Agnimitra Paul on Vandebharat: বন্দেভারত নিয়ে কী দাবি অগ্নিমিত্রার?
এবার "বন্দেভারত" তৈরি করবে চিত্তঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। ইতিমধ্যে চারটি বন্দেভারত নির্মাণের বরাত পেয়েছে চিত্তঞ্জন কারখানা। এমনটাই দাবি আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের।
এবার “বন্দেভারত” তৈরি করবে চিত্তঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। ইতিমধ্যে চারটি বন্দেভারত নির্মাণের বরাত পেয়েছে চিত্তঞ্জন কারখানা। এমনটাই দাবি আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের। তিনি চিত্তঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জেনারেল ম্যানেজার দেবীপ্রসাদ দাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। দেবীপ্রসাদ দাস সম্প্রতি জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্বে এসেছেন। জিএম অফিস থেকে বেরিয়ে অগ্নিমিত্রা পাল দাবি করেন এর আগে যিনি জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন তাঁর কাছে এসে বলেছিলেন যেন এই চিত্তরঞ্জনে যাতে “বন্দেভারতের মত উচ্চ গতি সম্পন্ন ইঞ্জিন তৈরির বরাত পান সে বিষয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। এবং সেই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়েছে। চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা ইতিমধ্যেই ৪ টি বন্দেভারতের ইঞ্জিন তৈরির বরাত পেয়েছে। তিনি বলেন বন্দেভারত আমাদের দেশের গর্ব। সেই জায়গায় চিত্তঞ্জন রেল কারখানার বন্দেভারত তৈরির বরাত পাওয়ায় আরও বেশি গর্ববোধ করছেন। তিনি জিএমের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন বন্দেভারত তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি এও জানান কিভাবে এই ট্রেন তৈরি হয় তার দেখার ইচ্ছা আছে। তখন তিনি চিত্তঞ্জন রেলইঞ্জিন কারখানায় আসবেন। তাঁকে যেন কারখানায় ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়, এই আবেদন করেন জিএমের কাছে। যদিও কারখানা কর্তৃপক্ষ পুরো বিষয়টি গোপন রেখেছেন। এই নিয়ে কোনও বক্তব্য তারা দেননি। ইতিমধ্যেই এক বছরে ৪৪৬ টি রেল ইঞ্জিন তৈরি করে বিশ্ব রেকর্ড করতে পেরেছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। এই কারখানা থেকে উচ্চগতি সম্পন্ন তেজসের ইঞ্জিন তৈরি হয়েছে আগে। এবার বন্দেভারতের মতো সেমি বুলেট ট্রেনের ইঞ্জিন তৈরির বরাত মিলল বাংলার এই রেল ইঞ্জিন কারখানায়। এর পাশাপাশি অগ্নিমিত্রা পাল চিত্তরঞ্জন কারখানার জেনারেল ম্যানেজারকে প্রস্তাব দেন, যেন এই শহরে কোথাও দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের মূর্তি নেই। সেই মূর্তি যেন বসানো যায় তার বিবেচনা করেন। শহরটি ও কারখানাটি দেশবন্ধুর নামাঙ্কিত হলেও কোথাও মূর্তি নেই। রেলের ১৯৪২ এর কোন এক আইন অনুসারে মূর্তি বসানোর জটিলতা রয়েছে। যার জন্য মূর্তি তো বসানো যাচ্ছে না বলে জেনেছেন। সেই জটিলতা যেন কাটিয়ে দেশবন্ধুর মূর্তি বসানো যায়। পাশাপাশি অগ্নিমিত্রা পালের দাবি পন্ডিত জহরলাল নেহেরু যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন শিল্পমন্ত্রী ছিলেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। বাংলায় বিভিন্ন শিল্প ইন্ডাস্ট্রির জন্য তার ভূমিকা রয়েছে। তাই এই চিত্তরঞ্জন শহরে কোন একটা রাস্তা বা কোন একটি নির্মাণের নাম যেন শ্যামাপ্রসাদে নামাঙ্কিত হয় সেই প্রস্তাবও তিনি দেন।