মোবাইলে খারাপ নেটওয়ার্কের জন্য বারবার ফোন কেটে যাচ্ছে? সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে এই ৫ উপায়
মোবাইলে আজকাল কথা বলাই যেন দায়। একবার আপনি শুনতে পান না, তো একবার উল্টোদিকের মানুষটা শুনতে পায় না। সেই সঙ্গে রয়েছে অজস্রবার কল ড্রপের সমস্যা। মুক্তি পাবেন কীভাবে?

মোবাইলের খারাপ নেটওয়ার্ক মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আজকাল। আইফোন হোক বা অ্যান্ড্রয়েড– প্রায় সব ফোনেই এই ইস্যুর মুখোমুখি আজকাল অনেককেই হয়ে হচ্ছে। দুর্বল সিগন্যালের কারণে হয় আপনি এদিক থেকে কথা শুনতে পারছেন না, আবার অনেক সময় যে উল্টোদিকে রয়েছে সে আপনার কথা শুনতে পারছে না। কয়েকটি সহজ ঘরোয়া উপায়ে আপনার মোবাইলের এই নেটওয়ার্ক ইস্যুকে ঠিক করা যায়। এই প্রতিবেদনে রইল সেই হদিশ
১. এয়ারপ্লেন মোড অন করে অফ করুন। আইফোন হোক বা অ্যান্ড্রয়েড- দুই ফোনেই এটাই সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী টোটকা দুর্বল নেটওয়ার্ককে ঠিক করার। অন্তত ১৫ সেকেন্ডের জন্য এয়ারপ্লেন মোড অন করে রাখবেন। তারপর আবার অফ করলেই আপনার মোবাইল টাওয়ার খোঁজার জন্য কাজ শুরু করে দেবে। এভাবে কিছুটা হলেও নেটওয়ার্ক ইস্যু মিটবে।
২. ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংস রিস্টার্ট করতে হবে একান্তই যদি ফোনে এক বা দুই দাগের সিগন্যাল আসে, চেষ্টা করুন একবার গোটা নেটওয়ার্ক সেটিংস খুলে সেটি রিস্টার্ট করার। তবে মনে রাখবেন এটা করলে কিন্তু আপনার সেভ থাকা ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড, আপনার পার্সোনালাইজড সেটিংস-সবই ডিলিট হয়ে যাবে। কিন্তু ফোনের টাওয়ার খোঁজার চেষ্টা আবার নতুন করে শুরু হলে সেটা আপনার আশেপাশে নেটওয়ার্কের ক্ষমতাকে বাড়াবে।
৩. মোবাইল কেরিয়ারের সেটিংস বদলাতে হতে পারে। অনেক জায়গায় এখনও ৫জি পরিষেবা ভালভাবে চালু নেই। কিন্তু ফোনের যে কেরিয়ার রয়েছে, মানে জিও বা ভিআই বা যাই হোক না কেন, তার সেটিংস হয়তো ৫জি অন রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে ৫জি টাওয়ার খুঁজতে ফোন নিরন্তর চেষ্টা করে চলে আর এতে তার ব্যাটারি ও ফোনের স্বাস্থ্য- দুই-ই কমতে থাকে। সবসময় কেরিয়ার সেটিংসকে বেস্ট কম্প্যাটেবল রাখবেন। খেয়াল রাখবেন, আপনার ফোনের কেরিয়ার সংস্থা অনেক সময় আপনাকে মেসেজের মাধ্যমে আপনার জন্য সেরা সেটিংসটি পাঠায়। সেটা অ্যাকসেপ্ট করে অন রেখে দেওয়াটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। সফ্টওয়ার আপডেটের মাধ্যমে ফোনকে আপডেটেড রাখুন।
৪. এয়ারপ্লেন মোড অন-অফ করেও লাভ না হলে ফোনকেই রিস্টার্ট করুন। ফোন রিস্টার্ট হলে অনেকসময় টাওয়ার-জনিত সমস্যা প্রাথমিকভাবে কেটে যায়। সিগন্যাল স্ট্রেন্থ বাড়ে। ফোনের অনেক বেসিক সমস্যা রিস্টার্ট করলে মিটে যায়। অনেকসময় ফোন স্লো হয়ে গেলে বা হ্যাং হয়ে গেলেও ফোনকে কিছুক্ষণ অফ রেখে আবার অন করা উচিত। এতে ফোনের নিজস্ব সফটওয়্যার নিজে থেকেই রিবুট হয় ও ইন্টারনাল সমস্যাকে ধরে ফেলে রিপোর্ট পাঠায় প্রস্তুতকারক সংস্থার কাছে।
৫. আপনার ফোন যদি বেশ অনেকদিনের পুরনো হয় তাহলে সিম ট্রে খুলে সিম কার্ড বার করে একটু নরম কাপড়ে মুছে আবার ফোনে ঢোকান। পুরনো সিম একটানা ব্যবহার করা উচিত নয়। একদম লেটেস্ট ফাইভ জি সিম ব্যবহার করবেন। পুরনো সিম কার্ডের ক্ষমতা কম। নতুন আধুনিক সিম কার্ড অনেক বেশি টাওয়ার স্ট্রেন্থ বহন করতে পারে।
জরুরি ভিত্তিতে বা বিপদে পড়লে উপরের এই টোটকাগুলি আপনাকে সাময়িক সময় থেকে মুক্তি দিতে পারে। তবে অনেকসময় মোবাইল সার্ভিস পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থারও গাফিলতিতে সব জায়গায় ভাল নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে একজন গ্রাহকের কিছু করার থাকে না। মাঝেমধ্যে ফোনের অ্যাপের্ মাধ্যমে হোক বা থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে নিজের ফোনের নেটওয়ার্ক ক্ষমতাকে ঝালিয়ে দেখে নেবেন।





