ফ্যাটি লিভার
একের পর এক ফুড ডেলিভারি অ্যাপের সাহায্যে যেভাবে ফাস্ট ফুড অর্ডার করা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে, তাতে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কম বয়সিদের ক্ষেত্রে খুবই পরিচিত রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকাল ১৮-তেই কারও-কারও দেহে জাঁকিয়ে বসছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। নেপথ্যে রয়েছে ফাস্ট ফুড বা বাইরের খাবার খাওয়ার চল। মুখরোচক খাবার ছাড়া যেন মুখে খাবার রোচে না। কিন্তু আপনি যত বেশি চর্বিযুক্ত খাবার খাবেন, লিভারে ফ্যাটও জমবে ততটাই। যদিও বেশিরভাগ মানুষের ধারণা, শুধু মদ খেলেই লিভারের ক্ষতি হয়। এক্ষেত্রে জেনে রাখা দরকার, মদ্যপান না করেও আপনি ফ্যাটি লিভারে ভুগতে পারেন। নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজ়িজ হল তেমনই একটি রোগ। আর যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই জায়গায় বসে থাকেন, শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকেন, তাহলেও রয়েছে লিভারে চর্বি জমার সম্ভাবনা। নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজ়িজে যকৃতে ফ্যাট জমা হয়। তার সঙ্গে লিভারে প্রদাহ তৈরি হয় এবং লিভারের কোষগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে, এই রোগ লাইফস্টাইল ও চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা যায়। কিন্তু আপনি সাবধান না হন, এই সমস্যা পরবর্তীকালে লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যানসারের মতো রোগ ডেকে আনতে পারে। এমনকি এই রোগ বাড়াবাড়ি অবস্থায় পৌঁছে গেলে লিভার ফেলিওরের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। এমন ঘটনায় আপনার মৃত্যু অবধারিত। সুতরাং, নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজ়িজকে সহজভাবে নিলে বিপদ আপনারই। বরং, প্রথম থেকে চিকিৎসাধীন থাকলে এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন হলে আপনার লিভারের কার্যকারিতাও ঠিক থাকবে। সেই সঙ্গে অবশ্যই লাইফস্টাইলে থাকতে হবে হাঁটাচলা, শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা।