Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

World Boxing Championships: মাকে হারিয়েও বিশ্ব বক্সিংয়ে পদক নিশ্চিত আকাশের

২১ বছরের আকাশ রিংয়ে ভয়ডরহীন পারফর্ম করেছেন। তাঁর আগ্রাসী স্টাইলের জন্য শুরু থেকেই চাপে ছিলেন প্রতিপক্ষ ফিনোল। ফুটওয়ার্ক, নিখুঁত পাঞ্চিংয়ের সঙ্গে তীব্র গতির জন্যই ভেনেজুয়েলার বক্সার থামাতে পারেননি আকাশকে।

World Boxing Championships: মাকে হারিয়েও বিশ্ব বক্সিংয়ে পদক নিশ্চিত আকাশের
World Boxing Championships: মাকে হারিয়েও বিশ্ব বক্সিংয়ে পদক নিশ্চিত আকাশের (ছবি-টুইটার)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2021 | 8:43 AM

বেলগ্রেদ: চমকে দিয়ে বিশ্ব বক্সিংয়ের সেমিফাইনালে উঠে পড়লেন ভারতের আকাশ কুমার (Akash Kumar)। ৫৪ কেজি বিভাগে রিও অলিম্পিকের রুপো পাওয়া ভেনেজুয়েলার বক্সার ইওয়েল ফিনোলকে (Yoel Finol) কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়েছেন তিনি। আর তাতেই বিশ্ব বক্সিং থেকে ভারতের প্রথম পদক নিশ্চিত।

২১ বছরের আকাশ রিংয়ে ভয়ডরহীন পারফর্ম করেছেন। তাঁর আগ্রাসী স্টাইলের জন্য শুরু থেকেই চাপে ছিলেন প্রতিপক্ষ ফিনোল। ফুটওয়ার্ক, নিখুঁত পাঞ্চিংয়ের সঙ্গে তীব্র গতির জন্যই ভেনেজুয়েলার বক্সার থামাতে পারেননি আকাশকে। শেষ দিকে কিছুটা আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ফিনোল। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচ মুঠোয় পুরে ফেলেছেন।

কঠিন বাউট জেতার পর আকাশ বলেছেন, ‘আগ্রাসী স্ট্র্যাটেজি নিয়েই নেমেছিলাম আমি। যাতে প্রথম রাউন্ডটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। দ্বিতীয় রাউন্ডে কাউন্টার অ্যাটাক ভিত্তিক খেলেছি। পাঞ্চগুলো যাতে কাজে লাগাতে পারি, সেই চেষ্টা করেছি।’

২০১০ সালে বাবাকে হারিয়েছেন আকাশ। বিশ্ব বক্সিংয়ে নামার আগে মারা যান মা। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেলেও নিজেকে ফোকাস রেখেছিলেন আকাশ। ২১ বছরের তরুণ নিজের সাফল্য উৎসর্গ করেছেন অভিভাবকদের। বলেছেন, ‘এই পদকটার মূল্য আমার কাছে অসীম। এক পৃথিবী আনন্দের মতো। এই পদকটা তাই আমার বাবা-মাকেই উৎসর্গ করছি। ওরা না থাকলে আজ এই জায়গায় পৌঁছতেই পারতাম না।’

একই সঙ্গে ভিওয়ানির ছেলে আকাশ জুড়েছেন, ‘এটা আমার প্রথম বড় টুর্নামেন্ট। বিশ্ব বক্সিংয়ে নামার আগে আমি ভীষণ উত্তেজিত ও আবেগতাড়িত ছিলাম। আর তাই পদক জেতার জন্য মরিয়া ছিলাম। পদক নিশ্চিত করেছি ঠিকই, তবে এখানেই থামতে চাই না। সোনা জেতাটাই আমার লক্ষ্য। যতটুকু এগোতে পেরেছি, তার জন্য আমার কোচদের অবদানও ভোলার নয়।’