‘খেলা হবে’ কবে বলছেন ক্যাপ্টেনদা
খেলা হয় না বলে ক্যাপ্টেনদা আর তাঁর পরিবার খুব কষ্টে আছেন। ইনি বাইচুং ভুটিয়া, সুনীল ছেত্রী, সৌরভ গাঙ্গুলি বা এমএস ধোনি নন। এই ক্যাপ্টেন বিমল।
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে একটা সময়ে এখানে খেলা হত। এখন খেলা হয় না। সারা রাজ্য জুড়ে নির্বাচনে স্লোগান উঠেছিল ‘খেলা হবে’। খেলা হয় না বলে ক্যাপ্টেনদা আর তাঁর পরিবার খুব কষ্টে আছেন। ইনি বাইচুং ভুটিয়া, সুনীল ছেত্রী, সৌরভ গাঙ্গুলি বা এমএস ধোনি নন। এই ক্যাপ্টেন বিমল। গোটা স্টেডিয়াম চত্বরে বিমল আগরওয়াল ‘ক্যাপ্টেনদা’ নামেই সুপরিচিত। একটা সময়ে ভিআইপি গেটের পাশে একটা ছোট্ট দোকান চালাতেন ক্যাপ্টেন ও তাঁর স্ত্রী রিনা-দুজনেই দৃষ্টিহীন। ২০১৭-এ দেশে অনুর্দ্ধ ১৭ বিশ্বকাপ আয়োজিত হওয়ায় ক্যাপ্টেন ও তাঁর পরিবারকে রাজ্য সরকারের ক্রীড়া দপ্তর ২০১৬ এ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের ৬ নম্বর ব়্য়াম্পের নীচে দোকান স্থানান্তর করবার অনুমতি দেয়। সব ঠিকঠাকই চলছিল। তারপর করোনা অতিমারিতে যখন বিপন্ন হল গোটা বিশ্ব, তখন সেই অভিঘাতে বন্ধ হল খেলাধুলো। লকডাউন উঠে গেলে যখন শুরু হল ক্রীড়া ইভেন্টগুলো, তখনও কোভিড প্রোটোকল মেনে দর্শকশূন্য রইল স্টেডিয়াম। ফলে বিমলদের অবস্থা হল আরও শোচনীয়। একটা খেলা শুধু ৯০ মিনিটের উন্মাদনা বা উত্তেজনা বা রেষারেষিতেই সীমাবদ্ধ থাকে না। সেই খেলাটাকে জড়িয়ে থাকে অনেক জীবনের বাঁচা-মরা। তাই-ই প্রত্যেক ম্যাচের শেষ বাঁশি বেজে যাওয়ার পরও চলতে থাকে খেলা। আর বল গড়ানো থেমে গেলে থমকে যায় জীবন। এই যেমন বিমল, রিনা আর করিশ্মার জীবন কিছুটা থমকে গিয়েছে।