পিঙ্ক মুন: এই গোলাপি চাঁদের রহস্য আসলে কী?

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পরবর্তী সুপার মুন দেখা যাবে আগামী ২৬ মে।

পিঙ্ক মুন: এই গোলাপি চাঁদের রহস্য আসলে কী?
পিঙ্ক মুন বা গোলাপি চাঁদ। ২০২১ সালের প্রথম সুপার মুন।
Follow Us:
| Updated on: Apr 27, 2021 | 10:04 PM

সত্যজিৎ রায়ের ‘গোলাপি মুক্তা রহস্য’ তো অনেকেই পড়েছেন। ফেলু মিত্তির সেই রহস্যের সমাধানও করেছিলেন মগজাস্ত্রে শান দিয়ে। কিন্তু ‘পিঙ্ক মুন’ বা গোলাপি চাঁদের রহস্য আসলে কী?

সোমবার ২৬ এপ্রিল বিশ্ববাসী চাক্ষুষ করেছেন এক বিরল মুহূর্ত। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কথায় আকাশে দেখা গিয়েছিল গোলাপি চাঁদ। ২০২১ সালের প্রথম ‘সুপার মুন’- ও বটে। সোমবার গভীর রাতে এই চাঁদ দেখা গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীপৃষ্ঠের যেদিকে সূর্য অবস্থান করছিল তার বিপরীত দেখা গিয়েছিল এই বিশেষ ধরণের চাঁদ।

কিন্তু কাকে বলে সুপার মুন?

জ্যোতির্বিদ রিচার্ড নোল্লে সর্বপ্রথম এই ‘সুপার মুন’ শব্দটির প্রবর্তন করেছিলেন। ১৯৭৯ সালে রিচার্ডই ছিলেন এই শব্দের প্রবক্তা। মূলত সেই ধরণের নতুন ফুল মুন বা পূর্ণিমার চাঁদকে সুপার মুন বলা হয় যা পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে অথবা যখন চাঁদ নিজের পেরিজির ৯০ শতাংশ অতিক্রম করে। এই ধরণের চাঁদকে বছরের সবচেয়ে বড় এবং উজ্জ্বল চাঁদ বলা হয়।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পরবর্তী সুপার মুন দেখা যাবে আগামী ২৬ মে। আর এবারের থেকে পৃথিবীর সঙ্গে চাঁদের দূরত্ব আর একটু কমে যাবে বলে মনে করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

গোলাপি চাঁদ কাকে বলে?

এপ্রিল মাসের সুপার মুনের নাম দেওয়া হয়েছে পিঙ্ক মুন। মূলত মস পিঙ্ক নামের একটি ফুল আছে। যাকে আবার creeping phlox, moss phlox, mountain phlox এসব নামেও ডাকা হয়। এই ফুল আসলে বসন্তের প্রতীক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসন্তের প্রারম্ভে এই ফুল দেখা যায়। এই ফুলের নাম অনুসারেই চাঁদের নামকরণ হয়েছে পিঙ্ক মুন।

আরও পড়ুন- গগনযানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ‘ডেটা রিলাই’ স্যাটেলাইট লঞ্চ করবে ইসরো

তবে ২৬ এপ্রিল দেখা যাওয়া সুপার মুনের আরও অনেক নাম রয়েছে। যেমন Sprouting Grass Moon, Egg Moon, Paschal moon, Fish Moon। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে গতকাল অনেক জায়গাতেই হনুমান জয়ন্তী পালন করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এও বলেছেন যে সঠিক জায়গায় থাকলে, আর একটা আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত স্মার্টফোন থাকলে— এই সুপার মুনের দারুণ ছবি তুলতে পারবেন যে কেউ।