কলকাতা : ইস্তানবুলে অনন্য কীর্তি গড়তে চলেছেন ফিফা রেফারি সাইমন মারচিনিয়াক। একই মরসুমে জোড়া মেগা ফাইনাল পরিচালনা করতে চলেছেন পোল্যান্ডের এই রেফারি। কাতার বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন সাইমন। এ বার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালও পরিচালনার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে তাঁকেই। ফিফা প্যানেলের অন্যতম দক্ষ রেফারি। তাঁকে নিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে বিতর্কও বেঁধেছিল। এ বারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও বেশ কিছু ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সেমিফাইনালে ম্যান সিটির কাছে রিয়াল মাদ্রিদের চার গোলে হারের ম্যাচটি। গত ডিসেম্বরে কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে টুর্নামেন্টে নেমেছিল ফ্রান্স। অন্যদিকে, দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন নিয়ে টুর্নামেন্টে অভিযান শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা। রুদ্ধশ্বাস একটা ম্যাচ দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। নির্ধারিত সময়, অতিরিক্ত সময়েও ম্যাচের ফল হয়নি। অবশেষে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। তবে রেফারি সাইমনকে নিয়ে ফরাসি সংবাদমাধ্যমে হইচই বেঁধেছিল। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports -এর এই প্রতিবেদনে।
বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরও দীর্ঘ সময় ধরে ফাইনালের রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ফ্রান্সের শীর্ষ সারির সংবাদমাধ্যম লেকুইপের প্রথম পাতায় প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, অতিরিক্ত সময়ে মেসির গোলটা কেন বাতিল করা হবে না! সে সময়, আর্জেন্টিনার দুই পরিবর্ত ফুটবল মাঠে প্রবেশ করছিলেন। তাদের তরফে আরও দাবি করা হয়েছিল, আর্জেন্টিনাকে গোল না দিয়ে ফ্রান্সকে ফ্রি-কিক দেওয়া উচিত ছিল।
পোল্যান্ডের রেফারি অবশ্য তার দ্রুতই এর পাল্টা দিয়েছিলেন। একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন সাইমন। সেখানে তিনি কার্যত দুর্দান্ত হোমওয়ার্ক করেই এসেছিলেন। অনেকে দাবি তুলেছিলেন, এমবাপের দ্বিতীয় পেনাল্টির সময় উপমেনাকোর হ্যান্ড বল হয়। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। যদিও সেই মুভ থেকেই মন্টিয়েলের হ্যান্ড-বল এবং ফ্রান্সকে পেনাল্টি দেওয়া হয়!
সাংবাদিক সম্মেলনে মোবাইলে একটি দেখিয়ে ছবি দেখিয়ে রেফারি সাইমন বলছিলেন, ‘ফরাসিরা এই ছবিটা নিয়ে কোনও কথা বলছে না। এখানে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, এমবাপের গোলের সময় সাতজন পরিবর্ত ফুটবল মাঠে ছিলেন’। ফাইনাল শেষ হলেও, বিতর্কের রেশ ছিল দীর্ঘদিন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের আগে কিছুটা হলেও যেন বাড়তি চাপে থাকবেন সাইমন।