Tokyo Olympics 2020: তেজিন্দরের লক্ষ্য ২২ মিটার
তেজিন্দর নিজেকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। আর তাই, ২২ মিটারের লক্ষ্য সামনে রাখছেন তিনি।

নয়াদিল্লি: দিল্লি বিমানবন্দর থেকে পাঞ্জাবের মোগায় বাড়ি ফেরার পথটুকু খুব খুশি ছিলেন। এশিয়ান গেমসের শটপাটে সোনা জিতে ফিরেছেন। বাড়ি ফিরেই ক্যান্সারে আক্রান্ত বাবার গলায় সেই পদকটা ঝুলিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। বাবা করম সিংয়ের জন্যই তো এত দূর এগোতে পেরেছেন তিনি। বাড়ি ফেরার পথেই পেয়েছিলেন ফোনটা, বাবা আর নেই!
তিন বছর পর সেই তেজিন্দর পাল সিং টুর (Tajinder Pal Singh Toor) পেয়েছেন টোকিও অলিম্পিকের (Tokyo Olympics) টিকিট। ভারতীয় গ্রাঁ প্রি-তে (Indian Grand Prix) নিজেরই জাতীয় ভেঙে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন। নতুন এশিয়ান রেকর্ডও তৈরি করেছেন। সেই তেজিন্দর প্রয়াত বাবার জন্যই চান অলিম্পিকের পদকটা জিততে।
Finally I have achieved my target for ticket to #Tokyo2020 Inspite of numerous setbacks like injuries and Covid situations, me and my coach Sh. Mohinder Singh Dhillon stood strong.I am happy that now I have qualified for Tokyo 2020 and will work hard to give my best during games. pic.twitter.com/nk9Ktz3xcR
— Tajinder Toor (@Tajinder_Singh3) June 22, 2021
তেজিন্দর বলছেন, ‘বাবার স্বপ্ন ছিল, তেজু একদিন অলিম্পিক যাবে। বাবা যদি বেঁচে থাকতেন, তা হলে অলিম্পিকে যাওয়ার খবরে জড়িয়ে ধরতেন। আজ বাবার জন্যই এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। টোকিওতে যদি পদক জিততে পারি, তা হলে বাবাকেই উত্সর্গ করব।’
ভারতীয় গ্রাঁ প্রি-তে যা পারফরম্যান্স করেছেন, তার ধারেকাছে যদি থাকতে পারেন অলিম্পিকে, নিশ্চিত ভাবেই পদক পাবেন। কিন্তু তেজিন্দর নিজেকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। আর তাই, ২২ মিটারের লক্ষ্য সামনে রাখছেন তিনি।
তেজিন্দর বলতেও কুন্ঠা করছেন না। তাঁর কথায়, ‘অলম্পিকে আমার টার্গেট ২২ মিটার। ওটা ছাড়া আর অন্য কিছু ভাবছি না। আর এটা তখনই সম্ভব, যদি নিজেকে ফিট রাখতে পারি। আমার মনে হচ্ছে, ২২ মিটার ছুড়তে পারলে অলিম্পিকে পদক নিশ্চিত করতে পারব। দেশের হয়ে প্রথমবার শটপাটে পদক আনার স্বপ্ন দেখছি।’
২৬ বছরের পাঞ্জাবি শটপাটারের এটাই প্রথম অলিম্পিক। এতদিন এই স্বপ্নটাই তাড়িয়ে বেড়িয়েছে তাঁকে। ‘অলিম্পিকের জন্য অনেক দিন ধরেই অপেক্ষা করছি। অনেক আগেই টোকিও অলিম্পিকের টিকিট পেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হাঁটুর চোটের জন্য সেটা সম্ভব হয়নি।’
চোট আঘাত তো বটেই, অতীত নিয়েও আর ভাবতে চান না। বাবা করম সিংয়ের জন্য টোকিওতে ইতিহাস গড়তে চান তেজিন্দর।





