AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ISRO Project: সমুদ্রের নীচে ৬০০০ মিটার গভীরে ম্যানড-মিশনের পরিকল্পনা ইসরোর

এবার মহাকাশের পাশাপাশি মহাসাগরের নীচেও মনুষ্যচালিত অভিযান করতে উদ্যোগী ইসরো। সমুদ্রের নীচে ৬০০০ মিটার গভীরতায় মানুষ পাঠাতে চায় ইসরো।

ISRO Project: সমুদ্রের নীচে ৬০০০ মিটার গভীরে ম্যানড-মিশনের পরিকল্পনা ইসরোর
ছবি প্রতীকী।
| Edited By: | Updated on: Dec 19, 2021 | 6:45 PM
Share

ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন অর্থাৎ ইসরো এবার এক নতুন অভিযানের শুরু করতে চলেছে। এতদিন পর্যন্ত মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোর জন্য বিখ্যাত ছিল ভারতের স্পেস সেন্টার। এবার তারা সমুদ্রের ৬০০০ মিটার নীচে মানুষ পাঠাবে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ইসরো তাদের ম্যানমেড স্পেস মিশন গগনযানের সূচনা করবে। এর মধ্যেই সামনে এল আর একটি চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। জানা গিয়েছে, সমুদ্রের ৬০০০ মিটার তলায় মানুষ পাঠানোর অভিযানের জন্য একটি বিশেষে গোলক নির্মাণ করছে ইসরো।

ইসরোর এই আসন্ন মিশনকে বলা হচ্ছে ‘ডিপ ওশান মিশন’, অর্থাৎ গভীর সমুদ্রের অভিযান। ভারত সরকারের সহযোগিতায় এই অভিযান শুরু করবে ইসরো। ইতিমধ্যেই সংসদে এই প্রসঙ্গে আলোচনাও হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, এই প্রোজেক্টের নাম Samudrayaan বা সমুদ্রযান। এক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভরশীল একটি মনুষ্যবাহী বৈজ্ঞানিক সাবমার্সিবল তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ভূ-বিজ্ঞানী মন্ত্রী ডক্টর জিতেন্দ্র সিং রাজ্যসভায় এই manned scientific submersible নির্মাণ প্রসঙ্গে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন।

ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের আওতায় রয়েছে একটি স্বশাসিত বিভাগ যার নাম দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি। এই বিভাগের তরফে এর আগে একটি personnel sphere নির্মাণ করা হয়েছিল এবং তার টিজারও প্রকাশ করা হয়েছিল। এই manned submersible সিস্টেমে জলের গভীরে ৫০০ মিটার পর্যন্ত যাওয়ার সুবিধা ছিল। ২.১ মিটার ব্যাসের এই personnel sphere বা গোলক একটি ক্রু মডেল হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব এবং তার সাহায্যে জলের গভীরে ৫০০ মিটার পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব। হাল্কা স্টিলের সাহায্যে এই গোলক তৈরি করা হয়েছিল। বঙ্গোপসাগরে ৬০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত জলে এই গোলকের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয়েছিল। চলতি বছর অক্টোবর মাসে রিসার্চ ভেসেল সাগর নিধির সাহায্যে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল।

ডক্টর জিতেন্দ্র সিং আরও জানিয়েছেন যে, জলের গভীরে ৬০০০ মিটার নীচে রেটিং পরিমাপের জন্য একটি টাইটেনিয়াম অ্যালয় যুক্ত পার্সোনাল স্পিয়ার বা গোলক বা ম্যানড সাবমার্সিবল তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ইসরো, তিরুবনন্তপুরম, বক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের সাহায্যে এই কাজ চলছে। মহাকাশের পাশাপাশি এবার সমুদ্রের গভীরেও ম্যানড মিশনের পরিকল্পনা করেছে ভারতের স্পেস এজেন্সি ইসরো। ২০২৪ সাল নাগাদ মহাসাগরের নীচে এই অভিযান হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আনুমানিক ৪১০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে এই ডিপ ওশান মিশনের জন্য।

আরও পড়ুন- Dinosaurs: শহরের রাস্তায় ছুটে চলা গাড়ির মতো দ্রুত গতিতে ছুটতে পারে এক বিশেষ প্রজাতির মাংসাশী ডায়নোসর!

আরও পড়ুন- High Tech Sleeping Bag: চোখের সমস্যা দূরে সরিয়ে মহাকাশচারীদের নিশ্চিন্ত ঘুমের ব্যবস্থা করবে এই হাই-টেক স্লিপিং ব্যাগ