Elon Musk’s Neuralink Brain Chip: মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে ডিভাইস কানেক্ট করবে এলন মাস্কের নিউরালিঙ্ক, যোগাযোগ হবে ভাবনার মাধ্যমে!
নিউরালিঙ্ক একটি ছোট্ট চিপ, যা মানুষের মস্তিষ্কের ভিতরে ইমপ্ল্যান্ট করা হবে। এটি আসলে ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেস, যা তথ্য আদানপ্রদান করার জন্য ওয়্যারলেস ডিভাইস এবং মানব-মস্কিষ্কের মধ্যে একটি কানেকশন তৈরি করতে পারে।
বিগত সকয়েক বছরে প্রযুক্তি এমনই উন্নত হয়েছে যে, আমাদের কণ্ঠস্বরের সাহায্যেই অ্যামাজন অ্যালেক্সা বা সিরি-র সাহায্যে স্মার্টফোন থেকে শুরু করে ল্যাপটপ-সহ আরও অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কিন্তু এই কাজটাই যদি আমরা মগজাস্ত্র প্রয়োগ করে করতে পারি, কেমন হয় তাহলে? অন্য মানুষের সঙ্গে কেবল মাত্র তাঁর কথা ভেবেই কমিউনিকেট করতে পারি, কেমন হয় তবে? অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এমনটা কিন্তু হতে পারে! এলন মাস্কের (Elon Musk) নিউরালিঙ্ক এমনই অসাধ্য সাধন করতে চলেছে। কথা না বলে বা অন্য কোনও পথে না হেঁটে এই নিউরালিঙ্ক (Neuralink) মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে কোনও ডিভাইস কানেক্ট করতে পারবে। এটি আসলে ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (Brain Computer Interface), যা তথ্য আদানপ্রদান করার জন্য ওয়্যারলেস ডিভাইস এবং মানব-মস্কিষ্কের মধ্যে একটি কানেকশন তৈরি করতে পারে।
প্যারালাইসিস হয়েছে এমন ব্যক্তিকে স্বাধীন ভাবে কম্পিউটার এবং মোবাইল ডিভাইস কন্ট্রোল করতে দেওয়ার চিন্তাভাবনা থেকেই নিউরালিঙ্ক চিপের জন্ম। এই প্রযুক্তি ডিজাইন করা হয়েছে মানুষকে সেই ক্ষমতা প্রদান করতে, যার বলে ব্যাক্তি টেক্সটা বা স্পিচ সিন্থেসিসের মাধ্যমে ওয়েব সম্পর্কে নিজের যাবতীয় কৌতূহলের উত্তর পান এবং ফটোগ্রাফি, আর্ট ইত্যাদির মাধ্যমে নিজেদের সৃজনশীলতা ফুটিয়ে তুলতে পারেন ফিজিক্যালি ব্যবহার না করেও। ঠিক কী ভাবে এটি কাজ করবে? সেই ডিভাইসটির কথা একবার ভাবুন , সঙ্গে সঙ্গে দেখবেন সেটি কাজ করছে। শুনেই চমকে গেলেন তাই ন, তাহলে আরও বিস্তারিত জেনে নিন।
নিউরালিঙ্ক কী ভাবে কাজ করবে
এলন মাস্কের নিউরালিঙ্ক চিপ ব্রেনের হাজারেরও বেশি নিউরোনের সঙ্গে কানেক্ট করবে, যেগুলি রিয়্যাল টাইম ভিত্তিতে ওই সব নিউরোনের অ্যাক্টিভিটি রেকর্ড করবে এবং লিঙ্কে তথ্য পাঠাতে পারবে। হাত বা আঙুল নাড়িয়ে সেই লিঙ্কটি তথ্য ডিকোড করবে, যা ব্লুটুথের মাধ্যমে ইউজারের ডিভাইসে পৌঁছে দেওয়া হবে। অর্থাৎ ইউজারকে ব্লুটুথ ডিভাইসের সঙ্গে চিপটি কানেক্ট করতে হবে এবং তা চার্জিংয়ের জন্যও কাজে আসবে।
একটি নতুন ধরনের ব্রেন ইন্টারফেসের জন্য লিঙ্ক হল প্রথম ধাপ, যা প্রযুক্তি আরও উন্নত হওয়ার ফলে বেশি পরিমাণ ব্রেন অ্যাকসেস করার জন্য এবং নতুন ধরনের নিউরাল তথ্য প্রেরণের জন্য ব্রেনের সঙ্গে কমিউনিকেট করতে পারে এমন চ্যানেলের বিস্তার ঘটাতে পারে। নিউরোলজি সংক্রান্ত যে কোনও রোগের সঙ্গে লড়াই করার মধ্যে দিয়ে সেন্সরি রিস্টোর এবং মোটর ফাংশান চালু রাখতে পারে এই প্রযুক্তি।
ব্রেনের ভিতরে চিপ কী ভাবে ঢোকানো হবে?
এলন মাস্কের নিউরালিঙ্কের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখনও পর্যন্ত শুরু হয়নি। তবে মানুষের মস্তিষ্কে লিঙ্ক চিপ ঢুকিয়ে দেওয়ার কাজটি শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে। নিউরালিঙ্কের ওয়েবসাইটে এই চিপ ঢোকানোর পদ্ধতিটির ব্যাখ্যা করে বলা হচ্ছে, একটি নিউরোসার্জিক্যাল রোবটকে ডিজাইন করা হয়েছে মানুষের মাথার খুলিতে ছোট্ট একটি ফুটো করে যা ২৩ মিমি ডায়ামিটারের থেকেও ছোট, তার মাধ্যমে থ্রেডস প্রবেশ করানোর জন্য। রোবটিক সার্জিক্যাল টুলিংয়ের অন্যান্য অ্যাডভান্সড প্রযুক্তির ব্যবহার করে জেনারেল অ্যানাসথিসিয়া বাদ দিয়েই মানুষ সচেতন থাকা অবস্থাতেই এই ডিভাইস বা চিপটি ব্রেনে ঢোকানো যেতে পারে।
আরও পড়ুন: মহাকাশ থেকে অক্টোপাসের আগমন? সে আবার কী! গবেষণা তো তাই বলছে…
আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির কথা বলবে চোখ! কৃত্রিম বুদ্ধিমতা নির্ভর পদ্ধতির সন্ধান দিলেন গবেষকরা
আরও পড়ুন: ৭ বছর মহাকাশে ভেসে থাকার পর চাঁদে আছড়ে পড়তে চলেছে স্পেসএক্স রকেট