Saturn’s Moon Enceladus: শনির এই উপগ্রহে জলের ফোয়ারা পেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা, তবে কি মিলবে প্রাণও?

Enceladus Geyser Blasting: পৃথিবী ছাড়াও অন্যান্য গ্রহে জলের সন্ধানে ব্যস্ত বিশ্বের বেশিরভাগ বিজ্ঞানীরা। সেখানে নতুন আবিষ্কার করা শনির ছোটো উপগ্রহ থেকে জলের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা।

Saturn's Moon Enceladus: শনির এই উপগ্রহে জলের ফোয়ারা পেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা, তবে কি মিলবে প্রাণও?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 25, 2023 | 1:39 PM

Latest Science News: বিজ্ঞানীরা মহাকাশে ঘটা অদ্ভুত সব ঘটনাকে খুঁজে বিশ্ববাসীর সামনে আনেন। কখনও সূর্যের প্লাজমা, আবার কখনও শনির 145টি উপগ্রহ আবিষ্কার। সব কিছুই ধরা পড়ে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে। শনির 145টি উপগ্রহ রয়েছে। সৌরজগতের একমাত্র গ্রহ, যার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক উপগ্রহ রয়েছে। এর প্রমাণ বিশ্ববাসী কয়েকদিন আগেই পেয়ে গিয়েছে। 145টি উপগ্রহের মধ্যে একটি ছোটো উপগ্রহ এনসেলাডাস। আর এই ছোটো উপগ্রহ থেকে বিজ্ঞানীরা এমন কিছু খুঁজে পেয়েছে, যা আপনাকে অবাক করতে বাধ্য। পৃথিবী ছাড়াও অন্যান্য গ্রহে জলের সন্ধানে ব্যস্ত বিশ্বের বেশিরভাগ বিজ্ঞানীরা। সেখানে নতুন আবিষ্কার করা শনির ছোটো উপগ্রহ থেকে জলের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। অবাক ব্যাপার হল, জল খুঁজে বের করার জন্য বিজ্ঞানীদের এবার আর সেই উপগ্রহে পাড়ি দিতে হয়নি। বরং তাদের টেলিস্কোপেই ধরা পড়েছে। জলের পরিমাণ এতটাই বেশি যে, তা দেখে হতবাক বিজ্ঞানীরা। উপগ্রহ থেকে জলের বড় বড় ফোয়ারা বের হচ্ছে। সেগুলির দৈর্ঘ্যও কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, উপগ্রহটি জলের ফোয়ারার পাশাপাশি মহাকাশে জৈব কণাও ছড়াচ্ছে। এই কণাগুলিতে এমন অনেক জৈবিক ও রাসায়নিক কণা মিশে থাকতে পারে, যেখান থেকে প্রাণের আবিষ্কার করা যায়। জেমস ওয়েব 2022 সালের নভেম্বরে এটির ছবি তোলে, যা 17 মে স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউট প্রকাশ করেছে। তারপর থেকেই এই ছবি ঘুম কেড়েছে বিশ্ববাসীর।

নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের জ্যোতির্বিজ্ঞানী সারাহ ফাগি জানান, টেলিস্কোপে যে দৃশ্য ধরা পড়েছে, তা থেকে বোঝা যাচ্ছে এগুলো বিশালাকার জলের ফোয়ারা। তবে এখনও এই নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। সূর্যের তাপ এনসেলাডাসের ভূমিতে উপস্থিত তরল বরফ মহাসাগরকে বাষ্পীভূত করে। শনি গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ সেই বাষ্পকে বাইরের দিকে টানে। তারপর প্রায়ই চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে এই ধরনের ফোয়ারা বের হতে দেখা যায় বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

এই উপগ্রহের আবিষ্কার কবে করেছেন বিজ্ঞানীরা?

2008 থেকে 2015 সালের মধ্যে যখন নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযান এই উপগ্রহটি দেখেছিল, তখনই বিজ্ঞানীরা অবাক হয়েছিলেন। ক্যাসিনি দেখে, এনসেলাডাস থেকে জলের ফোয়ারা বের হচ্ছে। মহাকাশযানে লাগানো ভর স্পেকট্রোমিটার এই ছবিটি তুলেছিল। তারপরে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন, ফোয়ারাগুলির মধ্যে জীবন সৃষ্টিকারী জৈবিক কণা রয়েছে। সেই সময় থেকে এখও পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা সেই গ্রহে জলের সন্ধান করছেন। এনসেলাডাস থেকে বেরিয়ে আসা জলের ফোয়ারা প্রমাণ দেয় যে, পৃথিবীর বাইরেও জীবন সম্ভব। অথবা হয়তো এমন কোনও প্রান সত্যিই আছে যা কেউই জানে না।