‘ছাতা’র তলায় গোটা পৃথিবী! সূর্যের তাপে আর পুড়বে না শরীর
Sunshade In Space: বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর জন্য একটি 'ছাতা' তৈরি করতে চান। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনকে রোধ করতেই এই 'ছাতা' তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজ্ঞানীরা। বিষয়টা একবার ভেবে দেখুন, একটি গোটা পৃথিবী থাকবে ছাতার তলায়। কিন্তু কীভাবে কাজ করবে এই মস্ত বড় 'ছাতা'?

যত দিন যাচ্ছে, ততই গ্লোবাল ওয়ার্মিং ঘুম কাড়ছে বিজ্ঞানীদের। গ্লোবাল ওয়ার্মিং বর্তমান বিশ্বের একটি বড় সমস্যা। পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রতি বছরই বাড়ছে। সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা এর সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছেন। সেই সঙ্গে সতর্কতাও জারি করছে। কিন্তু যে কোনও ভাবে উপায় খুঁজে বের করতে বিজ্ঞানীরাই পারে। বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর জন্য একটি ‘ছাতা’ তৈরি করতে চান, যাতে সূর্যের তাপ সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীতে এসে না পড়ে। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনকে রোধ করতেই এই ‘ছাতা’ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজ্ঞানীরা। বিষয়টা একবার ভেবে দেখুন, একটি গোটা পৃথিবী থাকবে ছাতার তলায়। আর এই ধারণা বছরের পর বছর ধরে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু এবার তা বাস্তবে হতে চলেছে।
ছাতার তলায় গোটা পৃথিবী!
প্ল্যানেটারি সানশেড ফাউন্ডেশনের মতে, এই গোটা প্রক্রিয়াকে সৌর বিকিরণ প্রক্রিয়া বলা যেতে পারে। আর এই ব্যবস্থাপনা গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়কে আটকাতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে প্রতিহত করার তিনটি উপায় রয়েছে। প্রথমটি হল নির্গমন কমানো, দ্বিতীয়টি হল কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন বন্ধ করা এবং তৃতীয়টি হল সৌর বিকিরণকে ধরে রাখা। বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বর্তমান গড় থেকে যাতে কোনওভাবেই 1.5 ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে না যায়, সেই দিকেও দীর্ঘদিন ধরে একটি চুক্তি স্থাপন করেছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ তাপমাত্রা যত কমবে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তত কমবে। গবেষকদের মতে, আগামী এক দশকে তাপমাত্রা 1.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। আর যদি তার থেকেও বেশি বেড়ে যায়, তবে তা ভয়ানক প্রভাব ফেলবে পৃথিবীর উপর।
কেন এই ‘ছাতা’র আবিষ্কার?
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, দাবানল এবং বরফ গলে যাওয়া এই সব কিছুই আবহাওয়ার ঘটনার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী। প্ল্যানেটারি সানশেড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মরগান গুডউইন জানান, মহাকাশে সানশেড তৈরি মোটেই সহজ কাজ নয়। তিনি বিশ্বাস করেন যে, ডিকার্বনাইজেশন কৌশল বর্তমানে প্রয়োজনীয়। জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এড়াতে, বিশ্বকে দ্রুত জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। আর এই সতর্কতা নতুন নয়। মানুষ নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছে, তা এবার বোঝার দিন এসে গিয়েছে। হাতে আর বিশেষ সময়ও নেই।
কীভাবে কাজ করবে এই ‘ছাতা’?
সূর্যালোক আটকাতে মহাকাশে একটি মেগাস্ট্রাকচার তৈরি করা হবে, যা সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী ল্যাগ্রেঞ্জ-1 পয়েন্টে স্থাপন করা হবে। এটিকে এমনভাবে রাখা হবে, যাতে সূর্যালোক পৃথিবীতে লাগা মাত্রই তার বেশিরভাগটা প্রতিফলিত করবে। ফাউন্ডেশনের মতে, এটি একটি গ্রহের সানশেড।
