Ola Electric Scooter Issues: ওলা ইলেকট্রিক স্কুটার কিনে সমস্যায় জেরবার চালকরা, গুণমান ও রেঞ্জ নিয়ে গুচ্ছের অভিযোগ
Ola S1 And S1 Pro Problems: ওলা এস১ এবং ওলা এস১ প্রো এই দুই ই-স্কুটারের ক্ষেত্রেই ডেলিভারি ইউনিটগুলি চালকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার আগে আরও খুঁটিয়ে লক্ষ্য করা উচিত ছিল বলে দাবি করেছেন অনেকে। আর সেটাই ওলা ইলেকট্রিকের তরফ থেকে বড়সড় একটি গলদ বলে মনে করা হচ্ছে।
১৫ অগস্ট দেশে লঞ্চ হয়েছিল ওলা ইলেকট্রিক এস১ এবং ওলা এস১ প্রো (Ola S1 And S1 Pro) নামক দুটি ইলেকট্রিক স্কুটার। কিন্তু ডেলিভারি শুরু হয় দীর্ঘ সময় পরে, চলতি মাসেই। ডেলিভারি শুরু হওয়ার প্রথম দিকেই বেশ কিছু রাইডার অভিযোগ করেছিলেন যে, একাধিক আপডেট এই ইলেকট্রিক বাইকে দেওয়া হয়নি। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়, পরবর্তীতে ওভার দ্য এয়ার এই সব আপডেট ওলা ইলেকট্রিক স্কুটার চালকরা পেয়ে যাবেন। কিন্তু সে তো না হয় ছিল সফ্টওয়্যারের প্রসঙ্গ। এবার আরও কিছু গুরুতর সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করলেন ওলা ই-স্কুটার রাইডাররা।
প্রসঙ্গত চলতি বছরের নভেম্বরেই ওলার টেস্ট রাইড শুরু হয়ে যায়। যাঁরা প্রথম বার অর্ডার করেছিলেন, তাঁরাই প্রথমে এই দুই ই-স্কুটার টেস্ট করারও সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক কাস্টমারদের বাড়িতেও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ওলার ইলেকট্রিক স্কুটার। কিন্তু একাধিক সমস্যার থাকার কারণে অনেক কাস্টমারই মনক্ষুণ্ণ বলে দাবি করেছেন। একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ওলা ইলেকট্রিক স্কুটার ব্যবহারকারীরা সরাসরি সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন।
ওলা এস১ ও ওলা এস১ প্রো স্কুটারের মূল সমস্যা
ওলা এস১ এবং ওলা এস১ প্রো এই দুই ই-স্কুটারের ক্ষেত্রেই ডেলিভারি ইউনিটগুলি চালকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার আগে আরও খুঁটিয়ে লক্ষ্য করা উচিত ছিল বলে দাবি করেছেন অনেকে। আর সেটাই ওলা ইলেকট্রিকের তরফ থেকে বড়সড় একটি গলদ বলে মনে করা হচ্ছে। মোটরবিমের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নতুন মালিকরা ইতিমধ্যেই তাদের নতুন ওলা এস১ এবং ওলা এস১ প্রো বৈদ্যুতিক স্কুটারগুলির বিষয়ে অভিযোগ করতে অনলাইন ফোরামে গিয়েছেন। ওলার ইলেকট্রিক বাইক নিয়ে চালকরদের মূল অভিযোগ, আর্থিক অসঙ্গতি, দুর্বল প্রি-ডেলিভারি ইন্সপেকশন (PDI) এবং বিক্রয়োত্তর পরিষেবা, যা নিয়ে সব থেকে বেশি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চালকরা।
অভিযোগ ১: রাহুল প্রসাদ নামের এক ইউজার ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে, ইনসুওরেন্সের টাকা তিনি যেখানে দিয়ে রেখেছিলেন, সেখানেই অসঙ্গতি দেখানো হচ্ছে। রাহুল আরও দাবি করেছেন যে, বীমার জন্য তিনি ইতিমধ্যেই ৭,৪৭১ টাকা দিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু পলিসি ডকুমেন্টে দেখানো হচ্ছে, মাত্র ৬,৬৯৫ টাকার প্রিমিয়াম জমা করেছেন তিনি। আরও যোগ করে তিনি বলছেন, এই মুহূর্তে ওলার ই-স্কুটার ক্রেতাদের জন্য তা ক্রয় করার সময় নিজস্ব পলিসি বেছে নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই।
