Novak Djokovic: করোনার ওষুধ কোম্পানির ৮০% মালিকানা জোকোভিচের, দাবি সিইওর

নিজে করোনার (COVID 19) ভ্যাকসিন নেননি। যার জেরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলার অনুমতি পাননি। প্রতিষেধক না নেওয়া নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। সেই নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic) কিনা করোনার ওষুধ তৈরির সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন! এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সারা বিশ্বে।

Novak Djokovic: করোনার ওষুধ কোম্পানির ৮০% মালিকানা জোকোভিচের, দাবি সিইওর
Novak Djokovic: করোনার ওষুধ কোম্পানির ৮০% মালিকানা জোকোভিচের, দাবি সিইওর (ছবি-টুইটার)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 20, 2022 | 1:54 PM

লন্ডন: নিজে করোনার (COVID 19) ভ্যাকসিন নেননি। যার জেরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলার অনুমতি পাননি। প্রতিষেধক না নেওয়া নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। সেই নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic) কিনা করোনার ওষুধ তৈরির সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন! এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সারা বিশ্বে। নতুন বছরের শুরু থেকে যাঁকে করোনার ভ্যাকসিনবিরোধী বলে প্রচার করা হয়েছে, তিনিই যে এমন মানবিক মুখ হয়ে উঠতে পারেন, তা জেনে প্রশংসায় ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকাকে।

ভ্যাকসিন (vaccine) জটের জন্য বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে (Australian Open) খেলার অনুমতি পাননি জোকার। দু’বার তাঁর ভিসা বাতিল করে দিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে তাঁকে সার্বিয়াতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বছরের শুরু থেকে জোকারকে নিয়ে টেনিস বিশ্বে যে আলোড়ন তৈরি হয়েছিল, সকলকেই চমকে দিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে জানা গিয়েছে, নিজে করোনার টিকা না নিলেও করোনার ওষুধ তৈরির জন্য বিনিয়োগ করেছেন। ডেনমার্কের ‘কোয়ান্টবায়োরেস’ নামের একটি সংস্থার সিইও ইভান লনকারেভিচ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন এই খবর। সম্প্রতি নয়, ২০২০ সালের জুন মাসে ওই সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিলেন জকোভিচ। তাঁর দাবি, ড্যানিশ সংস্থায় নোভাকের ৮০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে। ২০২০ সালের জুনে কোভিডের ওষুধ তৈরির সংস্থায় জোকোভিচ বিনিয়োগ করলেও, তিনি কত টাকা ওই সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিলেন, সে ব্যাপারে কিছু বলেননি কোয়ান্টবায়োরেসের সিইও।

ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া ও স্লোভেনিয়াতে কোয়ান্টবায়োরেস সংস্থার ১১ জন বিজ্ঞানী করোনার ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইভান আরও জানান, ওই সংস্থার বিজ্ঞানীরা টিকা নয়, বরং কোনও ব্যাক্তির করোনা হলে তাঁকে কী ভাবে সুস্থ করা যাবে, সেই ওষুধ তৈরির চেষ্টাই করে চলেছেন। ওই কোম্পানি একটি পেপটাইডও তৈরি করছে, যা করোনাভাইরাসকে মানব কোষে সংক্রমিত হতে বাধা দেয়। ইভান এ ব্যাপারে বলছেন, এই গ্রীষ্মে ব্রিটেনে ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করার আশা করছেন। তবে, এই বিষয়ে অবশ্য এখনও পর্যন্ত নোভাক বা তাঁর মুখপাত্রের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।