্টবেঙ্গলের প্রসঙ্গ। বলে দিলেন, ‘ইস্টবেঙ্গল আর মহমেডানের কী দশা হয়েছে দেখেছেন? আমি চাই ইস্টবেঙ্গল ভালো খেলুক। আই লিগে একবার চিমাকে লোনে দিয়েছিলাম।’ টুটু একইসঙ্গে বলছেন, ‘ক্লাব চালাতে গেলে ৭০-৭৫ কোটি টাকা দরকার। আমি ১২ কোটি টাকা দিয়েছি এক সময়। কিন্তু এক সময় বুঝেছি, ক্লাব চালাতে গেলে ভালো স্পনসর না হলে হবে না। মনে হয়েছিল, এমন লোককে ধরে আনা দরকার, যে কলকাতার, পালিয়ে যাবে না। আরপি গোয়েঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল। তাই সঞ্জীবকে ধরে আনি। সেই সময় কে বাধা দিয়েছিল, আমি বলতে চাই না।’





