Cooking Oil For EV Charging: বেঁচে যাওয়া রান্নার তেলে দ্রুততার সঙ্গে ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়, কী ভাবে?
চার্জিং স্টেশন খুলতে অভিনব আইডিয়া নিয়ে এসেছেন ড্রাইভাররা। একটা চার্জিং স্টেশনই খুলে ফেলেছেন, যেখানে ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জ করা যাবে বেঁচে যাওয়া রান্নার তেল দিয়ে। জ্বালানির জন্য রান্নার তেলের এই ব্যবহার কার্বন নিউট্রাল বলে দাবি করছেন চার্জিং স্টেশনের ডেভেলপার।
অস্ট্রেলিয়ার নুলারবোর একটি সুপ্রশস্ত এলাকা, সমতল ভূমি, গাছের দেখা নেই বললেই চলে। জায়গাটি দক্ষিণ ও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ৬৮৪ মাইল-জুড়ে বিস্তৃত। আর এই বিস্তৃত এলাকার কারণেই নিত্যদিন নাকাল হতে হচ্ছে ইলেকট্রিক গাড়ির (Electric Vehicle) চালকদের। কারণ এই সুবিশাল রাস্তায় ফাস্ট-চার্জিং স্টেশন (Fast Charging Station) নেই। থাকলেও দু-একটা রয়েছে নুলারবোর শুরু হওয়ার রাস্তায়। মাঝখানে ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জ করার মতো একটিও স্টেশন নেই। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির ড্রাইভারদের ব্যাপক সমস্য়ার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আর সেখানেই চার্জিং স্টেশন খুলতে অভিনব আইডিয়া নিয়ে এসেছেন ড্রাইভাররা। একটা চার্জিং স্টেশনই খুলে ফেলেছেন, যেখানে ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জ করা যাবে বেঁচে যাওয়া রান্নার তেল (Cooking Oil) দিয়ে।
Drivers in the remote Australian outback are using cooking fat to charge their electric vehicles more quickly pic.twitter.com/F9xFvbnJ4M
— Reuters (@Reuters) January 18, 2022
অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার জন এডওয়ার্ডস একটি ফাস্ট চার্জিং পয়েন্ট ডেভেলপ করেছেন, যা রান্নার তেল দিয়ে চালিত হবে। এই ফাস্ট চার্জিং স্টেশনটি বসানো হয়েছে কাইগুনা রোডহাউসে, যা নুল্লারবোরের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত। যে সব রেস্তরাঁয় ডিপ ফ্রায়ার ব্যবহার করে রান্না করে, সেখান থেকেই বেঁচে যাওয়া তেল সংগ্রহ করে চলছে চার্জিং পয়েন্টটি। শুধু চলছে নয়। বলা ভাল, দিব্যি চলছে!
সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, নুল্লারবোরে কোনও বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে, সেটিকে চার্জিং স্টেশনে নিয়ে যেতে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। আর সেই কারণেই ড্রাইভাররা গাড়িতে এক প্রকার বাধ্য হয়েই পুরনো এসি চার্জার ব্যবহার করেন। তবে এই রান্নার তেলের সাহায্য়ে চালিত চার্জিং স্টেশনটি খোলার পরে ড্রাইভারদের সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে।
এবিসি নিউজের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এডওয়ার্ডস দাবি করেছেন, “এই চার্জারের সঙ্গে আপনি একটি বার্গার এবং কফি নিতে পারবেন, খবরের কাগজটাতেও একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারবেন। তত ক্ষণে আপনার গাড়ি চার্জ হয়ে যাবে, আর আপনিও গন্তব্যে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যেতে পারবেন।”
নুল্লারবোরের রাস্তা দিয়ে আগে ইলেকট্রিক গাড়িগুলি যেতে চাইত না এই একটাই কারণে। তবে এই সমাধান সূত্র বের হওয়ার পর থেকে সেই রাস্তায় আরও বৈদ্যুতিক গাড়ি যাবে বলেই মনে করছেন এডওয়ার্ডস ও তাঁর সহকর্মীরা। নুল্লারবোরের এই সমতল ভূমিতে ট্রাফিক না হওয়ার কারণে ব্যবসাতেও বড় ক্ষতি হয়। আর সেই কারণেই ফাস্ট চার্জিং স্টেশন বসাতে আগ্রহ প্রকাশ করেন না অনেকে।
“যে পরিমাণ বেঁচে যাওয়া রান্নার তেল বা বায়োফুয়েল ফাস্ট চার্জিং জেনারেটরে বসানো হয়, তা আসলে কার্বন নিউট্রাল”, বললেন এডওয়ার্ডস। যদিও কুকিং অয়েল ফুয়েল বা জ্বালানির জন্য রান্নার তেলের এই ব্যবহার কার্বন নিউট্রাল হওয়ার দাবির পিছনে দ্বিমতও রয়েছে বিজ্ঞানীমহলে। তবে বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, কুকিং অয়েল ফুয়েল, ডিজ়েলের মতো অন্যান্য জ্বালানির তুলনায় অনেক কম পরিমাণে পরিবেশ দূষিত করে।
আরও পড়ুন: জাপানে পুলিশের পরিবর্তে রাস্তায় রোবট! AI-এর মাধ্যমে ঘনঘন টহলদারি, ধরছে চোর-ডাকাতও
আরও পড়ুন: গাড়ি ডেলিভারির পরই দুর্ঘটনা, নতুন মাহিন্দ্রা থার নিয়ে শোরুমের গ্লাস ও রেলিং ভেঙে ফেললেন চালক
আরও পড়ুন: নজরকাড়া লুক ও ফিচার্স নিয়ে আসছে Fiat Panda, সবথেকে সস্তার ইলেকট্রিক গাড়ি