Agnipath Scheme Protest: ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের বিরোধিতায় উত্তাল বিহার, রাজধানী ট্রেনে অগ্নিসংযোগ, আঁচ বাংলায়ও
শুক্রবার সকালে লখিসরাই রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজধানী এবং মইয়ুদ্দিন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা জম্মু-তাওয়াই ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেয় প্রতিবাদী জনতা।
নয়া দিল্লি: চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগ প্রকল্প ‘অগ্নিপথ’ প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তাল দেশ। আজ সেই প্রতিবাদের আঁচ এসে পড়ল বাংলাতেও। এদিন বিক্ষোভকারীরা ঠাকুরনগর স্টেশনে রেল অবরোধ করে। ঠাকুরনগর রেললাইনে ডন বৈঠক করতেও দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের। যার জেরে দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত হয় শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার রেল পরিষেবা। ভোগান্তির মধ্যে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় দেড় ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তাঁরা কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বাড়ির সামনে বিক্ষেভ দেখায়।
অগ্নিপথ প্রকল্প প্রত্যাহারের দাবিতে অগ্নিগর্ভ বিহারও। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে লখিসরাই, সমস্তিপুর, আরা, বক্সার, বালিয়া সহ একাধিক জায়গায়। শুক্রবার সকালে লখিসরাই রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজধানী এবং মইয়ুদ্দিন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা জম্মু-তাওয়াই ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেয় প্রতিবাদী জনতা। পাটনাগামী জনশতাব্দী ট্রেন আধ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। বিক্ষোভের জেরে বিহারে ৩২টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ৭২টি ট্রেনের। বিহারের পাশাপাশি প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানেরও বিভিন্ন জায়গায়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফে চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই দেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় তার প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। কেন্দ্রের তরফে বলা হয় চার বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে কাজের সুযোগ পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অগ্নিপথ’। অংশ নিতে পারবেন ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা। কিন্তু স্বল্প মেয়াদী এই প্রকল্পে অবসর পরবর্তী সুযোগ সুবিধার কথা উল্লেখ নেই। এছাড়াও ৪ বছর পর অবসরপ্রাপ্তদের কী হবে তাই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে অনেকে।