Apple Watch Saves Life: স্বামীর প্রাণ বাঁচাল অ্যাপল ওয়াচ! খুশিতে আত্মহারা হরিয়ানার মহিলা চিঠি লিখলেন টিম কুক-কে, পেলেন উত্তরও
Tim Cook: হরিয়ানার এক ডেন্টিস্টের প্রাণ বাঁচিয়েছে একটি অ্যাপল ওয়াচ। তাঁরই স্ত্রী খুশি হয়ে ইমেল করলেন অ্যাপল সিইও টিম কুক-কে, পেলেন রিপ্লাইও।
গত বছর স্ত্রী’র জন্য একটি অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ় ৬ কিনে এনেছিলেন হরিয়ানার ডেন্টিস্ট নীতেশ চোপড়া। কিন্তু সেই অ্যাপল ওয়াচ (Apple Watch) যে তাঁরই প্রাণ বাঁচাবে, তা তিনি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি। হরিয়ানার (Haryana) যমুনা নগরের ৩৪ বছরের ডেন্টিস্ট নীতেশের একদিন খুবই বুকে ব্যথা অনুভূত হয়। আর তারপরই তাঁর স্ত্রী নেহা তাঁকে অ্যাপল ওয়াচে একবার ইসিজি (ECG) করিয়ে নিতে বলেন। ইসিজি রিপোর্টে ধরা পড়ে বেশ কিছু অনিয়ম। আর তারপরই চিকিৎসা করাতে যুগলে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পাড়ি দেন। অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করতে বলেন ডাক্তার। রিপোর্টে দেখা যায়, নীতেশের হার্টের আর্টারিতে ৯৯.৯ শতাংশ ব্লকেজ রয়েছে। সার্জারি করা হয় অতঃপর। আর তারপরই তাঁকে ডিসচার্জও করা হয়।
নীতেশের স্ত্রী নেহা বলছেন, “ওঁর হার্টে ডাক্তাররা স্টেন্ট বসিয়েছেন। ডাক্তাররাই বলেছেন যে, ও খুবই ভাগ্যবান। বড় কিছু ঘটে যেতে পারত ওঁর সঙ্গে।” তিনি আরও যোগ করে বলছেন, “একটা অ্যাপল ওয়াচের জন্যই আমার স্বামীর প্রাণ বেঁচে গেল। এত কম বয়সে যে কারও হার্টে ব্লক থাকতে পারে, তা নীতেশ কখনও ভাবতে পারেনি।” একটা অ্যাপল স্মার্টওয়াচ যে সামান্য অ্যালার্টে স্বামীর প্রাণ বাঁচাল, ধন্যবাদ জানাতে অ্যাপল সিইও টিম কুক-কে একটি ইমেল করেন নীতেশের স্ত্রী নেহা।
ইমেলে নেহা লেখেন, “আমরা হাসপাতালে গিয়েছিলাম আপনার ঘড়ির মধ্যে থাকা এক অসামান্য প্রযুক্তির কারণেই। আমার স্বামী এখন ভাল আছেন, সুস্থ আছেন। আমার স্বামীর প্রাণ বাঁচানোর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং ভালবাসা।” চমকের এখানেই শেষ নয়। এর পরেই আসল ঘটনার শুরু। তাঁর সংস্থার একটা হাতঘড়ি যে কারণ প্রাণ বাঁচিয়েছে, এমন একটা ইমেল পেয়ে খুশি হয়ে তার উত্তরও দিয়েছেন অ্যাপল সিইও টিম কুক।
নেহাকে তিনি ইমেলের রিপ্লাইয়ে লিখলেন, “আমিও শুনে আনন্দিত যে, অ্যাপল ওয়াচ থেকে ইঙ্গিত পেয়ে আপনি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করিয়ে নিয়েছেন। আমাদের সঙ্গে আপনার এই গল্প শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।” আর এই কাণ্ডের পর নেহা আরও একটি অ্যাপল ওয়াচ কেনার পরিকল্পনা করছেন। এতদিন তিনি ও তাঁর স্বামী নীতেশ একটাই ঘড়ি শেয়ার করছিলেন।
নীতেশ চোপড়া বলছেন, “আমরা রিডিং উপেক্ষা করেছিলাম এই ভেবে যে, ৩৪ বছরের একজন যুবকের এমন অ্যারিথমিয়া হতে পারে না। কিন্তু শনিবার, ১২ মার্চ আমাদের শেষ নেওয়া রিডিং আমাদের সতর্ক করে দেয় এবং আগের রিডিংয়ের থেকে কিছুটা ভিন্নও আসে। আর সেটা দেখেই মনে জোর নিয়ে হাসপাতালে যাই। আমরা হাসপাতালে পৌঁছানোর পরে, ডাক্তার একটি ইসিজি করেছিলেন এবং সেটিও আমরা মনিটর করেছিলাম। আমি যখন সিসিইউতে ছিলাম, আমার স্ত্রী এবং আমি ক্রমাগত আমাদের অ্যাপল ওয়াচ রিডিংয়ের সঙ্গে ডাক্টারের করা ইসিজির রিডিংয়ের তুলনা করে দেখতাম। দুটোর রিডিং এক্কেবারে কাঁটায় কাঁটায় মিলে গিয়েছিল।”
নীতেশ আরও যোগ করে বলছেন, “আমি অবশ্যই এটি শুধুমাত্র হৃদরোগীদের জন্যই নয় বরং প্রত্যেকের জন্য যাঁরা, নিজের স্বাস্থ্যের বিষয়ে যত্নশীল তাঁদের জন্য সুপারিশ করব।”
আরও পড়ুন: ফ্লিপকার্টের নিজস্ব ব্র্যান্ড মারকিউ ভারতে একটি সস্তার ইনভার্টার এসি নিয়ে এল, দাম ২৫,৯৯৯ টাকা
আরও পড়ুন: ঝড়ের গতিতে ইন্টারনেট! কিন্তু ভারতে ৫জি চালু হলে কতজন ব্যবহার করবেন? নতুন রিপোর্টে সংশয়