West Bengal Education System: সকালে স্কুল খুলে রাতে বন্ধ করেন একলা শিক্ষাকর্মী, পড়ুয়ার অভাবে স্কুল যেন ভূত বাংলো!
ছবি - TV9 Bangla

West Bengal Education System: সকালে স্কুল খুলে রাতে বন্ধ করেন একলা শিক্ষাকর্মী, পড়ুয়ার অভাবে স্কুল যেন ভূত বাংলো!

TV9 Bangla Digital | Edited By: আসাদ মল্লিক

Jul 18, 2022 | 11:30 PM

অদ্ভূত স্কুলের একমাত্র শিক্ষাকর্মী গোবিন্দ দাস। প্রত্যেকদিন এসে তালা খোলা ও সন্ধ্যায় তালা বন্ধই তাঁর কাজ। 'এ বছরের প্রথমে একজন পড়ুয়া দেখেছিলাম। সকালে আসি, ডিউটি সেরে কর্তব্য করি। তারপর চলে যাই', জানালেন গোবিন্দবাবু।

কাটোয়া: নাম-কা-ওয়াস্তে স্কুল, পড়ুয়া নেই, নেই কোনও শিক্ষক। টেবিলে নেই ডাস্টার, বেঞ্চ ফাঁকা, ব্ল্যাকবোর্ডে অ-আ-ক-খ-এর বদলে লেখা ‘কন্যাশ্রী ক্যাম্প’! যেখানে রাজ্যের সব বিদ্যালয় খোলা, সেখানে তালা ঝুলছে কাটোয়ার সিঙ্গি কাশীরাম দাস উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ভোর হলে শুধু খোলা হয় তালা, নির্বাচনী বুথ বানিয়ে হয় ভোটগ্রহণ।

পড়ুয়াদের কোলাহল নেই, নেই শিক্ষক শিক্ষিকা। শুধু ভোট কাছে এলেই অস্তিত্ব জানান দেয় স্কুল। বর্ধমানের এই স্কুলের এমন অবস্থা কেন? ‘প্রশাসনিক অবহেলার জেরেই এই হাল। শিক্ষক নিয়োগ হয় না, অভিভাবকরাও বাধ্য হয়ে ৩ কিলোমিটার দূরের স্কুলে পাঠায় সন্তানদের। পার্শ্বশিক্ষকরাও নেই’, অভিযোগ গ্রামবাসীদের। বারবার আবেদন করেও শিক্ষক মেলেনি, জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।

এই অদ্ভূত স্কুলের একমাত্র শিক্ষাকর্মী গোবিন্দ দাস। প্রত্যেকদিন এসে তালা খোলা ও সন্ধ্যায় তালা বন্ধই তাঁর কাজ। ‘এ বছরের প্রথমে একজন পড়ুয়া দেখেছিলাম। সকালে আসি, ডিউটি সেরে কর্তব্য করি। তারপর চলে যাই’, জানালেন গোবিন্দবাবু। অব্যবস্থার কথা স্কুল পরিদর্শকদের জানিয়েও লাভ হয়নি। স্কুল চালু হবে, আশ্বাস দিলেন বিডিও। যদিও এ বিষয়ে সন্দিহান গ্রামবাসীরা।

প্রায় একই অবস্থা চাঁপদানির চাঁপদানি উর্দু গার্লস জুনিয়র হাই স্কুলের। শিক্ষক, শিক্ষিকা নেই। দীর্ঘ ২২ বছরে মাধ্যমিক স্তরে পৌঁছয়নি এই স্কুল, উপরন্তু শিক্ষাকর্মীদের অভাবে বন্ধ হতে বসেছে বিদ্যালয়। নিজেরাই রিডিং পড়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে পড়ুয়ারা। রেজাল্টও স্কুল থেকে নয়, নিতে হচ্ছে SI অফিস থেকে। নানাবিধ স্কলারশিপ থেকে কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প, এতকিছুর পরেও বাংলার পড়াশোনার এমন বেহাল দশা কেন? চিন্তার ভাঁজ শিক্ষাবিদদের একাংশের কপালে।

 

https://youtu.be/JoZVyu7_hz0