Dinosaurs: শহরের রাস্তায় ছুটে চলা গাড়ির মতো দ্রুত গতিতে ছুটতে পারে এক বিশেষ প্রজাতির মাংসাশী ডায়নোসর!

এই ডায়নোসরদের পায়ের পাতায় রয়েছে তিনটি আঙুল। এজন্য এদের বলা হয় theropods। বিজ্ঞানীরা  সম্প্রতি এই theropods- দের পায়ের ছাপ নিয়ে গবেষণা করেছেন, যা খুঁজে পাওয়া গিয়েছে স্পেনে।

Dinosaurs: শহরের রাস্তায় ছুটে চলা গাড়ির মতো দ্রুত গতিতে ছুটতে পারে এক বিশেষ প্রজাতির মাংসাশী ডায়নোসর!
ছবি প্রতীকী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 18, 2021 | 9:13 PM

মাংসাশী ডায়নোসররা শহরের রাস্তায় চলা দ্রুত গতির গাড়ির মতো জোরে ছুটতে পারে! সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। এই ডায়নোসরদের পায়ের পাতায় রয়েছে তিনটি আঙুল। এজন্য এদের বলা হয় theropods। বিজ্ঞানীরা  সম্প্রতি এই theropods- দের পায়ের ছাপ নিয়ে গবেষণা করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ডায়নোসরদের পায়ের ছাপ প্রায় ১০ লক্ষ বছরের পুরনো। theropods- দের এই দীর্ঘ পুরনো পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে একটি হ্রদের পার্শ্ববর্তী কাদার উপর। গবেষকরা মোট দু’সেট পায়ের ছাপ (জীবাশ্ম) খুঁজে পেয়েছেন স্পেনের লা রিয়োজা এলাকায়। এরপর এই ডায়নোসরদের পায়ের ছাপ বা জীবাশ্ম নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা।

বিশ্ব বিখ্যাত ‘নেচার’ জার্নালে এই গবেষণা সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর এই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছে, এই পদচিহ্নের যেসব ডায়নোসর সৃষ্টি করেছে, তারা ঘণ্টায় ৪৪.৬ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে। সেই সঙ্গে ওই গবেষকরা এও জানিয়েছেন যে ঘণ্টায় ৪৪.৬ কিলোমিটার আসলে theropod প্রজাতির ডায়নোসরদের গণণা করা গতিবেগের মধ্যে এ যাবৎ সবচেয়ে বেশি। theropod প্রজাতির এই ডায়নোসররা আসলে কেমন ছিল, সেটা কিছুটা বোঝা গিয়েছে ওই দু’সেট ফুটপ্রিন্ট গবেষণা করে। এই ডায়নোসরদের গতি কেমন ছিল, তাছাড়াও কেমন আচরণ ছিল এই ডায়নোসরদের, তার আন্দাজ করা গিয়েছে ওই গবেষণার মাধ্যমে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, যে দু’টি ডায়নোসরদের পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে, তাদের মধ্যে একটি যেমন চলতে চলতেই নিজের গতিবেগ পরিবর্তন করতে পেরেছিল। তবে এক্ষেত্রে ধারাবাহিক ভাবে গতি পরিবর্তন হয়েছিল। অর্থাৎ ক্রমশ গতি বাড়িয়েছিল ডায়নোসরটি। তবে অন্য ডায়নোসরটি চলন্ত অবস্থায় দ্রুত গতি পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছিল। ওই দুটো পায়ের ছাপ গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তেই উপনীত হয়েছেন গবেষকরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই গবেষণার পুরোধা স্পেনের লগরোনো- র লা রিয়োজা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক পাবলো নাভারো লর্বস। তিনি বলেছেন, প্যালিওন্টোলজিস্টরা বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতির সাহায্যে ডায়নোসরদের গতি পরিমাপ করার চেষ্টা করেন। তার মধ্যে প্রাথমিক ধাপ বা পর্যায় হল ওই ডায়নোসরদের গতিপথ বা ট্র্যাক থেকে তাদের গতি পরিমাপ করা। এছাড়াও ডায়নোসরের হাড় এবং অঙ্গের অনুপাতের ভিত্তিতে বায়োমেকানিক্যাল মডেল তৈরি করেও ডায়নোসরদের গতি পরিমাপ করা হয়।

স্পেনে যে দুই ডায়নোসরের পায়ের ছাপ আছে তাদের জিন বলা কার্যত অসম্ভব। কিন্তু এই দুই theropod যে একই taxonomic গ্রুপের, তা আন্দাজ করেছেন বিজ্ঞানীরা। এদের গতিপথেও রয়েছে বেশ কিছু মিল। বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন যে, এই ডায়নোসরদের ওড়ার বৈশিষ্ট্য ছিল না। অর্থাৎ বর্তমানের পক্ষী গোষ্ঠীর সঙ্গে এদের মিল ছিল না। এরা নন-এভিয়ান গোত্রের। তবে এরা খুবই চটপটে, অর্থাৎ এদের গতি দ্রুত ছিল বলে আন্দাজ করা হচ্ছে। আগামী দিনে গবেষণা আরও এগোলে এই ডায়নোসরদের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর আরও অনেক তথ্য প্রকাশ্যে আসবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

আরও পড়ুন- High Tech Sleeping Bag: চোখের সমস্যা দূরে সরিয়ে মহাকাশচারীদের নিশ্চিন্ত ঘুমের ব্যবস্থা করবে এই হাই-টেক স্লিপিং ব্যাগ