AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pakistan Hockey Team: প্লেয়ারদের সঙ্গে রোজা রাখছেন পাকিস্তানের ডাচ হকি কোচও

কোনও কোনও বিদেশি কোচ অজানা দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ঠিক যেমন জড়ালেন পাকিস্তান হকি টিমের কোচ। তিনি যে অভিনব ভূমিকা নিয়েছেন, তার মাধ্যমে জিতে নিয়েছেন লাখো লাখো মানুষের হৃদয়।

Pakistan Hockey Team: প্লেয়ারদের সঙ্গে রোজা রাখছেন পাকিস্তানের ডাচ হকি কোচও
Pakistan Hockey Team: প্লেয়ারদের সঙ্গে রোজা রাখছেন পাকিস্তানের ডাচ হকি কোচও
| Edited By: | Updated on: Apr 04, 2022 | 7:35 PM
Share

নয়াদিল্লি: অন্য দেশের সংস্কৃতি যতই অজানা, অচেনা হোক, কেউ কেউ তার সঙ্গে একাত্ম হয়ে যান। এতটাই যে, নিজেকে সেই সংস্কৃতির অঙ্গ বলে মনে করেন। বিদেশি হয়েও তাঁরা যেন উদাহরণ রেখে যান। এমনই ভূমিকায় পাকিস্তান হকি (Pakistan) টিমের ডাচ কোচ সিগফ্রেড আইকমান (Siegfried Aikman)। রমজান মাস চলছে এখন সারা বিশ্বে। পাকিস্তান হকি (Hockey) টিমের সব সদস্য রোজা করছেন নিয়মিত। প্লেয়ার সঙ্গে রোজা করছেন বিদেশি কোচও। আইকমানের এই অভিনব ভূমিকা পাকিস্তান তো বটেই, মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষরাও মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন। বরাবরের মতো পাক টিমের প্লেয়াররা সারা দিন উপোস করার পর সন্ধেয় উপোস ভাঙার রীতি অনুসরণ করছেন। এই পরিস্থিতিতে প্র্যাক্টিস চালানো যে অত্যন্ত কঠিন কাজ, তা ভালো করেই জানেন তাঁরা। তবু, প্র্যাক্টিসে খামতি রাখছেন না পাক হকি টিমের প্লেয়াররা। তা দেখে নিজেই রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডাচ কোচ।

পাক হকি প্লেয়ারদের কথা ভেবে প্র্যাক্টিসের নির্ঘণ্ট নতুন করে সাজিয়েছেন আইকমান। ডাচ কোচ বলছেন, ‘প্লেয়ারদের কেমন অভিজ্ঞতা হয় এই সময়, সেটা অনুভব করতে চেয়েছিলাম। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একটা শিবির করার কথা ভাবছিলাম। কিন্তু তার জন্য কেমন সিডিউল হবে, তা নিয়ে ভাবছিলাম। তখনই এক কোচের একটা লেখা পড়ি রমজান মাস ও হাই পারফরম্যান্স হকি নিয়ে। তিনি লিখেছিলেন, রমজান মাসে বিকেলে প্র্যাক্টিস করা উচিত। যাতে সন্ধের পর তিনবার খেতে পারে। এবং দিনের বেশিরভাগ সময়টা ঘুমোতে পারে। তখন থেকেই মনে হচ্ছিল, আমারও এই অভিজ্ঞতাটা হওয়া উচিত।’

এর আগে জাপানের হকি টিমের কোচ ছিলেন আইকমান। বিশ্ব হকিতে পাক টিম সাম্প্রতিক কোনও সাফল্য পায়নি। আইকমানের হাত ধরে আবার ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে তারা। ভারতীয় মডেলকেই অনুসরণ করতে চাইছে পাকিস্তান হকি ফেডারেশন। সেই কারণেই আইকমানকে কোচ করা হয়েছে। রমজান মাসের জন্য কী ভাবে পরিকল্পনা সাজিয়েছেন ডাক কোচ? আইকমানের কথায়, ‘রমজানের সময় কী হয়, তার পুরো নির্ঘণ্টটা আমি পেয়েছি। ভোরবেলায় খাবার খেয়ে নিতে হয়। তারপর আবার সন্ধেয় খাওয়া।’

রোজার প্রথম দিন ভোর সাড়ে তিনটেয় ঘুম থেকে উঠেছিলেন আইকমান। চারটের পরই খেয়ে নেন। তার পর আবার ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ৬২ বছরের কোচ আইকমান বলছেন, ‘সকালের দিকে একটু বেশি সময় ঘুমোনোর চেষ্টা করি আমি। দুপুরের পর থেকেই আমি সময় গুনতে থাকি, কখন সন্ধে হবে। এত খিদে পেয়ে যায় যে, বলার নয়। শুরুর দিকে একটু মাথা ব্যথা হত। খিদের কারণে কিংবা জল না খাওয়ার জন্য হতে পারে। সন্ধেয় ইফতার করি। রাতে দেরি করি না বেশি। রোজা রেখে আমার বেশ ভালোই লাগছে। যে কারণে আরও একটা সপ্তাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

আরও পড়ুন: ICC on Olympics: আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অলিম্পিকে জায়গা চাইছে না ক্রিকেট, বলছে আইসিসি