Kalna News: কালনায় তৈরি আফগান যন্ত্র!
আফগানি রাবাব তৈরী হচ্ছে কালনায়। যা নেশা থেকে আজ পেশা কালনার অসিত বারুই এর।রাজ্য,দেশ ছাড়িয়ে বিদেশ থেকেও মিলছে রাবাবের অর্ডার।অর্ডার মতো সাইজ ও রাবাবের নিখুঁত বাদ্যধ্বনি রাতারাতি নেট দুনিয়ায় পরিচিতি পেয়েছেন অসিত বারুই ।
আফগানি রাবাব তৈরী হচ্ছে কালনায়। যা নেশা থেকে আজ পেশা কালনার অসিত বারুই এর।রাজ্য,দেশ ছাড়িয়ে বিদেশ থেকেও মিলছে রাবাবের অর্ডার।অর্ডার মতো সাইজ ও রাবাবের নিখুঁত বাদ্যধ্বনি রাতারাতি নেট দুনিয়ায় পরিচিতি পেয়েছেন অসিত বারুই ।
রাবার প্রধানত আফগানিস্তানের বাদ্য যন্ত্র।যা দেখতে আমাদের দেশের সরোদ বাদ্যযন্ত্রের মতোই।তবে সরোদের থেকে ছোট ও ধ্বনি আলাদা।জানা গেছে এই রাবাব তৈরী হয়না আমাদের রাজ্যে।তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সুর প্রিয়দের কাছে বিশেষ কদর রয়েছে আফগানি রাবারের।
কালনার 2 নম্বর ব্লকের রামকৃষ্ণ পল্লীর বাসিন্দা অসিত বারুই,বয়স 36 বছর।ছোট থেকেই নিজে নিজে দোতারা তৈরি করতেন।পরে একটি কাগজে রাবারের ছবি দেখে বানিয়ে ফেলেন রাবাব।যদিও পরে অস্থায়ী স্বাস্থ্য কর্মী হিসেবে গ্রামে কাজ করার সঙ্গে যুক্ত হন।কয়েক বছর কাজ করার পর করোনার সময় বাড়িতে থেকে অবসর সময়ে বানিয়ে ফেলেন কয়েকটি রাবাব।নিজে রাবাব বাজিয়ে ছবি পোস্ট করেন স্যোসাল মিডিয়ায়।প্রশংসা পাওয়ার সাথে সাথে পেয়ে যান রাবাব তৈরীর অর্ডার।সেই শুরু,আর ঘুরে তাকাননি অস্থায়ী স্বাস্থ্য কর্মীর কাজে।
স্বাস্থ্য কর্মীর কাজ করতে হত তাই করতাম,কিন্তু রাবাব বানিয়ে মনে তৃপ্তি পায়।সংসার আগের থেকে ভাল চলছে,জানান অসিত বারুই।তার তৈরী রাবাব ভারত বর্ষের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হয়।দেশ ছাড়িয়ে কানাডা,অস্ট্রেলিয়া,আমেরিকা,বাংলাদেশে চাহিদা রয়েছে। রাবাবের প্রচার নেট ও সোশ্যাল মিডিয়ায়,অর্ডার আসে নেট থেকেই।অসিত বাবু জানান,শিলিগুড়ি ও লোকাল কাঠ কিনে আনতে হয়।তার কিনতে হয় কলকাতা ঘুরে।রাবাবের জন্য চামড়া জোগাড় করতে হয় নদীয়া জেলা থেকে।15-20 দিন সময় লাগে একটি রাবাব তৈরী করতে।ডিজাইন হলে আরো বেশি সময়।নূন্যতম 17000 থেকে 50000 হাজার টাকায় রাবাব বিক্রি হয়।