An OLA S1 Pro was delivered to me at the Visakhapatnam event today. It has cracks & dents all over the body. The manager says she will get it repaired before delivery. But repair is not the option. I paid for a new product, not a refurbished product@OlaElectric @don4every1 #Ola pic.twitter.com/ifZnDsJaXg
— Karthik Varma (@leovarmak) December 22, 2021
অভিযোগ ২: এদিকে কার্তিক বর্মা নামের আর এক ইউজার ট্যুইটারে দাবি করেছেন, বিশাখাপত্তনমে তাঁকে ওলা এস১ প্রো ডেলিভার করা হয়েছে প্যানেলে অসম ফাঁক, ভাঙা বডি প্যানেল এবং তার মধ্যে অজস্র স্ক্র্যাচ। এই অভিযোগ পেতেই সংস্থার তরফ থেকে তড়িঘড়ি তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়। তার পরই ওলার ম্যানেজার যত দ্রুত সম্ভব সেই নতুন বৈদ্যুতিক স্কুটারটি যত দ্রুত সম্ভব সারিয়ে দেওয়ারও নিশ্চিত বার্তা দেন। ক্ষুদ্ধ সেই ক্রেতা ট্যুইটারে সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে, আমি একটা নতুন ইলেকট্রিক স্কুটার অর্ডার করেছিলাম, কোনও রিফারবিশড প্রডাক্ট নয়।
@bhash hi Bavish, my Ola S1 pro was delivered yesterday. In less than 6km of drive aftr delivery it has to be towed away for screeching noises and headlight issues.What irks me more is that I’m yet to get my bike back despite promising to bring it back in few hours @OlaElectric pic.twitter.com/pHi0uEPGYi
— Toadie ? (@ToadTweets) December 22, 2021
অভিযোগ ৩: জনপ্রিয় একটি ট্যুইটার প্রোফাইল @ToadTweets-এর তরফ থেকে ওলা এস১ প্রো ইলেকট্রিক বাইকের একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, ভাঙা নম্বর প্লেট, সমগ্র বডি প্যানেলে তেলের দাগ। স্রেফ ওয়ার্কশপ থেকে সেই স্কুটারটি ফেরত আসার পরেই এমনতর কাণ্ড ঘটে যায় বলে জানা গিয়েছে। মূলত ডেলিভারির পরে স্কুটারটিতে সমস্যা দেখা যায়। পরে ওয়ার্কশপে যখন সারাইয়ের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকেও এক প্রকার খারাপ অবস্থাতেই এই ইলেকট্রিক স্কুটার ফিরিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, সার্ভিস সেন্টারে বাইকটি নিয়ে যাওয়ার পরে সেখান থেকে রাইডারকে কোনও জব শিটও দেওয়া হয়নি। এছাড়াও এই ইলেকট্রিক স্কুটার মাত্র ১৯ কিলোমিটার রেঞ্জ দিচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে সেই ট্যুইটে। যদিও ওলা ইলেকট্রিকের তরফ থেকে এই স্কুটারের রিপ্লেসমেন্টের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
যদিও ওলা ইলেকট্রিকের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, খুব শীঘ্রই এই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ফের ভারতে রিমুভেবল ব্যাটারির ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ হল, ওয়ান-মোটো ইলেকটার দাম ও ফিচার্স জেনে নিন